

আপনি হয়তো হলুদ এবং বেসনের প্যাক ব্যবহার করেছেন, ত্বককে উজ্জ্বল করার জন্য স্ক্রাব করেন এবং দুধ দিয়েও মুখ পরিষ্কার করেন। আপনার ফেস প্যাক বা স্ক্রাবগুলোকে অনেক বেশি কার্যকর করার জন্য আপনি এর সাথে লেবু ব্যবহার করে থাকেন, যা করা উচিৎ নয়। আমেরিকায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ত্বক বিশেষজ্ঞ ডা. কিরণ লোহিয়া এর মতে কিছু মানুষের ক্ষেত্রে লেবু তীব্র যন্ত্রণার সৃষ্টি করতে পারে। এটি প্রাকৃতিক উপাদান হলেও এর ব্যবহারে অ্যালার্জি বা যন্ত্রণা সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
লেবু অ্যাসিডিক প্রকৃতির
অনেকেই তাদের ত্বকের এক্সফোলিয়েটের জন্য এবং ডার্ক স্পট হালকা করার জন্য লেবু ব্যবহার করেন। কিন্তু এটা জেনে রাখা জরুরী যে, লেবুর pH অনেক কম, অর্থাৎ এটি এসিডিক প্রকৃতির। তাই লেবু ব্যবহারের ফলে আপনি ত্বকের যে স্থানটির নিরাময় করতে চাচ্ছেন তার ক্ষতিও হতে পারে। তাই টোনার বা ক্লিঞ্জার হিসেবে লেবু ব্যবহার করাটা ভালো ধারণা নয়। এসিডিক লেবু ঘন ঘন ত্বকে ব্যবহারের ফলে ত্বকে যন্ত্রণার সৃষ্টি করতে পারে এবং এর ফলে ত্বক লাল হয়ে যেতে পারে।
সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির প্রতি ত্বককে স্পর্শকাতর করে তুলতে পারে লেবু
লেবুতে সালোকসংশ্লেষণের যৌগ থাকে যা সূর্যের আলোর সংস্পর্শে প্রতিক্রিয়া দেখায়। এতে অতিবেগুনী রশ্মির প্রতি ত্বক অনেকবেশি সংবেদনশীল হয়ে ওঠে। এর ফলে ত্বকের বর্ণ অস্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারে। লেবু ব্যবহারের ফলে ত্বকে ফোসকা পড়তে পারে যা ভালো হতে এক মাসেরও বেশি সময় লাগতে পারে। যদিও সকালে পানির সাথে মিশিয়ে লেবু পান করতে পারেন। এটি শরীরকে বিষমুক্ত করার একটি চমৎকার উপায়।
মুম্বাই এর কসমেটিক ডারমাটোলজিস্ট ডা. জয়শ্রী শারদ এর মতে, প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু টিপস মেনে চলা উচিৎ....
- প্রথমে আপনার ত্বকের ধরণ সম্পর্কে জানুন এবং সেই অনুযায়ী উপাদান ব্যবহার করুন।
- যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয় বা চামড়া ওঠে অথবা আপনি যদি ব্রণের ঔষধ ব্যবহার করে থাকেন তাহলে লেবুর রসের মত ফলের নির্যাস আপনার ত্বকে ব্যবহার করবেন না। এটি ত্বককে ডিহাইড্রেট করে আরো বেশি সংবেদনশীল করে তুলবে।
- আপনার ত্বকে ব্যবহারের উপাদানগুলো যদি পুরনো হয়ে যায় বা কৌটাটি যদি পরিষ্কার না থাকে বা আপনার চামচ/হাত যদি ময়লা থাকে তাহলে আপনার সংক্রমণ বা ফোসকা পড়ার সমস্যা হতে পারে।







