ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্নের প্রতিকার

লাইফ স্টাইল April 5, 2017 987
ঘুমের মধ্যে দুঃস্বপ্নের প্রতিকার

গভীর ঘুমের মধ্যে হঠাৎ চমকে ভেঙ্গে যায় ঘুম। কারণ, দুঃস্বপ্ন। প্রতিদিনের ঘটনা এটা। ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার কারণে সব কাজেই বিরক্তি এবং মনোযোগের অভাব দেখা দেয়। ফলে দুঃস্বপ্নের বিরূপ প্রভাব পরে জীবনে।


সারাদিনের নানান দৃশ্য, ঘটনা, ছবি ইত্যাদির ছাপ মনে রয়ে যায়। তারই প্রতিফলন ঘটে দুঃস্বপ্নে। জেনে নিন দুঃস্বপ্নের থেকে রেহাই পাওয়ার কিছু উপায় সম্পর্কে।


মন শান্ত করে ঘুমাতে যান

অশান্ত মন নিয়ে ঘুমাতে গেলে সাধারণত দুঃস্বপ্ন দেখার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনকে শান্ত করে ঘুমাতে যান। প্রয়োজনে মেডিটেশন করুন কিংবা মনকে শান্ত করার কিছু মিউজিক আছে সেগুলো শুনুন। মনের অস্থিরতা, রাগ পুরোপুরি দূর হয়ে গেলে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।


প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমান

যাদের দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবণতা আছে, তারা প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান। এতে ঘুম ভালো হয় এবং খারাপ স্বপ্ন দেখার প্রবণতা কমে।


ঘুমাতে যাওয়ার আগে খাবেন না

খেয়েই ঘুমাতে যাবেন না। হজম হতে অনেক সময় লাগে যে সব খাবার, সেগুলো দুঃস্বপ্নের কারণ হতে পারে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাংস কিংবা পনির খাবেন না। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার ৩ ঘণ্টা আগেই খাওয়ার কাজ শেষ করুন। এতে ঘুম ভালো হবে, দুঃস্বপ্ন কমবে।


মদ এবং ক্যাফেইনকে ‘না’

যারা নিয়মিত দুঃস্বপ্ন দেখেন তারা মদ এবং অতিরিক্ত চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস ছেড়ে দিন। ভালো ঘুমের জন্য বিকালের পর চা-কফি না খাওয়াই ভালো।


ইতিবাচক চিন্তা

প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভাবুন জীবন থেকে কী পেয়েছেন। কী পাননি সেই চিন্তা একেবারেই ছেড়ে ফেলুন মন থেকে। এতে দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবণতা কমবে।


মারদাঙ্গা কিংবা নৃশংস দৃশ্য দেখবেন না

প্রতিদিন সামাজিক মাধ্যম, টিভি, সিনেমায় কিংবা বাস্তবে নানান নৃশংস দৃশ্য দেখা হয়। ভৌতিক বা অ্যাকশন ছবি, ঝড়, ভূমিকম্প কিংবা ভিন গ্রহের এলিয়েনের পৃথিবী ধ্বংস করার দৃশ্যগুলোও মনে প্রভাব ফেলে। ঘুমাতে যাওয়ার পর সেগুলোই দুঃস্বপ্নের কারণ হয়। তাই এধরণের দৃশ্য এড়িয়ে চলুন। তাতে দুঃস্বপ্ন কিছুটা হলেও কমবে।


প্রকৃতিতে সময় কাটান

ইট-পাথরের ব্যস্ত শহরে প্রকৃতিতে সময় কাটানোর সুযোগ পাওয়া দায়। তবুও কিছুটা সময় লেকের ধারে কিংবা পার্কের সবুজ গাছ পালার মাঝে বসে সময় কাটান। প্রকৃতির সান্নিধ্যে মন প্রশান্ত হবে এবং দুঃস্বপ্ন কমবে।


চিত হয়ে শোবেন না

দুঃস্বপ্ন দেখেন যারা তারা চিত হয়ে শোবেন না। এতে ‘স্লিপ প্যারালাইসিস’ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ‘স্লিপ প্যারালাইসিস’–এ আক্রান্ত ব্যক্তির ঘুম ভাঙ্গার পর মনে হয় কেউ শরীরকে ভীষণ শক্তি দিয়ে আটকে রেখেছে। মাংসপেশি সাময়িক অসাড় হয়ে হাত-পা নাড়া-চাড়া করতে না পারার কারণে এমন মনে হয় তাদের।


ব্যায়াম করুন

প্রতিদিন কিছুক্ষণ ব্যায়াম করুন। যোগ ব্যায়ামও করতে পারেন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, ওজন নিয়ন্ত্রিত থাকবে, ঘুম ভালো হবে এবং দুঃস্বপ্ন দেখা কমবে।


সুগন্ধি

শোবার ঘরে সুগন্ধি মোম, রুম ফ্রেশনার কিংবা সুন্দর সুবাসের তাজা ফুল রাখুন। বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে সুবাসিত শোবার ঘরে ঘুম ভালো হয় এবং দুঃস্বপ্ন দেখার প্রবণতা কমে। ড্রিম স্টাডিজ।