ডিমের অসাধারণ পুষ্টিগুণ, যা জানলে আপনি অবাক হবেন

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস February 8, 2017 899
ডিমের অসাধারণ পুষ্টিগুণ, যা জানলে আপনি অবাক হবেন

ডিমের সাদা অংশের মধ্যে পানি ৮৮.০%, প্রোটিন বা আমিষ ১১.০%, চর্বি ০.২% এবং খনিজ পদার্থ ০.৮%। বিভিন্ন খাবার তৈরিতে সহায়ক উপাদান হিসেবে ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার হয়। যেমন- কেক, পেস্ট্রি, ক্যান্ডি, স্পঞ্জ কেক ইত্যাদি।


ডিমের হলুদ অংশ বা কুসুমের মধ্যে ৪৮.০% পানি, ১৭.৫% প্রোটিন বা আমিষ, ৩২.৫% চর্বি এবং ২.০% খনিজ পদার্থ আছে।


ডিমের কুসুম কোমল ও সহজে হজম হয়। কুসুমের মধ্যে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস ও লৌহ আছে। ক্রিমের সঙ্গে ডিমের কুসুম ভালোভাবে মিশে যায় বলে এটা মেয়নেজ, মার্জারিন, আইসক্রিম ও ক্রিমক্রাকার তৈরিতে ব্যবহার হয়।


ডিম বেশিক্ষণ সিদ্ধ করলে কুসুমের বাইরের অংশে একটা কালো স্তর পড়ে, সেটা হলো আয়রন সালফাইড। ডিম যেভাবেই রান্না হোক না কেন ডিমের পুষ্টিগুণ অবিকৃত থাকে।


উপকারিতা


সহজে হজম ও সম্পূর্ণরূপে শোষিত হয় বলে ডিম আদর্শ পুষ্টিকর খাবার।


১. শারীরিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তি ডিম খেলে পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয় এবং আরোগ্য লাভে সহায়তা করে।


২. ডিমের কুসুম রিউম্যাটিক জ্বরকে প্রশমিত করে।


৩. ডিমে পিউরিন নেই বলে বাতের রোগীরা সহজেই ডিম খেতে পারে।


৪. গর্ভবতী মায়েদের প্রতিদিন একটি অথবা দুটি ডিম খাওয়া উচিত। তাহলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয় না।


৫. শিশুদের দৈহিক বৃদ্ধি, ক্ষয়পূরণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও কার্যক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ডিম প্রয়োজন।


৬. ডিমের সাদা অংশে আছে অবিমিশ্র প্রোটিন, যা মূলত অ্যালবুমিন। আর রক্তে যখন অ্যালবুমিন কমে যায়, তখন ডিমের অ্যালবুমিন বা সাদা অংশ দিয়ে চিকিৎসা করা হয়।


৭. যেসব মহিলারা সপ্তাহে কমপক্ষে ৬টি ডিম খায় তাদের ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকি ৪০ শতাংশ কমে যায়। ডিমের কুসুমে কোলিন নামক একটি প্রোটিন থাকে, যা মস্তিষ্ক গঠনে ভূমিকা রাখে।


৮. ডিমের একটি প্রধান খাদ্য উপাদান ভিটামিন-এ। ভিটামিন-এ রেটিনায় আলো শুষে নিতে সহায়তা করে, কর্নিয়ার পাশের মেমব্রেনকে রক্ষা করে এবং রাতকানার ঝুঁকি কমায়। মহিলাদের প্রতিদিন ৭০০ মাইক্রোগ্রাম ও পুরুষদের প্রতিদিন ৯০০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন-এ প্রয়োজন।


আরও জেনে রাখুন

ডিমের ওপরের খোসার রঙের জন্য পুষ্টিগুণের কোনো তারতম্য হয় না। কাঁচা ডিম রান্না করা ডিমের চেয়ে পুষ্টিকর হলেও ডিম কখনো কাঁচা খাওয়া উচিত নয়।

অনেকের ধারণা, হাঁসের চেয়ে মুরগির ডিম অধিক পুষ্টিকর। আসলে হাঁসের চেয়ে মুরগির ডিম সুস্বাদু হলেও পুষ্টির দিক থেকে উভয়ে সমান।


যদিও ডিমের আবরণ শক্ত, তারপর সব সময় জীবাণুমুক্ত নয়। যখন স্যাঁতসেঁতে অপরিষ্কার জায়গায় মুরগি ডিম পাড়ে তখন ডিমের আবরণের সূক্ষ্ম গর্ত দিয়ে জীবাণুু প্রবেশ করে। সে জন্য ডিম রান্নার আগে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।


তবে ডিম পুষ্টিকর হলেও ডিমের মধ্যে ভিটামিন-সি একেবারেই নেই।