রূপচর্চায় দুধের নানামুখী ব্যবহার!

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস February 22, 2017 657
রূপচর্চায় দুধের নানামুখী ব্যবহার!

সুস্বাস্থ্যের জন্য দুধের উপকারিতার কথা কে না জানে। কিন্তু স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও যে বিশেষ কার্যকর তা জানেন কি? দুধ প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে।


শুষ্ক ত্বককে কোমল করে তুলতে দুধের জুড়ি নেই। কাঁচা দুধ ত্বকে ব্যবহার করা বেশ উপকারী, এছাড়াও দুধের সঙ্গে আরও কিছু ঘরোয়া উপাদান মিশিয়ে তৈরি করতে পারেন ত্বকোপযোগী বিভিন্ন ধরনের মাস্ক।


১) দুধের তৈরি মাস্কঃ এই মাস্ক তৈরি করতে লাগবে তিন টেবিল চামচ দুধ, দুই টেবিল চামচ ওটস, খানিকটা মধু এবং অল্প পরিমাণে হলুদ। এই উপাদানগুলোর মিশ্রণ ত্বক পরিষ্কার করে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই মিশ্রণ ব্যবহার করা যেতে পারে। শীত এবং আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় যখন ত্বক প্রাণহীন হয়ে পড়ে তখন এই মাস্ক দারুণ উপকারী। কারণ দুধ ও মধু ত্বক কোমল রাখতে সাহায্য করবে।


২) দুধ ও ওটমিল মাস্কঃ ত্বকে জমে থাকা ময়লা এবং মৃত কোষের পরত পরিষ্কার করতে নিয়ম করে এক্সফলিয়েট করা জরুরি। আর এজন্য স্ক্রাবারের সাহায্যে এক্সফলিয়েশন করতে হয়। এতে ত্বক পরিষ্কার হয় এবং ত্বকে বলিরেখা পড়ার সম্ভাবনাও কমায়। বাজারে নানাধরনের স্ক্রাবার কিনতে পাওয়া যায়, তবে ঘরে তৈরি করা হলে তার উপকারিতাও বেশি হবে এবং এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও থাকবে না। চার টেবিল চামচ ওটমিলের সঙ্গে চারটি কাঠবাদাম গুঁড়া করে মিশিয়ে নিতে হবে। পরিমাণমতো দুধ এবং এক টেবিল চামচ মধু দিয়ে ওটমিল ও কাঠবাদামের মিশ্রণে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। মুখের ত্বকে এই মিশ্রণ লাগিয়ে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে আলতো হাতে মালিশ করতে হবে। এতে ত্বকে জমে থাকা ময়লা এবং মৃতকোষ পরিষ্কার হবে। এরপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।


৩) কুমড়া, মধু ও দুধের সরের মাস্কঃ ত্বক ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে এই মাস্কের জুড়ি নেই। কুমড়া ত্বককে ভিতর থেকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং মধু ত্বকের নানান রকম সমস্যা সারাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে। আর দুধের সর ত্বককে নমনীয় ও মসৃণ করে তোলে। এই প্যাক তৈরি করতে লাগবে দুই টেবিল চামচ মিহি করে বাটা কুমড়া, আধা চামচ বাটারমিল্ক বা দুধের সর এবং এক চামচ মধু। এই তিনটি উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এরপর হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।


৪) ক্লিনজিং মিল্কঃ বাইরে থেকে ঘরে ফিরে প্রথমেই ত্বকে জমে থাকা ময়লা এবং দূষিত পদার্থগুলো পরিষ্কার করে নেওয়া জরুরি। নতুবা জমে থাকা ময়লা থেকে নানান ধরনের সমস্যা শুরু হতে পারে। ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার করা না হলে লোমকূপ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। ব্রণ, ব্ল্যাকহেডস, হোয়াইট হেডস ইত্যাদি সমস্যার সূত্রপাত হয় বন্ধ ও অপরিষ্কার লোমকূপ থেকে।


দিনে একবার তুলা দুধে ভিজিয়ে ত্বক মুছে নেওয়া যেতে পারে। এতে ত্বকের ময়লা দূর হয়। বাজারে যেসব ক্লিনজার পাওয়া যায় তার থেকে দুধ বেশি উপকারী। কারণ এতে কোনো কেমিকল নেই। তাছাড়া দুধ ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করবে।