স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে যে ৫ টি ক্ষারীয় প্রকৃতির খাবার

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস February 7, 2017 905
স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে যে ৫ টি ক্ষারীয় প্রকৃতির খাবার

আমাদের শরীর ক্ষারীয় অবস্থাতেই সবচেয়ে ভালো কাজ করে। রক্ত এবং টিস্যুর সবচেয়ে অনুকূল pH এর মাত্রা হচ্ছে ৭.৩৫-৭.৪৫। pH এর মাত্রা শূন্য হলে তা পুরোপুরি এসিডিক এবং pH এর মাত্রা ১৪ হলে তা পুরোপুরি ক্ষারীয় অবস্থাকে নির্দেশ করে।


আমারা যে খাবার খাই তার বেশিরভাগই আমাদের শরীরে এসিডিক অবস্থা তৈরি করে। প্রক্রিয়াজাত খাবার, সোডা, জাংক ফুড, মাংস, ডিম এবং দুগ্ধজাত পণ্য উচ্চমাত্রার প্রক্রিয়াজাত খাবার যা বেশিরভাগ মানুষই প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকেন।


ক্রমাগত এসিডিটির সমস্যায় ভুগলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সার, ত্বকের সমস্যা, অটো-ইমিউন সমস্যা, অ্যালার্জি ইত্যাদি রোগগুলো হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। এই সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হচ্ছে অ্যালকালাইন ডায়েট বা ক্ষারীয় খাদ্য গ্রহণ করা যা শরীরে তরলের pH এর মাত্রার ভারসাম্য রক্ষা করবে। প্রকৃতিতে বিভিন্ন ক্ষারীয় খাবার আছে যা আমাদের শরীরের pH এর মাত্রার ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করতে পারে।


• চলুন তাহলে জেনে নিই এমন কিছু ক্ষারীয় খাবারের কথা...


১। পাকা লেবু

লেবুতে ক্ষারীয় খনিজ যেমন- পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আছে যা শরীরে ক্ষারীয় অবস্থা তৈরি করে। লেবুর সাইট্রিক এসিড প্রকৃত পক্ষে উচ্চমাত্রার এসিডিক অবস্থা তৈরি করে, কিন্তু পাকা লেবুর রস পানের পর সাইট্রিক এসিড বিপাকের মাধ্যমে চমৎকার ক্ষারীয় অবস্থা তৈরি করে শরীরে। ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ টি পাকা লেবুর অর্ধেকের রস বের করে নিন এবং সকালে খালিপেটে বা নাস্তা খাওয়ার ৩০ মিনিট পূর্বে পান করুন।


২। পালংশাক

সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর শাক হচ্ছে পালংশাক, যা ক্ষারীয় প্রকৃতির। এই সবুজ শাকটি ক্লোরোফিলে সমৃদ্ধ। এটি অ্যালকালাইজিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং আপনার শরীরের pH এর মাত্রা ৭.৪ এ নিয়ে যায়। প্রতিদিন ১ কাপ পালংশাক খাওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন।


৩। শসা

শসা খেয়ে আপনি দ্রুত আপনার শরীরের এসিডিক অবস্থাকে নিরপেক্ষ করে তুলতে পারেন। কারণ শসা ক্ষারীয় খাদ্য। শসা ভিটামিন কে, সি এবং বি ভিটামিনের চমৎকার উৎস। এছাড়াও শসায় কপার, অ্যামাইনো এসিড, শর্করা, দ্রবণীয় ও অদ্রবণীয় ফাইবার, পটাসিয়াম, মেঙ্গানিজ, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, বায়োটিন এবং সিলিকা ও থাকে। শসা স্বাস্থ্যকর স্ন্যাক্স হিসেবে খাওয়া যায় অথবা সালাদের সাথেও যোগ করতে পারেন।


৪। ব্রোকলি

ক্রুসিফেরি পরিবারের একটি ক্ষারীয় খাবার হচ্ছে ব্রোকলি যা আপনার ডায়েটে যুক্ত করা প্রয়োজন। ব্রোকলির ফাইটোকেমিকেল শরীরকে ক্ষারীয় হতে সাহায্য করে, ইস্ট্রোজেনের বিপাক বৃদ্ধি করে এবং ইস্ট্রোজেনের আধিক্যের উপসর্গ কমাতে সাহায্য করে। সপ্তাহে ৪ বার ব্রোকলি গ্রহণ করার চেষ্টা করুন।


৫। ক্যাপসিকাম

লাল, হলুদ বা সবুজ ক্যাপসিকাম উচ্চমাত্রার ক্ষারীয় খাবার। শরীরের সার্বিক ক্ষারীয় অবস্থার উন্নতিতে সাহায্য করে ক্যাপসিকাম। সপ্তাহে ৩-৪ কাপ কাঁচা ক্যাপসিকাম খাওয়ার চেষ্টা করুন।