জেনে নিন আতা ফলের ১০ টি অসাধারন গুনাগুন সম্পর্কে

ফলের যত গুন February 9, 2017 1,400
জেনে নিন আতা ফলের ১০ টি অসাধারন গুনাগুন সম্পর্কে

প্রয়োজনীয় ভিটামিন থেকে মিনারেল, কী নেই আতায়? চোখ থেকে চুল, হাঁপানি থেকে হার্টের অসুখ, সবকিছুর সমাধান পেয়ে যাবেন এই ফলটিতে। কেন রোজ খাদ্যতালিকায় আতা রাখবেন, জেনে নিন ১০টি কারণ।


১. চোখে ভালো রাখে: আতায় রয়েছে ভিটামিন এ। যার কাজ হল কর্নিয়া ও রেটিনাকে সুরক্ষিত রাখা।


২. ত্বক ও চুলের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে: ভিটামিন এ শুধু চোখই ভালো রাখে না, আমাদের ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতেও এর জুড়ি নেই। চুলকেও পরিপুষ্ট করে।


৩. ওজন বাড়াতে সাহায্য করে: যাঁরা স্বাস্থ্য ফেরাতে চাইছেন বা একদমই রোগা, অপুষ্ট শরীর দিনে কয়েকটা করে আতা খেলে গায়েগতরে মাংস লাগবে। তবে, যাঁদের ভারী শরীর, হিসেব করে আতা খাওয়া উচিত। ডায়াবেটিকের রোগীদের একদমই আতা খাওয়া চলবে না।


৪. হাঁপানির হাত থেকে স্বস্তি: যাঁদের অ্যাজমার টান রয়েছে, তাঁদের উচিত নিয়মিত আতা খাওয়া। এর মধ্যে থাকা ভিটামিন বি-৬ শ্বাসনালীর প্রদাহকে কমায়। ভবিষ্যতে অ্যাজমার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে, সুরক্ষাকবচ হিসেবে আতা খান।


৫. হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমায়: আতায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম কার্ডিয়াম মাসেলকে রিল্যাক্সে রাখতে সাহায্য করে। ফলে, হার্টের অসুখের ঝুঁকি কমে।


৬. রক্তাচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে: আতার মধ্যে আপনি পাবেন পটাসিয়াম। এই খনিজ উপাদানটি রক্তবাহের প্রাচীরকে রিলাক্সে রাখতে সাহায্য করে। যে কারণে রক্তচাপ ক্রমে নিয়ন্ত্রণে আসে।


৭. কোলেস্টেরল কমায়: এই ফলটিতে রয়েছে নিয়াসিন ও ফাইবার। এই উপাদানটি গুড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ব্যাড কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে বের করে দেয়।


৮. রক্তাল্পতা দূর করে: অ্যানিমিয়া বা রক্তশূন্যতায় যাঁরা ভুগছেন, তাঁদের জন্য আতা খুব উপকারী ফল। এটি আয়রনে পরিপূর্ণ। লোহিত রক্তকণিকা বাড়তে সাহায্য করে।


৯. এনার্জির একটা বড় উত্‍‌স: আতার মধ্যে রয়েছে থিয়ামিন। এই থিয়ামিন খাবারকে এনার্জিতে রূপান্তরিত হতে সাহায্য করে। যে কারণে আতা খেলে শরীর চনমনে থাকে।


১০. হাড় মজবুত করে: আতায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম। যার কাজ হল ভিটামিন ডি সংশ্লেষ সহায়তা করা। হাড়ের মজবুত গঠনের জন্য ভিটামিন ডি জরুরি।