কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা পেটে সমস্যা?

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস March 2, 2017 1,048
কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা পেটে সমস্যা?

স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে কম বেশি অনেকেই পেটের পীড়ায় ভুগে থাকেন। আমাশয় কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন এমন লোকের সংখ্যা আমাদের দেশে কম নয়। গ্যাস্ট্রিক আলসারসহ পেটের নানাবিধ সমস্যা সমাধানে অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল হচ্ছে বেল। প্রাচীনকাল থেকেই গ্রামগঞ্জে পেটের পীড়ায় ঘরোয়া টোটকা হিসেবে বেলের শরবত ব্যবহৃত হয়ে আসছে।


সাধারণত গরমের দিনে একগ্লাস বেলের শরবত শরীর ও মনে শান্তি নিয়ে আসে। পেটের গোলমাল দূর করতেও বেলের জুড়ি মেলা ভার। বেলে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার বা আঁশ। যা খাবার হজমে দারুন সহায়তা করে।


বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি ইউনানী ও আয়ুর্বেদী ওষুধ তৈরিতে কাঁচা ও পাকা বেল দুটোরই কদর আছে। এছাড়া শুকনো বেল দিয়েও তৈরি হয় বিভিন্ন ধরনের ভেষজ ওষুধ। পেটের নানা রকম রোগ সারাতে বেল জাদুর মতো কাজ করে।


কাঁচা বেল ডায়রিয়া ও আমাশয় রোগে অব্যর্থ ওষুধ হিসাবে বিবেচিত। বেলে আছে প্রচুর পরিমান ভিটামিন সি, ভিটামিন এ,ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও পটাসিয়াম। পাকা বেলে ভিটামিন ‘সি’ এবং ‘এ’ প্রচুর পরিমাণে থাকে।


যাদের পাইলস, অ্যানাল ফিস্টুলা, হেমোরয়েড (মলদ্বারের রোগ) আছে তাদের জন্য বেল খুব উপকারী।


বেলের বীজগুলো পিচ্ছিল ধরনের হওয়ায় এ ফল পাকস্থলীতে খাবার হজমের ক্ষেত্রে সহায়তা করে। এতে করে খাবার সঠিকভাবে হজম হয়।


দীর্ঘদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে শরীরে নানা রকমের অসুখ তৈরি হয়। নিয়মিত বেল খেলে এ সমস্যা দূর হয়।


শীতের শেষ দিক থেকে বাজারে বেল পাওয়া যায়। বসন্ত ও গ্রীষ্মকালীন রোগব্যাধির বিরুদ্ধে শক্তিশালী রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে নিয়মিত বেলের শরবত খাওয়া যেতে পারে।


পেটের সমস্যার কারণে ত্বকে ব্রন ও অন্যান্য রোগব্যাধির সৃষ্টি হয়। আয়ুর্বেদশাস্ত্র মতে, নিয়মিত বেল খেলে ব্রনের সমস্যাও দূর হয়। এছাড়াও পাকস্থলীর আলসার নিরাময়েও বেল দারুন কাজ করে।


বেলের শরবত বানানো খুবই সোজা। পাকা বেল একটি চালনি দিয়ে চেলে নেওয়া যেতে পারে। অথবা ব্লেন্ডারে দিয়েও অল্প সময়ের মধ্যে বেলের শরবত বানানো যায়। ফুটপাত ও বিভিন্ন ধরনের খাবার দোকানে ব্লেন্ডার দিযে বেলের শরবত বানিয়ে বিক্রি করা হয়। সবচেয়ে নিরাপদ হচ্ছে ঘরে তৈরি করে খাওয়া।


লেখক : রেইকি প্র্যাকটিশনার, সেকেন্ড ডিগ্রি চ্যানেল।