এই ১০টি স্বভাব থাকলে অবশ্যই আপনি ভালো স্বামী নন!

লাইফ স্টাইল March 11, 2017 961
এই ১০টি স্বভাব থাকলে অবশ্যই আপনি ভালো স্বামী নন!

হ্যাঁ‚ আমরা জানি আপনি মোটেই খারাপ স্বামী নন। কিন্তু দেখুন তো আপনার মধ্যে এই ১০টা স্বভাব আছে কি না? যদি আপনার উত্তর পজিটিভ হয় তাহলে বলতে বাধ্য হচ্ছি আপনি আপনার দায়িত্ব পালন করলেও এখন অবধি একজন ভালো স্বামী হয়ে উঠতে পারবেন।


১) আপনি কি সব ব্যাপারেই আপনার স্ত্রীর সমালোচনা করেন? দেখুন কেউ পার্ফেক্ট নয়। তাই আপনার স্ত্রী ও ভালো খারাপে মিশিয়ে। দিনরাত তার দোষ ত্রুটি না ধরে আপনার জন্য উনি যা করছেন তার প্রশংসা করুন। পরের বার দোষ ধরার বদলে তার প্রশংসা করেই দেখুন না‚ আপনারও ভালো লাগবে।


২) আপনি কি ভীষণ কন্ট্রোলিং? বিশ্বাস করুন আপনি মোটেই সব ব্যাপারে ঠিক সিদ্ধান্ত নেন না। মেনে নিন আপনার স্ত্রী কি করবে কি করবে না‚ নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তাই স্ত্রী কোথায় যাবে‚ কি পরবে‚ কি খাবে ‚ কি কিনবে তা নিজে না ডিসাইড করে‚ স্ত্রীর ওপরে ছেড়ে দিন। সব থেকে ভালো হয় দুজনে টিম হিসেবে কাজ করুন। দুজনে মিলে সিদ্ধান্ত নিন।


৩) স্ত্রী কে কি বস্তুর মতো ব্যবহার করেন? প্লিজ‚ আপনার স্ত্রী কিন্তু কোনো বস্তু নন। উনি আপনার স্ত্রী‚ বেস্ট ফ্রেন্ড এবং জীবনসঙ্গী। আপনি যেমন ওর কাছ থেকে সম্মান প্রত্যাশা করেন তেমনি স্ত্রীকে এবং তার শরীরকে সম্মান দিতে শিখুন। তাকে শুধুমাত্র আপনাকে আনন্দ দেওয়ার মেশিন না ভেবে তার সঙ্গে মজবুত ইমোশানাল কানেকশন তৈরি করার চেষ্টা করুন। কাম-বাসনা কিন্তু তখনি সুন্দর আর ফুলফিলিং হয় যখন দুজনেই দুজনকে সম্মান করবেন।


৪) স্ত্রীকে সময় না দিয়ে নিজেকে নিয়েই সারাদিন ব্যস্ত থাকেন? এতটাও ব্যস্ত হয়ে যাবেন না যে স্ত্রীকে একটা ফোন বা মেসেজ করার ও সময় নেই আপনার কাছে। অনেকে আবার এমন আছেন যে বাড়িতে থেকেও অন্য কিছু নিয়ে এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে ওকে সময় দেন না। এটা বন্ধ করুন। মানছি আপনি হয়তো কাজে ব্যস্ত থাকেন কিন্তু তার মধ্যেও তাকে মেসেজ করুন বা ফোনে কথা বলুন। স্ত্রী কে বোঝান উনিই আপনার জীবনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। কাজ‚ বন্ধু‚ টিভি এইসবের থেকেও জরুরী। সারাদিন কী করলেন‚ আপনি কী ভাবছেন বা কী নিয়ে চিন্তিত সবই কিছু নিয়েই আলোচনা করুন স্ত্রীর সঙ্গে।


৫) আপনি কি স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময় নোংরা ভাষা ব্যবহার করেন ? দয়া করে গালিগালাজ করা‚ নোংরা ভাষা ব্যবহার করা বন্ধ করুন। শুধু স্ত্রী নয় কারুর সঙ্গেই নোংরা ভাষায় কথা বলা উচিত নয়। স্ত্রী যদি আপনার সঙ্গে নোংরা ভাষায় কথা বলে‚ তা যেমন আপনি মেনে নেবেন না‚ নিজের ক্ষেত্রেও তা মেনে চলুন।


৬) নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখেন? বিয়ে ভাঙার অন্যতম কারণের মধ্যে একটা হলো নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখা। আপনি যদি পর্নোগ্রাফির প্রতি অ্যাডিকটেড হন তাহলে এটা কিন্তু এক ধরণের অসুখ। দরকার হলে বাইরে সাইকোলজিস্টের সাহায্য নিন।


৭) স্ত্রীর থেকে উচ্চ প্রত্যাশা রাখেন? আপনি নিজে সব প্রত্যাশা পূরণ করতে পেরেছেন কি? তাহলে স্ত্রীর কাছ থেকেও উচ্চ প্রত্যাশা রখবেন না। একই সঙ্গে দয়া করে স্ত্রীর সঙ্গে অন্য কারুর তুলনা করবেন না। এর ফলে কিন্তু আপনার স্ত্রীর আত্মসম্মান নষ্ট হয়ে যাবে। আপনার স্ত্রী যেমন আপনাকে ক্ষমা করে দেয় আপনিও তাকে সহজেই ক্ষমা করার চেষ্টা করুন।


৮) স্ত্রী কে বাড়ির কাজে সাহায্য করেন? আজকাল বেশির ভাগ স্ত্রীরাই বাইরে কাজ করেন। তাই বাড়ি ফিরে নিজে টিভির সামনে বসে না থেকে স্ত্রীকে সাহায্য করুন। অবশ্য স্ত্রী রোজগার না করলেও তাকে বাড়ির কাজে সাহায্য করা কিন্তু আপনার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। স্ত্রী কে সব সময় টিম মেম্বার ভাবুন। আপনি একা যেমন সব কাজ করতে পারবেন না স্ত্রীর বেলাতেও তা মেনে চলুন।


৯) সহজেই মেজাজ হারান? আপনি যদি মনে করেন স্ত্রী ওপর অহেতুক চিৎকার করলে তাকে বশে রাখবেন তাহলে আপনি ভুল ভাবছেন। উল্টে এতে কিন্তু আপনার ক্ষতিই হবে বেশি। যদি দেখেন যে আপনি নিজের রাগ কন্ট্রোল করতে পারছেন না তাহলে অবশ্যই প্রফেশনালের সাহায্য নিন।


১০) স্ত্রী কে কথায় কথায় মিথ্যা বলেন এবং তাকে প্রতারণা করছেন? আপনি যদি মনে করে আপনি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়বেন আর আপনার স্ত্রী কোনদিন তা জানতে পারবে না‚ আপনি ভুল ভাবছেন। অবশ্য সত্যিই যদি স্ত্রী জানতে নাও পারে তাহলেও এমনটা করা ভুল। সৎ এবং কমিটেড থাকার চেষ্টা করুন দেখবেন স্ত্রীর সঙ্গে আপনি নিজেও অনেক শন্তিতে থাকবেন।


ওপরের স্বভাবগুলোর সঙ্গে নিজেকে আইডেন্টিফাই করতে পারলে নিজেকে খারাপ না ভেবে নিজের মধ্যে পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন।মানুষ চাইলে কী না পারে!