গুণে ভরা আমলকী-মধুর জ্যাম!

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস March 11, 2017 856
গুণে ভরা আমলকী-মধুর জ্যাম!

আমলকীর গুণের কথা আমরা অনেকেই জানি। আমলকী ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে, রক্তস্বল্পতা প্রতিরোধ করে, স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। মধুরও রয়েছে অনেক স্বাস্থ্যকর গুণ।


মধুর মধ্যে আমলকী মিশিয়ে খেলে, এটি আরো অনেক উপকারী হয়ে উঠে। এতে আমলকীর স্বাদও বেড়ে যায়। মধু ও আমলকী একসাথে খেলে খাদ্যগুণ গুলোও একসাথে পাওয়া যায়।


যেভাবে তৈরি করতে হবে:

একটি মাঝারি আকৃতির বয়ামে অর্ধেক পরিমাণ মধু নিন। এর মধ্যে কয়েকটি আমলকী দিন। বয়ামের মুখ বন্ধ করে দিন। কিছুদিন পর দেখবেন আমলকী নরম হয়ে গেছে। এটি অনেকটা জ্যামের মতো হয়ে যাবে।


জেনে নেয়া যাক অামলকী ও মধু একসঙ্গে খেলে কী উপকার হয়।


হজমের সমস্যা সমাধানে:

এসিডিটি আর হজমের সমস্যা সমাধানে অামলকী ও মধু খুব ভালো উপাদান। এটি খাবার ভালোভাবে হজমে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধেও সাহায্য করে।


অ্যাজমা প্রতিরোধ করে:

মধুর মধ্যে অামলকী ভিজিয়ে খেলে অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস এবং অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা অনেকটাই কমে। এরমধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, এটি ফুসফুস থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে এবং ফ্রি রেডিকেলস দূর করতে সাহায্য করে। এটি ফুসফুসের নালীকে সরু করে দেয় এবং অ্যাজমার আক্রমণ প্রতিরোধ করে।


বার্ধক্যের চিহ্ন প্রতিরোধ করে:

মধুর মধ্যে অামলকী মিশিয়ে খেলে ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার গতিকে ধীর করে। এই উপকার পেতে মিশ্রণটি প্রতিদিন এক চা চামচ করে খেতে হবে। এটি বলিরেখা দূর করতেও সাহায্য করে।


লিভার ভালো রাখে:

মধু ও অামলকী একসাথে খেলে লিভারের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এটি লিভার থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। এটি লিভারের কার্যক্ষমতা ভালো করতে সাহায্য করে।


শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে:

অামলকী ও মধুর মিশ্রণ শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এই মিশ্রণ খেলে অন্ত্র ও রক্তের বিষাক্ত পদার্থ দূর হয়।


কফ, ঠাণ্ডা প্রতিরোধ করে:

কফ, ঠাণ্ডা এবং গলার সংক্রমণ প্রতিরোধে এই মিশ্রণ বেশ সাহায্য করে। ঠাণ্ডার সময় এক টেবিল চামচ অামলকী ও মধুর মিশ্রণ খেলে আরাম পাওয়া যায়। এর সাথে একটু আদার রস মেশাতে পারেন। অামলকী ও মধু গলার সংক্রমণের সাথে লড়াই করে।


মিশ্রণটি প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন। তবে যেকোনো খাবার নিয়মিত খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।