রহস্য ফুরোয় না পৃথিবীর যে স্থানগুলোতে

দেখা হয় নাই March 14, 2017 1,784
রহস্য ফুরোয় না পৃথিবীর যে স্থানগুলোতে

পৃথিবীটা বেশ রহস্যময়, অনেক সুন্দর। এখানে এমন কিছু জায়গা আছে যা অবিশ্বাস্য বলেই মনে হয় আমাদের কাছে। এখানে জেনে নিন এমনই কয়েকটি স্থান প্রসঙ্গে।


▶বয়লিং মাড, নিউজিল্যান্ড


এটা নিউজিল্যান্ডের অন্যতম আকর্ষণীয় স্থানগুলোর একটি। টাওপো লেকে ফুটন্ত কাদা-মাটি দেখতে পাওয়া যায়। গবেষকদের মতে, নদী ও লেকের এই নির্দিষ্ট জায়গার পানি উত্তপ্ত পাথরের ওপরে প্রবাহিত হয়। ফলে তা ফুটতে থাকে।


▶ডন জ, অ্যান্টার্কটিকা


১৯৬১ সালে এই স্থানটি আবিষ্কৃত হয়। এটি একটি পুকুর। এর পানি সমুদ্রের পানি থেকে ১৮ গুণ বেশি লবণাক্ত। ফলে জায়গাটি রহস্য সৃষ্টি করেছে। এই পুকুরটির দৈর্ঘ্য মাত্র ৩০০ ফুট, প্রসস্ত ১০০ ফুট এবং গভীরতা ০.১০ মিটার। এই জায়গার তাপমাত্রা মাইনাস ৩০ ডিগ্রী কমে গেলেও অতি লবণাক্ততার জন্য পানি কখনও সম্পূর্ণ জমে যায় না।


▶রক্তের জলপ্রপাত, অ্যান্টার্কটিকা


বরফের মাঝে রক্তের ছাপ। কী অদ্ভুত! অ্যান্টার্কটিকার এই জলপ্রপাতকে বলা হয় রক্তের জলপ্রপাত। গবেষকদের মতে, সেখানকার মাটিতে থাকা আয়রন ও সালফারের পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ায় পানির রঙ লাল হয়। এই লাল পানিই বরফের মাঝে রক্তের মতো মনে হয়। আরো বিস্ময়ের বিষয় হলো, এত ঠাণ্ডায় সেই পানি জমে না।


▶ম্যাগনেট পাহাড়, নিউ ব্রান্সউইক


পাহাড় থেকে কিছু ছেড়ে দিলে তা নিচের দিকেই গড়িয়ে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নিউ ব্রান্সউইকের এক পাহাড়ে সব কিছু টেনে নেয় ওপরের দিকে। মেন হবে, পাহাড়ে বুঝি চুম্বক আছে। তাই একে বলা হয় ম্যাগনেট পাহাড়। ১৯৩০ সাল পর্যন্ত এ আকর্ষণ বেশ জোরালো ছিলো, রহস্যময় কারণে তা পরবর্তিতে কমে যায়।


▶ডোর টু হেল


মধ্য এশিয়ার টারমেনিস্তানে এর অবস্থান। এটি এক জ্বলন্ত গর্ত। জ্বলন্ত জায়গাটি 'ডোর টু হেল' বা 'নরকের দরজা' নামে পরিচিত। ১৯৭১ সাল থেকে জায়গাটি অবিরত দাউ দাউ করে জ্বলছে। প্রাথমিকভাবে গবেষণা করে বিষাক্ত গ্যাসের ব্যাপারে গবেষকরা নিশ্চিত হন। সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, এই গ্যাস জ্বালিয়ে শেষ করা হবে। ফলে এখানে গর্ত করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয়। ধারণা ছিল অল্প কয় দিনেই এই আগুন নিভে যাবে। তবে এখনও তা জ্বলে চলছে একই তেজে।


রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষের জন্য এই রহস্যময় জায়গাগুলো নিঃসন্দেহে আকর্ষণীয়। তাই যদি অভিযানে নামতে চান, তো বেরিয়ে পড়তে পারেন।


সূত্র: ইন্টারনেট