ঘুরে আসুন পদ্মাপাড়ের 'বিক্রমপুর জাদুঘর'

দেখা হয় নাই March 7, 2017 1,342
ঘুরে আসুন পদ্মাপাড়ের 'বিক্রমপুর জাদুঘর'

মুখে মুখে এখনো শুনে আসছেন বিক্রমপুরের নাম কিন্তু খুঁজে পাচ্ছেন না। মানচিত্র নিয়ে বসে গেছেন- মানচিত্রে বিক্রমপুর নেই। অনেকের মুখেই শুনেছেন তিনি বিক্রমপুরে থাকেন। তাহলে কোথায় গেল বিক্রমপুর? বিক্রমপুর আছে তবে? তবে কী? বাংলাদেশের ঐতিহ্য বিক্রমপুর। এই বিক্রমপুরকেই এখন জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হয়েছে।


ঢাকায় থাকেন, যাদের হাতে একদিনের ছুটি রয়েছে। কোথায় যাবেন ভেবে পাচ্ছেন না। তাদের জন্য মহামূল্যবান পরামর্শ এক ঢিলে অনেকগুলো পাখি মেরে আসুন। কি কি পাখি? পাখি তো কথার কথা।


আপনি যখন বিক্রমপুর জাদুঘর দেখতে যাবেন, একই সাথে দেখে আসবেন পদ্মার সৌন্দর্য। চাইলে ঘুরতে পারবেন বসন্তর নিরীহ পদ্মায়। বিকেলের পদ্মায় যেন মায়া নামে। মন ফেলে আসতে হবে পদ্মায়।


▶কী কী দেখবেন?


বিক্রমপুর এখন জাদুঘরে চলে গেছে। বিক্রমপুরের স্থানে এখন সেটা মুন্সীগঞ্জ। মুন্সীগঞ্জের ভাগ্যকূলের বিখ্যাত জমিদার রায় বাহাদুর যদুনাথের বাড়িতেই এখন বিক্রমপুর জাদুঘর বানানো হয়েছে। ২০১৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জাদুঘর খুলে দেওয়া হয়। জাদুঘরে বিক্রমপুরের ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো সংরক্ষিত রয়েছে।


রয়েছে বিক্রমপুরের শিক্ষা-সংস্কৃতির প্রসারে যেসব ব্যক্তি কাজ করেছেন তাদের অবদানের স্মারক। আর পুরো এলাকাটাই যেহেতু ভাগ্যকূলের বিখ্যাত জমিদার রায় বাহাদুর যদুনাথের বাড়ি সেহেতু জমিদারের বাড়ির স্থাপত্যও আপনাকে মুগ্ধ করবে।


জাদুঘর দেখা হয়ে গেলেই ঘুরে আসতে পারেন পদ্মা। জাদুঘর থেকে সামান্য দূরেই ভাগ্যকূল বাজারের পাশেই পদ্মা নদী। পদ্মার সৌন্দর্য নিমিষেই আপনাকে বিমোহিত করবে। দেশের নামকরা ভাগ্যকূলের মিষ্টিও খেয়ে আসতে পারবেন। সবশেষ আপনি চাইলে মাওয়া ঘাট থেকেও ঘুরে আসতে পারবেন। ভাগ্যকূল থেকে মাওয়া খুব বেশি দূরে নয়।


▶কীভাবে যাবেন


ঢাকার গুলিস্তান থেকে আরাম সার্ভিসের ভাগ্যকূলের বাসে উঠে পড়বেন। ভাড়া ৬৫ টাকা। নামবেন বালাশুর বাসস্ট্যান্ডে। সেখান থেকে অটোরিকশায় বিক্রমপুর জাদুঘর যেতে জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়া লাগবে।