ক্যান্সার প্রতিরোধী কিছু খাবার

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস February 12, 2017 773
ক্যান্সার প্রতিরোধী কিছু খাবার

বেশ কিছু সাধারণ খাবার রয়েছে, যেগুলো ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই খাবারগুলো রাখা হলে এবং তার সাথে সুস্থ জীবনযাপন করলে ক্যান্সারকে দূরে রাখা সম্ভব। ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এমন কিছু খাবারের নাম এবার দেখে নিন।


১. টমেটো

এতে ‘লাইকোপিন’ নামক উপাদান আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। টমেটোর রস ক্ষতিকর ডিএনএর কোষ নষ্ট করে ফেলে। এছাড়া তাই সপ্তাহে ২ থেকে ৩ টি টমেটো খাদ্য তালিকায় রাখা উচিত।


২. গাজর

গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা ক্যারটিন আছে যা বিভিন্ন ক্যান্সার যেমন ফুসফুস ক্যান্সার, শ্বাসনালী ক্যান্সার, পাকস্থলী ক্যান্সার, অন্ত্র ক্যান্সার এমনকি স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। প্রতিদিন একটি গাজর বা এক গ্লাস গাজরের রস পান করুন।


৩. রসুন

অনেক গবেষণায় দেখা গেছে যারা রসুন খান তাদের ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কম থাকে। এটি ক্যান্সারের জীবাণু প্রতিরোধ করে। এমনকি কিছু ক্যান্সারের জীবাণু ভেঙ্গে ফেলে। প্রতিদিন একটি খোয়া রসুন খান, এটি আপনার ভেতর ক্যান্সার প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।


৪. বাদাম

বাদামে সেলেনিয়াম নামক অ্যান্টি ক্যান্সার উপাদান আছে। বাদাম কোলন, ফুসফুস, যকৃত, এবং অন্যান্য ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। সকালে কিংবা বিকালের নাস্তায় চিনাবাদাম রাখুন। এ ছাড়াও বাদামের মাখনও আপনার শরীরকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে পারে।


৫. হলুদ

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি এক গবেষণায় বলা হয়েছে হলুদে ‘কারকিউমিন’ নামক উপাদান আছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এছাড়া এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের টিস্যুর মধ্যে প্রবেশ করে ভেতর থেকে দেহকে ক্যান্সার প্রতিরোধী করে তোলে। প্রতিদিন কাঁচা হলুদের দুধ, বা মাছ ও মাংসের মত তরকারিতে প্রয়োজন মত হলুদ ব্যবহার করতে পারেন।


৬. গ্রিন টি

সবুজ চায়ে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যাটচীন নামক উপাদান আছে যা বিভিন্ন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে থাকে। এক গবেষণায় দেখা গেছে গ্রিন টি টিউমার হওয়া প্রতিরোধ করে থাকে। সাধারণ চায়ের চেয়ে গ্রিন টি বেশি কার্যকর।


৭. নানা ধরনের কপি

ফুলকপি, বাধাঁকপি কিংবা ব্রকোলি প্রায়ই একই ধরনের আঁশযুক্ত সবজি যা শরীরের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে থাকে। এছাড়া গ্যালাকটোজ উপাদান অন্ত্রে ব্যাকটেরিয়ার দূর করে। ব্রোকলির সালফোরোফেন, ইনডোলস উপাদান ফুসফুস, ব্লাডার, লিমফোমা ও স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।