দীর্ঘস্থায়ী চর্মরোগ সোরিয়াসিস হলে!

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস February 12, 2017 1,098
দীর্ঘস্থায়ী চর্মরোগ সোরিয়াসিস হলে!

সোরিয়াসিস ত্বকের এক ধরনের দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহজনিত রোগ। এ রোগে কনুই, হাঁটু, কপাল, পায়ের গিরায় মাছের আঁশের মতো হয়ে চামড়া উঠে যায়। চুলকানি হয় এবং ত্বক খসখসে লাগে।


সোরিয়াসিস রোগের কারণে ত্বকে ফাটা ফাটা দেখায়। এতে আপনার হাত ও মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়।


এ সমস্যা নিয়ে রোগীরা চিন্তায় পড়ে যান কী করবেন বুঝে উঠতে পারেন না। তবে চিন্তার কিছু নেই চিকিৎসায় এ রোগ সেরে যায়।


সোরিয়াসিসের লক্ষণ : ত্বক পুরু হয়ে যায় এবং লালচে দাগ পড়ে। ত্বক চুলকায় ও ব্যথা হয়। আক্রান্ত অংশ রুপালি সাদা আঁশ দ্বারা আবৃত থাকে, উজ্জ্বল লালচে বর্ণের খত হয়ে থাকে। ত্বক মোটা হয়ে যায়। মাথাতেও সোরিয়াসিস হতে পারে। এতে চুলও ঝড়ে যাওয়ার আশংকা থাকে।


কারণ : এ রোগের সঠিক কারণ এখনো অজানা, তারপরও ধরে নেয়া হয় যেমন : জীবানু সংক্রমণ, লিভার ক্রিয়ার গোলযোগ, শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার অভাব, খাদ্য, পুষ্টির অভাব, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার অভাবেও এ রোগ হতে পারে এবং এটা ছোয়াচে।


এছাড়া যাদের সোরিয়াসিস হওয়ার আশংকা থাকে বা হয়েছে তাদের যে কোনো ধরনের আঘাত এড়িয়ে চলতে হয়। কারণ চুলকাতে চুলকাতেও এ রোগ শুরু হয়ে যেতে পারে। মানসিক দুশ্চিন্তা সোরিয়াসিসের তীব্রতা আরো বাড়িয়ে দিতে পারে।


চিকিৎসা : সোরিয়াসিস দীর্ঘস্থায়ী রোগ হলেও এটা আধুনিক চিকিৎসায় সারিয়ে তোলা সম্ভব। খাওয়ার ট্যাবলেট,মলম ও শ্যাম্পু ব্যবহার করেও এর চিকিৎসা করা যায়।


এছাড়া রোগ নিয়ে সন্দেহ থাকলে বায়োপসি করা যায়। তবে কিছু বিষয়ে সাবধান থাকতে হবে কারণ উচ্চরক্তচাপের কিছু ওষুধ ও বাত-ব্যথার ওষুধ রোগের তীব্রতা বাড়িয়ে দিতে পারে।


অনেক সময় এই রোগীদের আর্থ্রাইটিস পেইন দেখা যেতে পারে। এছাড়া কোনো জটিলতা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি।


ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, মুখ ও দন্ত রোগ বিশেষজ্ঞ এবং সিনিয়ার কনসালটেন্ট


নর্দান ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ধানমণ্ডি ৮/এ, ঢাকা।