সৌন্দর্যচর্চায় যে অভ্যাসগুলো খারাপ

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস April 2, 2017 830
সৌন্দর্যচর্চায় যে অভ্যাসগুলো খারাপ

ত্বকের যত্নে প্রায় সবাই বেশ সচেতন থাকেন। তবে কিছু ভুল অভ্যাসের জন্য হতে পারে ত্বকের ক্ষতি।


রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে সৌন্দর্যচর্চার কয়েকটি ভুল অভ্যাস সম্পর্কে জানা যায়। যা ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। তাই এই অভ্যাসগুলো বাদ দেওয়াই ভালো।


মুখই সব নয়: মুখের ত্বকের যত্নে নানান রকমের অভিনব তেল এবং সৌন্দর্যবর্ধক লোশন রাতে ব্যবহার করে থাকেন। বয়সের ছাপ কেবল মুখমণ্ডলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। গলা এবং উন্মুক্ত থাকে দেহের এমন স্থানও অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মনে রাখতে হবে, শরীরের কোনো অংশই বার্ধক্য ‘বার্ধক্য-রোধক’ নয়। মানে বয়সের ছাপ পড়বে না এমন নয়, তাই উন্মুক্ত থাকে শরীরের এমন অংশের দিকে একটু বেশি মনোযোগ দিন।


মেইকআপ এবং ব্যায়াম: অনেকেই দিন শেষে কর্মক্ষেত্র থেকে ফেরার পথে ব্যায়ামাগারে যান। শরীর থেকে ঘাম ঝরানোর এই অভ্যাস বেশ ভালো। তবে খেয়াল রাখতে হবে কর্মক্ষেত্রে বা বাইরে যাওয়ার সময় যদি মুখে মেইকআপ থাকে তবে সেটা ভালোভাবে তুলে ফেলতে হবে। কারণ মেইকআপ ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে রাখে। যার অর্থ হল ঘাম এবং দুষিতপদার্থও আবদ্ধ থাতে যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর।


লোম টেনে তোলা: ত্বকের অন্তর্বর্ধিত বা চামড়া পাতলা আবরণের নিচে বেড়ে ওঠা লোম খুবই বিরক্তিকর। এর অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ‘চিমটা’ ব্যবহার করেন। লোম টেনে তুলে অস্বস্তি না হয় দূর করলেন তবে এর ফলে ত্বকে সংক্রমণ এবং দাগ দেখা দিতে পারে। তাই টুইজার বা সন ব্যবহার না করাই ভালো।


ভেজা চুল খুলে রাখা: গোসলের পর ভেজা চুল যেন মুখের উপরে না আসে তাই তোয়ালে দিয়ে পেঁচিয়ে রাখা বেশিরভাগ মানুষেরই অভ্যাস। মনে রাখা প্রয়োজন যে, ভেজা চুল অনেক বেশি দুর্বল থাকে এবং ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও বেশি। তাই ভেজা চুল না ঘষে পুরানো সুতির টি-শার্ট দিয়ে পেঁচিয়ে রাখুন। এবং ৯০ শতাংশ না শুকানো পর্যন্ত তা পেঁচিয়ে রাখতে হবে।


চোখ ঘষা: অনেক সময় পাপড়ি চোখে ঢুকে যায়, চুলকায় বা অস্বস্তি হয়। বা অন্য কারণেও অস্বস্তি থেকে অভ্যাসে চোখ ডলা হয়। তবে মনে রাখতে হবে চোখের চারপাশের ত্বক অনেক বেশি কোমল থাকে। চোখ ঘষলে তা প্রদাহ তৈরি করে এবং দীর্ঘদিন স্থায়ী হয়। ফলে ব্যবহৃত ‘আই ক্রিম’য়ের কার্যকারিতা হারাতে পারে। তাই চোখ না চুলকে বরং পানির ঝাপটা দিন।