ত্বক ও চুলের সমস্যায় অলিভ অয়েল

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস February 19, 2017 737
ত্বক ও চুলের সমস্যায় অলিভ অয়েল

খ্রিস্টপূর্ব প্রায় অষ্টম শতাব্দী থেকে অলিভ গাছের সঙ্গে পরিচিত হয়েছে মানুষ। স্পেনে সব থেকে বেশি পরিমাণে এই গাছ পাওয়া যায়। তার পরেই রয়েছে ইতালি ও গ্রিস। কিন্তু, ব্যবহারের দিক থেকে গ্রিসের নাম রয়েছে একেবারে উপরে। এর কারণ, অলিভ তেলের নানা গুণাগুণ। অলিভ অয়েল মূলত রান্নায় ব্যবহার করা হলেও, বর্তমানে তা জায়গা করে নিয়েছে প্রাসাধনীতেও। ইদানিং, অলিভ অয়েল কাজে লাগানো হচ্ছে সাবান তৈরিতেও।


বৈজ্ঞানিক মতে, এক চামচ অলিভ অয়েলে রয়েছে...


• ১১৯ ক্যালোরি

• ১৩ গ্রাম ফ্যাট

• ১.৯ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই

• ৮.১ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন কে

• কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও প্রোটিন এতে একেবারেই নেই


এ বার দেখে নেওয়া যাক, অলিভ অয়েল ব্যবহারের ফলে ত্বক ও চুলের কী কী উপকার হয়...


১। যাঁদের খুশকির সমস্যা রয়েছে, তাঁরা সপ্তাহে দু’দিন ভাল করে মাথায় এই তেল ম্যাসাজ করুন। তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিলে খুব ভাল ফল পাওয়া যায়।


২। অলিভ অয়েলের সঙ্গে অল্প নারকেল তেল মিশিয়ে চুলের আগা তাতে চুবিয়ে রাখুন। এতে চুল নরম থাকে, এবং ফাটার সম্ভাবনা থাকে না।


৩। অন্য যে কোন তেলের তুলনায় অলিভ অয়েল খুবই হাল্কা, যে কারণে খুব সহজেই মিশে যায় ত্বকের সঙ্গে। রাতে ঘুমনোর আগে, প্রতিনিয়ত কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মুখে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকার ফলে তা ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। যার ফলে ত্বক অনেক বয়স পর্যন্ত মসৃণ ও টানটান থাকে।


৪। প্রতি নিয়ত নেলপলিশ ব্যবহারের ফলে নখের দফারফা হতেই পারে। সপ্তাহে এক দিন ১৫ মিনিটের মত নখ ভিজিয়ে রাখুন অলিভ অয়েলে। ফল পাবেন।