অবসাদ মুক্তিতে নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে চলুন

লাইফ স্টাইল February 23, 2017 554
অবসাদ মুক্তিতে নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে চলুন

নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, নেতিবাচক চিন্তা আপনাকে মানসিক অবসাদে আক্রান্ত করতে একটি প্রধান ভুমিকা পালন করে। যার ফলে আপনার ঘুম এবং খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাসও প্রভাবিত হয়। এতে উৎপাদনশীলতা কমে আসে এবং আত্মসমালোচানর প্রবণতা বাড়ে।


মানসিক অবসাদে ভোগার লক্ষণগুলো হলো, নেতিবাচক চিন্তায় আচ্ছন্ন থাকা এবং প্রায়ই বিরক্তবোধ করা।


ইওর দোস্ত নামের একটি অনলাইন কাউন্সেলিং এবং আবেগের সুস্থতা বিষয়ক পোর্টালের একটি গবেষণায় দেখা গেছে, “নেতিবাচক চিন্তায় আচ্ছন্নতা মানসিক অবসাদের প্রধান লক্ষণগুলোর একটি। ”


এতে দেখা গেছে, ৫০% ক্ষেত্রে ‘বিরক্তির অনুভূতি’ এবং ‘হতাশাপূর্ণ চিন্তা’ অবসাদের লক্ষণ। এছাড়া খাবার গ্রহণ এবং ঘুমে অনিয়মও এর লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত।


“ওই গবেষণায় অংশ নেওয়া ৪১% রোগী বলেছেন অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার পর তাদের ঘুম এবং খাবার গ্রহণের অভ্যাস বদলে গেছে। আর ৩৯% রোগীর মেজাজ পরিবর্তিত হয়ে যায়। ”


“৩৬% রোগীর মধ্যে উৎপাদনশীলতা কমে যেতে দেখা গেছে। আর অভিভূতকারী অনুভূতি এবং আত্মসমালোচনা বেড়ে গেছে ৩৫% রোগীর মধ্যে। ”


মনোবিজ্ঞানীদের মতে, জীবন যাত্রার ধরণ বদলে যাওয়ার কারণে লোকের মাঝে মানসিক অবসাদ বাড়ছে। আর ব্যক্তিত্ব এবং চারপাশের পরিবেশের মধ্যে অসঙ্গতিও মানসিক অবসাদের কারণ হয়ে উঠছে।


জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অবসাদের মাত্রা বাড়ছে। নিয়ত প্রাতিষ্ঠানিক, পেশাগত ক্ষেত্র এবং জীবন যাত্রার ধরনে উচ্চ প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ এবং নতুন নতুন চাহিদার কারণেই আমরা মানসিক অবসাতে আক্রান্ত হই।


এর পাশাপাশি সমাজের আবেগগত এবং সম্পর্কের সংহতি ভঙ্গুর হয়ে পড়েছে। যার ফলে দাম্পত্য সম্পর্কে বিচ্ছেদ, পারিবারিক/বৈবাহিক কলহ এবং নিঃসঙ্গতা বেড়ে চলেছে। যার পরিণতিতে আবেগগত ভাঙ্গন, অন্তর্মুখিনতা এবং সামাজিক ফোবিয়াও বাড়ছে। অথচ সামাজিক পরিমণ্ডলে সাধারণত বহির্মুখিনতাই বেশি কাম্য।


গবেষনায় আরেকটি বিস্ময়কর বিষয় উঠে আসে যে, অবিবাহিত এবং সিঙ্গেলরাই সহজে মানসিক অবসাদ কাটিয়ে উঠতে পারেন। কিন্তু বিবাহিতরা একবার অবসাদের আক্রান্ত হলে আর তা থেকে সহজে মুক্ত হতে পারেন না।