এই বদ অভ্যাসগুলির জন্য আপনি মারা যেতে পারেন!

লাইফ স্টাইল March 7, 2017 1,213
এই বদ অভ্যাসগুলির জন্য আপনি মারা যেতে পারেন!

অজান্তেই আমরা অনেকেই মৃত্যুমুখে ধাবিত হই। আর এক্ষেত্রে কেটালিস্টের কাজ করে আমাদেরই কিছু বদ অভ্যাস। এইসব রোজকেরে অভ্যাসগুলিই ধীরে ধীরে আমাদের শেষ করে দেয়। আর জল যখন গলা ছাড়িয়ে মাথা পর্যন্ত পৌঁছে যায়, তখন দৌড়াই ডাক্তারের কাছে। কিন্তু তখন আর কিছু করারই থাকে না। তাই বেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগে এখন থেকেই সচেতন হন, না হলে কিন্তু বিপদ!


বেশি খাওয়ার অভ্য়াস যেমন খারাপ, তেমনি একেবারে কম খাওয়াও স্বাস্থ্য়ের পক্ষে ভাল নয়। আপাত দৃষ্টিতে মনে হওয়া এমনই কিছু অতি সাধারণ ভুলের কারণে আমাদের শরীর ভেতর থেকে খারাপ হতে শুরু করে। আর এই ক্ষয় এক সময় ডেকে আনে বড় কোনও রোগকে, যা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।


কী কী বদ অভ্যাসের কারণে আমাদের ক্ষতি হয়, চলুন জেনে নিন সে সম্পর্কে।


অতিরিক্ত মাংস খেলে:

কোনও কিছুই বেশি খাওয়া উচিত নয়। একাদিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে দীর্ঘ সময় ধরে মাত্রাতিরিক্ত মাংস খেলে তার কুপ্রভাব পরে কিডনিতে। আসলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে গেলে কিডনি সেই অতিরিক্ত চাপ নিতে পারে না, ফল বিকল হতে শুরু করে।


প্রস্রাব চেপে থাকলে:

আমরা অনেকেই নানা কারণে প্রস্রাব চেপে থাকি। এমনটা করলে ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন, যেমন-ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন, ইউরেমিয়া এবং নেফ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর এমনটা নিশ্চয় সকলেরই জানা আছে যে কোনও ধরনের সংক্রমণই শরীরের পক্ষে ভাল নয়।


মাত্রাতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া:

অতিরিক্ত চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। আর এমনটা হলে তার কুপ্রভাব পরে কিডনির উপর। প্রসঙ্গত, যদি দেখেন প্রস্রাবের সঙ্গে প্রোটিন বেরচ্ছে, তাহলে বুঝবেন কিডনি খারাপ হতে শুরু করেছে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে শীঘ্র চিকিৎসা শুরু না করলে কিন্তু বিপদ!


পেন কিলার খাওয়ার অভ্যাস:

অতিরিক্ত পেন কিলার খেলে ধীরে ধীরে কিডনি তার কর্মক্ষমতা হারাতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, লিভারের কাজ করার ক্ষমতাও কমে যায়।


মাত্রতিরিক্ত অ্যালকেহল সেবন:

এই অভ্যাসের কারণে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। আর এমনটা হলে কিডনি ফেলিওরের আশঙ্কা বহুগুণে বৃদ্ধি পায়।


বেশি নুন খাওয়া একেবারেই ভাল নয়:

শরীরে প্রবেশ করা অতিরিক্ত নুনকে শরীর থেকে বের করে দিতে কিডনিকে অতিরিক্ত কাজ করেত হয়। ফলে কিডনি অল্পতেই হাঁপিয়ে যেতে শুরু করে। আর এমনটা দীর্ঘদিন ধরে হতে থাকলে কিডনির কার্মক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত নুন খেলে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়।


ঠিক মতো না ঘুমলে:

শরীরকে টিক রাখতে প্রতিদিন ৬-৮ ঘন্টা ঘুমানো জরুরি। এমনটা না হলেই কিডনি খারাপ হতে শুরু করে। কারণ কি জানেন? ঘুমনোর সময়ই কিডনি নিজের ক্ষতের চিকিৎসা করে। ফলে ঠিক মতো না ঘুমলে কিডনির পক্ষে নিজের দেখভাল করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে ধীরে ধীরে কিডনি খারাপ হতে শুরু করে।


পর্যাপ্ত জল না খেলে:

ঠিক মতো জল না খেলে রক্ত চলাচল ব্য়হত হয়, সেই সঙ্গে কিডনিও ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে শরীরে বিষ বা টক্সিনের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। আর এমনটা হলেই দেখা দেয় হাজারো জটিল রোগ।


তথ্যসূত্রঃ বোল্ডস্কাই