কুমড়া কেন খাবেন?

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস February 10, 2017 740
কুমড়া কেন খাবেন?

শরীরকে সুস্থ রাখতে অনেক সময় ভালো না-লাগা খাবারও তীব্র অনিচ্ছায় খেতে হয়। কারণ, সব হেলদি খাবার তো আর সুস্বাদু হয় না। কুমড়ার কথাই ধরুন না। সবার যে কুমড়া ভালো লাগবে, এমন তো নয়। কিন্তু, যদি নিজের স্বাস্থ্য সম্পর্কে আপনি সামান্যতম সচেতন হয়ে থাকেন, রোজ না-হলেও সপ্তাহে তিন-চার দিন কুমড়া খান। সবজি হিসেবে কুমড়া কিন্তু খুবই পুষ্টিদায়ক। আপনি কেন কুমড়া খাবেন, নিচে তার কয়েকটা কারণ উল্লেখ করা হল :


রাতে ঘুম আসে না, চিন্তা নেই

রাতে ভালো ঘুম না-হলে, মন-মেজাজ কিছুই ঠিক থাকে না। সেটাই দিনের পর দিন চলতে থাকলে, মেজাজ তো তিরিক্ষি হবেই। ঘুম নিয়ে যাঁদের সমস্যা রয়েছে বা যাঁরা অনিদ্রা ভুগছেন, কুমড়ার দানা শুকিয়ে নিয়ে, সেটা গুঁড়া করে খান। ফেলে দেবেন না। কারণ, এই কুমড়ার দানাতে রয়েছে অ্যামাইনো অ্যাসিড 'ট্রিপ্টোফান'। যে কারণে ঘুম ভালো হয়। মেজাজও ফুরফুরে থাকে।


রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজে দেয়

কুমড়া দানা ফাইটোএস্ট্রোজেনে পরিপূর্ণ। তাই হাইপারটেনশনের হাত থেকে নিস্তার পেতে চাইলে, কুমড়াদানা খাওয়া অভ্যাস করে ফেলুন। ডায়াস্টোলিক ব্লাড প্রেসারও কমায়। যে কারণে যাঁরা হাইপ্রেসারে ভুগছেন, ওষুধের পাশাপাশি কুমড়া দানা খেতে থাকুন। উপকৃত হবেনই।


হার্ট ভালো রাখতেও কুমড়ার জুড়ি নেই

পাকা কুমড়ায় থাকা ফাইবার হার্টকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। করোনারি ডিজিজ এড়াতে চাইলে, পাতে রোজ কুমড়া রাখুন।


চোখের জন্যও ভালো

চোখ ভালো রাখতে চাইলে কুমড়া কিন্তু খেতেই হবে। কারণ, কুমড়ায় রয়েছে ভিটামিন এ। যা চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। শুধু চোখই নয়, ভিটামিন এ ত্বক ভালো রাখে। হাড় ও দাঁড়ের গঠন মজবুত করে।


রয়েছে ফাইবার

কুমড়া সেদ্ধ করে চটকে খান। তাতে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ডায়েটারি ফাইবার পেয়ে যাবেন। কুমড়ার মতো তার দানাতেও ফাইবার রয়েছে। ফলে কুমড়া দানা সেদ্ধ করেও খেয়ে নিতে পারেন।


কিন্তু, ঘটনা হল রোজ রোজ কার আর কুমড়া খেতে ভালো লাগে! ছোলা দিয়ে কুমড়ার ছক্কা হোক বা নারকেল কুড়িয়ে কুমড়ার তরকারি কিংবা কুমড়া সেদ্ধ বা কুমড়ার কোপ্তা, কিছুদিনের মধ্যে অরুচি আসতে বাধ্য। তাই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানাভাবে কুমড়া খেতে পারেন। যেমন:


কুমড়ার স্যুপ: কুমড়া আগে থেকে সেদ্ধ করে রাখুন। সেটা চিকেন বা ভেজিটেবল স্টকের সঙ্গে মিশিয়ে গাঢ় হওয়া পর্যন্ত ফুটিয়ে নিন। তাতে পরিমাণ মতো নুন ও গোলমরিচ দিন। গার্নিশ করার জন্য মিল্ক ক্রিম মিশিয়ে নিন।


কুমড়া ভাজা: কুমড়া ফালি ফালি করে কেটে তাতে পরিমাণ মতো নুন ও অরিগ্যানো মিশিয়ে নিন। অল্প অলিভ অয়েল দিয়ে ভেজে নিয়ে গরম গরম খেতে পারেন।


কুমড়ার ভেজ বল: সেদ্ধ করে রাখা কুমড়োকে চটকে নিয়ে তাতে নুন, অরিগ্যানো, ওটমিল, অ্যামন্ড গুঁড়ো করে সেটা দিয়ে ছোট ছোট ভেজ বল তৈরি করে নিন। এরপর ওই বলের গায়ে কর্নফ্লাওয়ার মাখিয়ে ভেজে নিন। দুপুরে ভাতের সঙ্গে তো খেতে পারেনই বা সারাদিনে যখন ইচ্ছে খাওয়া যায়।


সূত্র: এই সময়