মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় ভূস্বর্গ কাশ্মীরের শ্রীনগর দর্শন

দেখা হয় নাই March 10, 2017 1,110
মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় ভূস্বর্গ কাশ্মীরের শ্রীনগর দর্শন

ভারতে ঘুরতে যাওয়ার মতো স্থানের শেষ নেই। এদের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয় একটি স্থান কাশ্মীরের শ্রীনগর। এটা স্রেফ এক টুকরা ভূস্বর্গ। এই শহরের ইতিহাস-ঐতিহ্য ২০০০ বছরের পুরনো। শুধু ভারতীয়রাই নয়, গোটা বিশ্বের পর্যটকরা ছুটে আসেন একনজরে স্বর্গ দেখার আশা নিয়ে। মাত্র দুই দিনেই কিন্তু শ্রীনগরের পুরো স্বাদ গ্রহণ করা সম্ভব। মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় শ্রীনগর দর্শনে নিন কার্যকর টিপস।


▶প্রথম দিন


১.ওউলার লেকে মাছ ধরতে ভুলবেন না। এটা কিন্তু এশিয়ার সর্ববৃহৎ স্বাদুপানির রেক। শ্রীনগর থেকে এই লেকে পৌঁছতে আধা ঘণ্টার মতো লাগবে। কাশ্মীরের ৬০ শতাংশ মাছের জোগান দেয় এই লেক। আপনিও মাছ ধরার আন্দন উপভোগ করতে পারেন এখানেই।


২. প্রাচীন সময়ের রূপার গহনা কেনা পর্যটকদের কাছে আরেক আকর্ষণ। অলংকার বা ঘরের শোভা বর্ধনে রূপার জিনিস কেনার সেরা স্থান শ্রীনগর। উপচে পড়া রূপার জিনিপত্র থেকে নিজের পছন্দেরটি বেছে নিন।


৩. ঝেলুম নদীর পাড়েই রয়েছে আহদুস রেস্টুরেন্ট। এটা কাশ্মীরের খাবার সম্পর্কে পুরো ধারণা দেবে আপনাকে। ভারতীয়, মুঘর এবং চাইনিজ খাবারও মিলবে। যদি যান তো 'ওয়াজওয়ান' খেতে ভুল করবে না।


৪. গাছ থেকে আপেল পেড়ে খাওয়ার অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন এখানে। বাংলাদেশ, নেপালসহ ভারতের বাজারের ৮০ শতাংশ আপেল এখান থেকে সরবরাহ করা হয়। অনিন্দ্য সুন্দর আপেল বাগানে হারিয়ে যান আর ইচ্ছামতো গাছ থেকে পেড়ে খান।


৫. শ্রীনগরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুঘল বাগান হলো শালিমার বাগ। পানির চ্যানেল বয়ে গেছে টেরেসের মধ্য দিয়ে। চতুর্থ টেরেস হাউজটি একটি প্যাভিলিয়ন যা তৈরি হয়েছে কালো মর্মর দিয়ে।


৬. রাতটা কাটাতে পারেন ললিত গ্র্যান্ড প্যালেসে। এক বিলাসী হোটেল যেখান থেকে জাবারওয়ান পর্বতের অপরূপ শোভা দেখা যায়।


▶দ্বিতীয় দিন


১. খুব সকালে শহরের সব বেকারি খুলে যায়। টাটকা খাবারে সকালের নাস্তা সারতে পারবেন। লাল চৌক এবং ডাগেট এলাকায় চলে যান নাস্তা কিনতে।


২. শুকনো ফল আর মসলার জন্য বিখ্যা শ্রীনগর। গুণগতমানে এরা সেরা। তাই কিছু কিনে কিনে নিতে পারেন বাড়ির জন্য।


৩. এশিয়ার সবচেয়ে বড় টিউলিপ ফুলের বাগানটি হলো ইন্দ্রা গান্ধী মেমোরিয়াল টিউলিপ গার্ডেন। এগুলো যখন ফোটে তখন হাজার হাজার মানুষ ছুটে আসেন দেখতে।


৪. শিকারায় ভ্রমণ আপানর শ্রীনগর দর্শনকে পরিপূর্ণ করবে। রংচংয়ে রোবোটগুলোকে শিকারা বলা হয়। এগুলোয় চড়ে পর্যটকরা ঘুরে বেড়ান লেকে। সূত্র: ইন্টারনেট