ওষুধ নয়, ব্যথা কমিয়ে দেবে প্রাকৃতিক উপাদান!

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস March 23, 2017 958
ওষুধ নয়, ব্যথা কমিয়ে দেবে প্রাকৃতিক উপাদান!

বিভিন্ন কারণে আমরা প্রায়ই শররে ব্যথা অনুভব করি। এর মধ্যে সারাদিনের ক্লান্তিতে হাত-পায়ে ব্যথা, মাথাব্যথা তো যেকোনো সময় শুরু হতে পারে। একটু বেশি হাঁটলেন শুরু হতে পারে পা ব্যথা। যেকোনো ব্যথা থেকে মুক্তি পাবার জন্য আমরা পেইনকিলারের শরণাপন্ন হয়ে থাকি। কিন্তু এই পেইনকিলার শরীরের জন্য বেশ ক্ষতিকর। তাই ওষুধের পরিবর্তে খেতে পারেন কিছু প্রাকৃতিক উপাদান। যা আপনার ব্যথা কমিয়ে দেবে। আর এই উপাদানগুলো আপনার রান্নাঘরে পাওয়া যাবে-


হলুদ

প্রাকৃতিকভাবে ব্যথা কমাতে হলুদ বেশ উপকারী। এর অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান ব্যথা কমিয়ে থাকে। গবেষণায় দেখা গেছে, হলুদে থাকা উপাদান অস্টিওআর্থারাইটিসের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।


আদা

এক গবেষণায় দেখা গেছে আদা পেট ব্যথা, বাতের ব্যথা দূর করতে বেশ কার্যকরী। গরম পানিতে আদা কুচি দিয়ে জ্বাল দিন। এটি বরফের ছাঁচে ঢেলে দিন। তারপর আদা পানির বরফ সারাদিন খান। এটি পেটের ব্যথা কমিয়ে দিবে। গর্ভকালীন সময় অথবা সার্জারির পর আদা বেশ কার্যকর।


রসুন

এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ছয় কোয়া রসুন কুচি মিশিয়ে নিন। এটি দিয়ে দিনে দুইবার কুলকুচি করুন। দেখবেন গলা ব্যথা গায়েব হয়ে গেছে। রসুনের অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান ব্যথানাশক। তা ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয়।


লবঙ্গ

মাথাব্যথা ও দাঁতে ব্যথা কমাতে লবঙ্গ খুবই উপকারী। মাথাব্যথা কমাতে তাওয়ার মধ্যে কিছু লবঙ্গ গরম করে নিন। গরম লবঙ্গ একটি রুমালের মধ্যে নিন। এক মিনিট এর ঘ্রাণ নিন এবং দেখুন মাথা ব্যথা চলে গেছে।


লাল আঙ্গুর

লাল আঙ্গুর ব্যথা কমাতে খুব পরিচিত কোনো মাধ্যম না হলেও, এটি বেশ কার্যকর। এতে রেসভারাট্রোল নামক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান রয়েছে যার কারণে আঙ্গুর লাল হয়ে থাকে। এটি কোমর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।


অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

এক গ্লাস পানিতে এক চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিয়মিত পান করুন। এটি বুক জ্বালাপোড়া দূর করে বুক ব্যথা কমিয়ে দেয়।


পুদিনা

দাঁত, গাঁট, মাথা আর পেশির ব্যথা কমাতে পুদিনার রস অনেকেই খেয়ে থাকেন। ব্যথা কমানোর পাশাপাশি ত্বকের সমস্যা বা পেট-ফাঁপা কমাতেও ব্যবহার করতে পারেন।


লবণ পানি

গোসলের পানিতে ১০-১৫ টেবিল চামচ (১ কাপ) লবণ মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটিতে ১৫ মিনিট শরীর ভিজিয়ে রাখুন। এটি শরীরেকে হাইড্রেটেড করে ব্যথা এবং ইনফ্লামেশন হ্রাস করতে সাহায্য করে।


ওটস

নিয়মিত ওটস খেতে পারলে মেনস্ট্রুয়াল ক্র্যাম্প আর তলপেটের ব্যথা কমে। ওটস-এ প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এই উপাদান ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।


ফিশ অয়েল

ফিশ অয়েল অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদানসমৃদ্ধ। গবেষণায় দেখা যে যেসব ঘাড় এবং পিঠের ব্যথার রোগীদের দিনে ১২০০ মিলিগ্রাম ফিশ অয়েল সাপ্লিমেন্টারি খাওয়ানো হয়েছে তাদের অর্ধেক বেশি রোগীরা পেইনকিলার খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন।


আনারস

এতে প্রচুর পরিমাণে ব্রোমেলেইন আছে, যা রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর পাশাপাশি পেশিতে ক্র্যাম্প বা টান ধরা আর প্রদাহ কমায়। বিশেষ করে, ইনফ্লমেটরি ডিজিজ আর্থ্রাইটিস-এর ব্যথা কমাতে ও বাড়তি মেদ ঝরাতে বা পেট-ফাঁপা কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে।