একটি ছুঁচের সাহায্যেই বাঁচতে পারেন মারণ স্ট্রোকের আক্রমণ থেকে। জানুন কীভাবে

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস March 6, 2017 953
একটি ছুঁচের সাহায্যেই বাঁচতে পারেন মারণ স্ট্রোকের আক্রমণ থেকে। জানুন কীভাবে

স্ট্রোক নিঃসন্দেহে একটি মারণ রোগ। যখন ক‌েউ স্ট্রোকে আক্রান্ত হন, তখন তাঁর মস্তিস্কের ক্যাপিলারিগুলি স্ফীত হয়ে ওঠে। স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে নাড়াচাড়া করা বিপজ্জনক বলে প্রতিপন্ন হতে পারে। কারণ সে ক্ষেত্রে ক্যাপিলারিগুলি ফেটে গিয়ে মস্তিস্কের ভিতরে রক্তপাত শুরু হতে পারে। বরং সেই মুহূর্তে হাতের কাছে থাকা একটি ছুঁচই বাঁচাতে পারে রোগীর প্রাণ।


‘লাইফস্টাইল টকস’ নামের স্বাস্থ্য-পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ছুঁচের সাহায্যে স্ট্রোকের আক্রমণ প্রতিহত করার এই কৌশল আসলে প্রাচীন চৈনিক চিকিৎসাবিজ্ঞানসম্মত একটি পদ্ধতি।


কী ভাবে কার্যকর হতে পারে এই কৌশল? জানানো হচ্ছে, এই পদ্ধতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে সুরক্ষিত মনে করা হয় ডাক্তারি সিরিঞ্জের নিডল বা ছুঁচকে। কিন্তু হাতের কাছে সিরিঞ্জের ছুঁচ না থাকলে কাপড় সেলাইয়ের ছুঁচ দিয়েও কাজ চালানো যেতে পারে।


ঠিক কী করতে হবে এই ছুঁচ দিয়ে? আসুন, জেনে নিই—


১. প্রথমে ছুঁচের ডগাটিকে মোমবাতি, উনুন বা লাইটারের আগুনে ধরে ভাল করে গরম করে নিন।


২. এর পর যিনি স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁর দুই হাতের দশ আঙুলের ডগায় ছুঁচটিকে ফুটিয়ে দিন।


৩. কোনও নির্দিষ্ট পয়েন্টে ছুঁচ ফোটানোর আবশ্যকতা নেই। মোটামুটি আঙুলের ডগার মাঝামাঝি এমন ভাবে ছুঁচটা ফোটাতে হবে, যাতে বিন্দু বিন্দু রক্ত আঙুলের ডগা থেকে বার হতে থাকে।


৪. যদি স্বাভাবিক ভাবে রক্তপাত না হয়, তা হলে রোগীর আঙুলের ডগা চেপে ধরে রক্ত বার করে দিন।


৫. এই ভাবে মিনিট কয়েক রক্তপাত হওয়ার পরেই দেখবেন রোগী অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছেন।


৬. যদি স্ট্রোকের প্রভাবে রোগীর মুখ বেঁকে যায়, তা হলে তাঁর দুই কানে জোরে জোরে হাত দিয়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। যতক্ষণ না দু’টি কান লাল হয়ে উঠছে, ততক্ষণ এই কাজ করুন।


৭. কান দু’টি লাল হয়ে যাওয়ার পরে দুই কানের লতিতে ছুঁচ ফুটিয়ে দিন। কিছুক্ষণ রক্তপাতের পরেই দেখবেন রোগীর মুখ স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।


রোগী একটু স্বাভাবিক হলেই তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যান।


সূত্রঃ এবেলা