যেখানে বিয়েতে মেয়ের মাথায় ও বুকে থুতু ফেলে আশীর্বাদ জানান বাবা

সাধারন অন্যরকম খবর April 10, 2017 1,509
যেখানে বিয়েতে মেয়ের মাথায় ও বুকে থুতু ফেলে আশীর্বাদ জানান বাবা

লাখ কথা না হলে নাকি বিয়ে হয় না। তেমনই বিয়ের সঙ্গে জড়িয়ে আছে হাজারো নিয়ম। যার মধ্যে অনেকগুলোই বেশ আজব। তাই আজব বিয়ের গজব রীতি পড়েই নয় দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো।


▶মাঙ্গলিক

হিন্দু বিয়ের রীতি অনুযায়ী পাত্র পাত্রীর মাঙ্গলিক দোষ কাটাতে বিয়ের আগে একবার বিয়ে দেওয়া হয়। ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি বা মাটির কলসি বা গাছের সঙ্গে বিয়ে দেওয়া হয়। কখনও মানুষ ছাড়া অন্য কোনও প্রাণীর সঙ্গেও বিয়ে দেওয়া হয়। তাতে নাকি মাঙ্গলিক দোষ কেটে গিয়ে সুখি হয় বিবাহিত জীবন। বচ্চন পরিবারের দৌলতে এই রীতি আসমুদ্র হিমাচল জুড়ে পরিচিত।


▶মাসাই

কেনিয়ায় মাসাইদের বিয়েতে মেয়েকে কীভাবে বিদায় জানানো হয় জানেন ? পাত্রীর বাবা মেয়ের মাথায় এবং বুকে থুতু ফেলেন। সেটাই নাকি আশীর্বাদ। এরপর বরের হাত ধরে চলে যায় মেয়ে। আর পিছনে তাকায় না। পিছনে তাকালেই নাকি সে পাথর হয়ে যাবে।


▶শারিভারি

ফরাসি লোকরীতি অনুযায়ী বিয়ের পরে নবদম্পতির বাড়ির সামনে গিয়ে ব্যাপক হল্লা মাচাতে হবে। উৎপাতের চোটে বেরিয়ে এসে নবদম্পতি ভোজসভায় নিয়ে যাবে উৎপাতকারীদের। এখনও ফ্রান্সের গ্রামে এই রীতি পালিত হয়।


▶পোল্টেরাবেন্ড

জার্মানির কিছু অংশে এই রীতি প্রচলিত। বিয়ের ভোজের পরে অতিথিরা দুমাদ্দুম সব বাসন ভেঙে ফেলে। এতে নাকি নব দম্পতির আসন্ন জীবনে সব বিপদ কেটে যায়।


▶বর পেটানো

এটাও হয়। বিয়ের আগে বরকে বন্ধুদের হাতে মার খেতে হয় দক্ষিণ কোরিয়াতে। বরের মোজা খুলে তার পায়ে শুকনো করভিন মাছ বা আখ দিয়ে মারা হয়। এতে নাকি কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা হয়।


▶হবু বউকে অপহরণ

জিপসিদের মধ্যে এটা কোনও অপরাধ নয়। বরং যে মেয়েকে কোনও যুবক অপহরণ সেই তার বউ বলে রোমানি বা জিপসি সমাজে চিহ্নিত হবে।


▶অঝোরে কান্না

বাপের বাড়ি ছাড়ার সময় নয়। বরং বিয়ের এক মাস আগে থেকে হবু বউকে রোজ নিয়ম করে এক ঘণ্টা কাঁদতে হবে। এই রীতিতে পরে যোগ দিতে হবে বাড়ির সব মহিলাকে। তবে কাঁদতে হবে সুর করে, যাতে শুনে মনে হয় কেউ হাসছে।


▶নো বাথরুম

উত্তর বোর্নিওতে তিডং উপজাতির মধ্যে প্রচলিত এক উদ্ভট নিয়ম। বিয়ের পরে বর-বউকে তিনদিন বন্দি করে রাখা হয় একটি ঘরে। এবং এই তিনদিন তাঁরা বাথরুমে যেতে পারবেন না।


▶সঙ্গে তিমির দাঁত

ফিজিতে আবার কোনও মেয়ের পাণিপ্রার্থী হলে ছেলেকে সঙ্গে নিতে হবে তিমির দাঁত। দিতে হবে মেয়ের বাবাকে।


এই রীতির মধ্যে হয়তো বেশির ভাগই আজ অবলুপ্ত। কিন্তু শুরু হয়েছিল সমাজের চাহিদা মেনেই। হয়তো এর পরিবর্তে প্রচলিত আছে বিকল্প কিছু। কিন্তু যুগ যুগ ধরে এত কিছু হ্যাপা সামলেই বিয়ে করে এসেছে আমজনতা। সারা পৃথিবী জুড়ে।


- ইন্টারনেট