নিয়মিত কিশমিশ খাওয়ার ৮ উপকারিতা জেনে নিন

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস February 14, 2017 845
নিয়মিত কিশমিশ খাওয়ার ৮ উপকারিতা জেনে নিন

কিশমিশ খাওয়া আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। নানা ধরণের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস। তবে ডায়াবেটিস রোগীদের বেশি কিশমিশ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।


১. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বাড়ায়

কিশমিশে রয়েছে বোরন যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। বোরন মনোযোগ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে কার্যকরী একটি উপাদান। মাত্র ১০০ গ্রাম কিশমিশ থেকে প্রায় ২.২ মিলিগ্রাম বোরন পাওয়া সম্ভব।


২. উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

কিশমিশের পটাশিয়াম উচ্চরক্তচাপের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত সোডিয়াম রক্ত থেকে দূর করে উচ্চরক্তচাপের সমস্যা প্রতিরোধ করে।


৩. কলেস্টোরল কমায়

কিশমিশে ক্ষতিকর কলেস্টোরল নেই। এ ছাড়া কিশমিশের স্যলুবল ফাইবার খারাপ কলেস্টোরল দূর করে কলেস্টোরলের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। ১ কাপ কিশমিশ থেকে প্রায় ৪ গ্রাম পরিমাণে স্যলুবল ফাইবার পাওয়া যায়।


৪. চোখের সুরক্ষা করে

প্রতিদিন কিশমিশ খাওয়ার অভ্যাস বার্ধক্যজনিত চোখের সমস্যা সমাধান করে। কিশমিশের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং পলিফেলন ম্যাকুলার ডিগ্রেডেশন প্রতিরোধ করে চোখের সুরক্ষায় কাজ করে।


৫. অ্যাসিডিটির সমাধান করে

কিশমিশের ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম আমাদের পাকস্থলীর অতিরিক্ত এসিড যা এসিডিটির সমস্যা তৈরি করে তা দূর করতে সহায়তা করে।


৬. কলোরেক্টাল ক্যানসার প্রতিরোধ করে

ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার কলোরেক্টাল ক্যানসার প্রতিরোধে সবচাইতে বেশি কার্যকরী। মাত্র ১ টেবিল চামচ কিশমিশ আপনাকে প্রায় ১ গ্রাম পরিমাণ ফাইবার দিতে পারে। এ ছাড়াও কিশমিশের টারটারিক এসিড হজম সমস্যা দূর করে পরিপাকতন্ত্রের সুরক্ষা করে।


৭. রক্তস্বল্পতা দূর করে

আমরা সকলেই জানি দেহে আয়রনের অভাবের কারণে রক্তস্বল্পতার সমস্যা শুরু হয়। কিশমিশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। ১ কাপ কিশমিশে রয়েছে প্রায় ৬ মিলিগ্রাম আয়রন যা আমাদের দেহের প্রায় ১৭% আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম।


৮. দাঁত ও মাড়ির সুরক্ষা করে

অনেকে ভাবতে পারেন কিশমিশে চিনি রয়েছে যা দাঁতের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু চিনির পাশাপাশি কিশমিশে রয়েছে ওলিনোলিক এসিড যা মুখের ভেতরে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে বাধা দেয় এবং ক্যাভিটি প্রতিরোধে কাজ করে।