২৪ বছর বয়সে যে ১০ দক্ষতা জরুরি

লাইফ স্টাইল March 26, 2017 861
২৪ বছর বয়সে যে ১০ দক্ষতা জরুরি

আপনার বয়স যখন ২৪ বছর তখন নিশ্চিতভাবেই আপনি যথেষ্ট পরিণত। এ সময়ের দক্ষতাগুলো, আপনার বাকি জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে। ২৪ বছর বয়সে গুরুত্বপূর্ণ ১০ দক্ষতা অর্জনের পরামর্শ নিয়ে এ প্রতিবেদন।


* অভিজ্ঞ বিক্রয়কর্মী হোন : বিক্রয় সকল ব্যবসার সফলতার মূল মন্ত্র। আপনার যদি বিক্রি করা চাকরি নাও হয় তাহলেও বিক্রির অভিজ্ঞতা রাখুন। সেটা হতে পারে মার্কিটিং কাজে, টিম সভায়, গ্রাহক সেবায়, পণ্য ব্যবস্থাপনায়, সেমিনার, ব্যবসায়িক উন্নতি, ইঞ্জিনিয়ারিং সহ নানা ভাবে। এই যোগ্যতাটাই ভবিষ্যতে আপনাকে আপনার প্রতিযোগী ও সহকর্মীদের থেকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যাবে।


* আয়েশ থেকে বের হোন : বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতা নিন। কল্পনায় অনেক কিছু করা যায় কিন্তু বাস্তবতা ভিন্নও হতে পারে। কাজ শুরু করুন, মানুষের সঙ্গে কথা বলুন, সুন্দরী মেয়েদের সঙ্গে কথা বলুন। অল্প কথায় ভালো বক্তা হোন।


* সমর্থক নেটওয়ার্ক তৈরি করুন : মানুষের সমর্থন এই জন্যই বেশি দরকার যে, নিজের কাজের আত্মবিশ্বাস বাড়বে, নতুন কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে, নতুন ধারণা সৃষ্টি হবে যা ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার গঠনে ভূমিকা রাখবে। অন্যের কাছে মান বৃদ্ধিতে মনোনিবেশ করুন, কতজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেটা নয়। সমর্থক নেটওয়ার্ক বাড়ানো এভাবে সফলতা পায় না যে, প্রতিদিন কতজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষের সঙ্গে আপনি সাক্ষাৎ করেছেন। বরঞ্চ কতজন গুরুত্বপূর্ণ মানুষকে আপনি সহায়তা করেছেন তার ওপর নির্ভর করে।


* কোডিং শিখুন : ২৪ বছর বয়সী যে কারো জন্যই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অন্যতম দক্ষতা, প্রোগ্রামিং শেখা। বর্তমানে কিশোরেরা তরুণদের চেয়ে প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেকগুণ এগিয়ে এবং কোডিং শিখছে। শিশুরাও ট্যাব, স্মার্টফোন এবং অনান্য প্রযুক্তির ছোয়ায় আছে সর্বদা। প্রোগ্রামিং শেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার, যা ভবিষ্যত উন্নতির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে। পড়তে এবং লিখতে জানে- এমন প্রত্যেকেরই কোডিং জানা প্রয়োজন।


* ভালোবাসতে শিখুন : যেকোনো আবেগের তুলনায় ভালোবাসা সবচেয়ে বিশুদ্ধ আবেগ। আপনি যদি প্রেমে না পড়েন, তাহলে নি:সন্দেহে জীবনের বিকাশমূলক এক আবেগ/অনুভূতি থেকে বঞ্চিত আপনি।


* মেডিটেশন : বর্তমানের ক্ষোভের পৃথিবীতে শুধুমাত্র ধ্যানের মাধ্যমেই নিজের ওপর মনোযোগ দেয়া যায়। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, ২০ মিনিটের ধ্যান বা মেডিটেশন ২ ঘণ্টার ঘুমের সমতুল্য। মেডিটেশন অনেকটা হোমিওপ্যাথির মতো, ধীরে কাজ করে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী ফল দেয়। যেহেতু মেডিটেশন একটি জটিল প্রক্রিয়া, তাই এই অভ্যাসের জন্য সুদৃঢ় সংকল্প প্রয়োজন।


* বেশি বেশি ভ্রমণ : ভ্রমণ মনে প্রশান্তি প্রদান করে, এক ঘেয়েমি দূর করে। বিশ্বভ্রমণের কথা চিন্তা করুন। ভ্রমণ জীবনের নানা পথ চলা শেখায়। নতুন নতুন মানুষের সঙ্গে পরিচয় করায়, প্রেমময় ধারণা বিকাশ করে ও জীবনকে উপভোগ করে।


* আত্ম উন্নয়নে বিনিয়োগ করুন : টিভি দেখে সময় নষ্ট না করে যত পারেন বই পড়ুন, সেমিনারে যান। সময় নষ্ট না করে সময় ও অর্থ বিনিয়োগ করে নিজের মূল্য বাড়ান।


* সবসময় উদ্বিগ্ন হবেন না : উদ্বিগ্ন হওয়া অযথা আপনার শক্তি নষ্ট করে। আপনার জীবন ও পরিবেশ উদ্বিগ্নতা দিয়ে পরিবর্তন হবে না। শুধুমাত্র পরিকল্পনা এবং তার বাস্তবায়ন-ই আপনাকে আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষে নিয়ে যাবে। ইতিবাচক মনোভাবের সঙ্গে জীবনযাপন, স্বাস্থ্যের যত্ন, জ্ঞান অর্জনের অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতে উপকারে আসবে। বর্তমানকে উপভোগ করুন এবং সবসময় উন্নতির ওপর আপনার নজর রাখুন।


* টাকা সঞ্চয় করুন : আপনি অন্যের জন্য কাজ করছে বা নিজের জন্য- যেটাই হোক না কেন, এখনই আপনাকে টাকা সঞ্চয় করতে হবে। আপনার উপার্জনের কিছু অংশ প্রতিমাসে আলাদা করে সঞ্চয় করুন, যা চক্রবৃদ্ধি সুদে ২০ বছর পর আপনাকে ধনকুবের হিসেবে পরিণত করবে। প্রতি মাসের সঞ্চয়ের পরিমাণ যত বাড়াবেন, তত দ্রুত মিলিয়নিয়ার হওয়ার পথে এগোবেন।