এই ১০টি গুণ সঙ্গিনীর মাঝে থাকলে তাকে ছেড়ে যাবেন না কখনো

লাইফ স্টাইল February 10, 2017 1,117
এই ১০টি গুণ সঙ্গিনীর মাঝে থাকলে তাকে ছেড়ে যাবেন না কখনো

সঠিক জীবনসঙ্গিনী জীবনকে যেমন করে তুলতে পারে আনন্দময় ও রঙিন, তেমনি ভুল জীবনসঙ্গিনী জীবনকে করতে পারে বিষাদময়। অনেক সময় দীর্ঘদিন সম্পর্কের পরও সঠিক মানুষটি নির্বাচন করা সম্ভব হয় না। অনেকের মনে প্রশ্ন আসে এই মানুষটি কি আমার জন্য পারফেক্ট? সারাজীবন কী এই মানুষটির সাথে কাটানো সম্ভব?


গবেষকরা সম্পর্ক, ভালোবাসা, মতামত বিশ্লেষণ করে দেখেছেন কিছু বিষয় যা সম্পর্ককে দীর্ঘস্থায়ী করতে সাহায্য করে। যদি এই বিষয়গুলো একজন সঙ্গিনীর মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় তবে তার সাথে সম্পর্ক দীর্ঘদিন স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


১। আপনার থেকে বেশি স্মার্ট

শিরোনাম পড়ে ভ্রু কুঁচকে গেছে নিশ্চয়? সাধারণত পুরুষরা নিজের চাইতে বেশি স্মার্ট জীবনসঙ্গিনী চান না। লরেন্স ওয়ালি, প্রফেসর অফ ইউনিভার্সিটি অফ অ্যাবেরডিন গবেষণা করে দেখেছেন যে, একজন স্মার্ট নারী শেষ বয়সে পুরুষের স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া থেকে রক্ষা করে। একজন বুদ্ধিমতী নারী বুদ্ধি সংক্রান্ত কোনো কিছু করতে বাধা প্রদান করে না। বরং আপনাকে উৎসাহ দিয়ে থাকে প্রতি মূহুর্ত। যা আপনার মস্তিষ্ককে প্রখর করে তুলতে সাহায্য করবে।


২। সততা

একজন সৎ মানুষের সাথে অনায়াসে জীবন কাটানো সম্ভব। সবাই ভুল করে। কিন্তু সে ভুল শোধরানোর মতো সাহস বা বুদ্ধি সবার থাকে না। একজন সৎ নারী আপনার ভুল ধরিয়ে দিয়ে সঠিক পরামর্শ দেবেন। তাই জীবনসঙ্গিনীর খোঁজার সময় সততাকে গুরুত্ব দিন।


৩। ইতিবাচক মনোভাব

একজন নেতিবাচক ব্যক্তি সবকিছুর মধ্যে নেতিবাচকতা খুঁজে পান। তার নেতিবাচকতা আপনাকেও প্রভাবিত করবে। মনোবিজ্ঞানী এলেইন হাটফিল্ড মনে করেন, নেতিবাচক মনোভাব আপনার হার্টরেট বৃদ্ধি করে মনোযোগ নষ্ট করে দেয়। আর একজন ইতিবাচক মানুষ সব নেতিবাচকতার মাঝে ভালো কিছু খুঁজে পান।


৪। আপোষের মনোভাব

জীবন সবসময় একইরকমভাবে থাকবে না। বাঁধা বিপত্তি নিয়েই জীবন। তাই যে মানুষটি কমপ্রোমাইজ করতে পারে তাকে সঙ্গিনী হিসেবে বেছে নিন। ইউসিএল এর মনোবিদরা ১৭২ দম্পত্তির উপর জরিপ চালিয়ে দেখেছেন যে, সম্পর্কের ভালো সময়ে যে কোনো কিছু প্রতিজ্ঞা করা সহজ কিন্তু খারাপ সময়ে তা মেনে চলা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না।


৫। খোলামনের মানুষ

একজন খোলা মনের মানুষ খুব সহজে যেকোন পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারে। গবেষকরা মনে করেন শারীরিকভাবে সুন্দরীর চেয়ে খোলা মনের মানুষ নারী আকর্ষণীয়।


৬। সে আপনার লক্ষ্যকে সমর্থন করে

প্রত্যেক মানুষের জীবনে লক্ষ্য রয়েছে। আপনিও এর ব্যতক্রিম নন। লক্ষ্যে অর্জনের জন্য একজন সঙ্গিনীর ভূমিকা অপরিসীম। আগে মনে করা হতো একজন দূর্বল নারী বিয়ে করার জন্য পারফেক্ট। কিন্তু লেখিকা ক্রিস্টিনা সি হোয়েলান প্রমাণ করেছেন যে একজন শিক্ষিত, সফল নারী ভালো জীবনসঙ্গিনী হতে পারে। কারণ একজন সফল নারী কখনো অপরের উপর নির্ভর করেন না। নিজে সফল হওয়ার কারণে তিনি চান, জীবনসঙ্গিনীটির সফল হোক। তাই নিজের লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি আপনাকেও লক্ষ্য অর্জনে উৎসাহ দিয়ে থাকেন।


৭। তার বাবা-মায়ের সাথে সুসম্পর্ক

আপনি যদি জানতে চান আপনার সঙ্গিনীটি ৩০ বছর পর কেমন হতে পারে, তবে তার পরিবারের দিকে লক্ষ্য করুন। ইউনিভার্সিটি অফ অ্যালবার্টা এক গবেষণায় ২৯৭০ মানুষকে জিজ্ঞাসা করে দেখছেন যে, কিশোর বয়সে বাবা-মার সাথে সম্পর্ক তাদের পরবর্তী দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলে । তবে সবসময় এটি প্রযোজ্য হবে এমনটি নয়, তবে অধিকাংশ মানুষের ক্ষেত্রে এটি সত্য।


৮। দয়ালু

একটি সফল দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্কের মূলমন্ত্র হলো উদারতা ও মহত্ত্ব। আপনার সঙ্গিনীর ভিতর যদি এই গুণটি থেকে থাকে, তবে সে হবে আপনার জন্য পারফেক্ট জীবন সঙ্গিনী।


৯। আপনার ক্রুটি মেনে নেওয়া

কোনো মানুষই নিখুঁত নয়। আপনারও খুঁত রয়েছে। একজন ভালো জীবনসঙ্গিনী সেটি নিয়ে সমালোচনা করার পরিবর্তে সেটি দূর করার চেষ্টা করেন।


১০। ক্ষমাশীল

যে নারী অন্যদেরকে ক্ষমা করতে পারে, তিনি অবশ্যই আপনার ভুল ক্ষমা করবেন। মানুষ মাত্রই ভুল করে, আপনিও করতে পারেন। সেটি ক্ষমা করার মধ্যে উদারতা একজন নারীর থাকা উচিত। “ক্ষমা” যেকোনো সম্পর্কের মূল ভিত্তি। সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী করার জন্য ক্ষমার বিকল্প নেই।


একটি সফল সম্পর্কের পিছনে একজন নারীর যেমন ভূমিকা রয়েছে তেমনি একজন পুরুষেরও ভূমিকা কম নয়। তাই নিজের মাঝেও এই গুণগুলো তৈরি করার চেষ্টা করুন, সম্পর্ক হবে দীর্ঘস্থায়ী।