মানসিক চাপ কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে?

লাইফ স্টাইল March 5, 2017 752
মানসিক চাপ কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে?

নানা কারণে আমাদের মানসিক চাপ হতে পারে। নাগরিক জীবনে এটি যেন জীবনেরই অংশ হয়ে উঠেছে। এটি আপনি কোনো মাপকাঠিতে মেপে বলতে পারবেন না যে, ঠিক কতখানি চাপ রয়েছে। তবে এ মানসিক চাপ কখনো এমন পর্যায়ে যেতে পারে যা নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন হয়ে পড়ে। কিছু লক্ষণে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছে কি না। এ লেখায় তুলে ধরা হলো তেমন কিছু লক্ষণ।


১. দাঁত কিড়মিড়

এটি আপনার রেগে গেলে দাঁত কিড়মিড় করার থেকেও ভয়ঙ্কর। অতিরিক্ত মানসিক চাপে থাকলে ঘুমের মধ্যেও নিজের অজান্তে দাঁত কিড়মিড় হতে পারে। এ ধরনের লক্ষণ যদি আপনার মাঝে দেখা দেয় এবং এর কোনো স্পষ্ট কারণ খুঁজে না পান তাহলে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। প্রয়োজনে মানসিক চাপ কমানোর পদক্ষেপ নিতে হবে।


২. নতুন কিছু শিখতে সমস্যা

মানসিক চাপ যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে নতুন কোনো বিষয় মাথায় প্রবেশ করে না। পরীক্ষার আগে যদি মানসিক চাপ বেশি হয়ে যায় তাহলেও এ বিষয়টি কাজ করে। পড়া বোধগম্য হয় না। এক্ষেত্রে মূল বিষয়টি হতে পারে অতিরিক্ত মানসিক চাপ। এজন্য মানসিক চাপ কমানোর বিকল্প নেই।


৩. অযাচিত শব্দ শোনা

যে শব্দ কিংবা কথা কেউ বলেনি, আপনার কানে তাও শোনা যেতে পারে। আর এ ধরনের শব্দগুলোর বাস্তব কোনো ভিত্তি নেই- আপনার মনের কল্পনা। বাড়তি বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়া মানসিক চাপের কারণে এমনটা হতে পারে।


৪. এলার্জির আক্রমণ

এলার্জির আক্রমণ যদি কোনো কারণ ছাড়াই বেড়ে যায় তাহলে বিষয়টি ঠিক এলার্জির কারণে নাও হতে পারে। এর কারণ হতে পারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া মানসিক চাপও।


৫. ওজন বৃদ্ধি

দেহের অস্বাভাবিক ওজন বৃদ্ধির পেছনেও থাকতে পারে বাড়তি মানসিক চাপ। আর এজন্য দেহের ওজন বৃদ্ধি কিংবা হঠাৎ খাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ সঠিকভাবে অনুসন্ধান করা প্রয়োজন।


৬. দীর্ঘশ্বাস বৃদ্ধি

আপনার যদি ঘন ঘন দীর্ঘশ্বাস নেওয়ার প্রবণতা দেখা দেয় তাহলে এর কারণ অনুসন্ধান করুন। কারণ দীর্ঘশ্বাস বৃদ্ধির পেছনে থাকতে পারে বাড়তি মানসিক চাপ।


৭. জিনিসপত্র পড়ে যাওয়া

হাত থেকে চায়ের কাপ পড়ে যাওয়া, মোবাইল পড়ে ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা শুধু অসতর্কতার কারণেই ঘটে না, মানসিক চাপের কারণেও ঘটে। আপনার যদি এমনটা হয় তাহলে মানসিক চাপ কমাতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।