সম্পর্কে নিপীড়নের শিকার আপনি, বুঝে নিন লক্ষণে

লাইফ স্টাইল February 7, 2017 750
সম্পর্কে নিপীড়নের শিকার আপনি, বুঝে নিন লক্ষণে

বাধ্যতামূলকভাবে নিয়ন্ত্রণ কিংবা দৈহিক নির্যাতন- সম্পর্কে দুজনের কারো পক্ষ থেকে এমন ঘটনা আপত্তিকর। এতে বুঝে নিতে হবে, যিনি এসব করছেন তিনি অবশ্যই সঠিক পথে নেই।


যারা সম্পর্কে এ ধরনের সমস্যা নিয়ে জটিলতায় ভুগছেন, তারা ব্যাপক ভুক্তভোগী। বিশেষজ্ঞদের মতে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীরা এ অবস্থার শিকার হয়ে থাকেন। রেডিট বা অন্যান্য সোশাল মিডিয়ায় এ নিয়ে নারীদের অসংখ্য অভিযোগ প্রতিদিনই প্রকাশ পাচ্ছে। এ বিষয়গুলো সম্পর্কের ক্ষেত্রে অশনিসংকেত ও লাল পতাকা বহন করে।


এখন সঙ্গী যদি এমনটা করেই থাকেন, তবে তার কিছু লক্ষণ রয়েছে। একেক জন নারী একেকভাবে এর অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। সঙ্গিনীর পরিবার ও পরিজনের সাথে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মতো ঘটনাও এর মধ্যে পড়ে। এক নারী বলেন, আমি বুঝতে পারছিলাম, আমার সঙ্গী আমাকে পরিবার ও স্বজনদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে চাইছে। শুধু তাই না, আমার জীবনে যেন দ্বিতীয় কোনো মানুষের সঙ্গে পরিচয় না ঘটে সে ব্যবস্থা করতে চায় সে। আর একটা পর্যায় থেকে সে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করতে শুরু করে।


আরেক নারী জানান, সঙ্গী আমার স্মার্টফোনে একটি জিপিএস প্রোগ্রাম ইনস্টল করে দেয়। আমি কোথায় কোথায় যাচ্ছি তা নজরদারি করতে শুরু করে। কিন্তু আমি যখন এর প্রতিবাদ করি, সে ক্ষোভে আমার মোবাইলটি ভেঙে ফেলে।


আবার অনেক প্রেমিক বা স্বামী তার প্রেমিকা বা স্ত্রীর ফেসবুক বা ফোনের পাসওয়ার্ড চান, যেন ইচ্ছামতো তা নিজেই দেখে নিতে পারেন।


আলোচনায় অনেক নারী মতামত তুলে ধরেছেন। বলেন, যদি প্রেমিক বা স্বামী আপনার প্রতি এমন মন্তব্য ছুঁড়ে দেন যে 'তুমি পাগলামি করছো' বা 'তুমি অন্যদের মতো না', তবে বুঝে নেবেন, তার এই একতরফা চিন্তা সব নারীদের ক্ষেত্রেই কাজ করে।


এ ধরনের পুরুষের চিন্তা সব নারীর ক্ষেত্রেই কাজ করে। তারা সমাজে নারীদের দায়িত্বশীলতা ও কর্তৃত্ব মেনে নিতে পারেন না। আপনার ওপর তাদের মতামত জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন এ ধরনের পুরুষরা। তাদের কাছে সব নারী নিতান্ত দুর্বল প্রকৃতির এক মানুষ।


আরেক ভুক্তভোগী নারী লিখেছেন, লিঙ্গ বৈষম্য যারা প্রতিষ্ঠা করতে চান, তারা কখনো নারীকে তার অর্ধাঙ্গিনী বলে মেনে নিতে পারেন না। তারা বিভিন্নভাবে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করে দেন।


বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রত্যেক নারীর তার সঙ্গীর আচরণের বিষয়টি মনোযোগের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। আপনার বিষয়গুলো তিনি খুব খেয়াল করেন, নাকি নিয়ন্ত্রণ করতে চান? এ দুই বিষয়ের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে হবে। যদি দেখেন এ কেবল খেয়াল করার বিষয় নয়, তাহলেই সেখানে গলদ রয়ে গেছে।