বেকার অবস্থায় আপনার দিনগুলোকে কাজে লাগাবেন যেভাবে

লাইফ স্টাইল February 6, 2017 725
বেকার অবস্থায় আপনার দিনগুলোকে কাজে লাগাবেন যেভাবে

বেকার অবস্থার প্রথম কয়েকটি দিন আপনার মনটা হয়তো স্বাধীনতা এবং সীমাহীন সুযোগ ও সম্ভাবনার অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়ে থাকবে। কিন্তু সে অনুভূতির জায়গায় স্থান করে নিবে আতঙ্ক, আশাহীনতা এবং স্ব-সন্দেহ।


তবে আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট শিডিউল মেনে চলেন তাহলে একটি নতুন চাকরি এবং একটি পুনর্নবায়নকৃত উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়াটা সহজ হবে। আর এতে আপনি আপনার অবসর সময়টুকু অপচয় করার অপরাধবোধ থেকেও বাঁচতে পারবেন।


এই শিডিউলটি হয়তো সকলের জন্যই সঠিক নাও হতে পারে। কিন্তু বেকার অবস্থার সময়টুকুর সর্বোচ্চ সদ্ব্যবহার এবং বেকার দশাকে অবসর না ভেবে একটি চাকরির মতোই কাজে লাগানোর উপায়ও রয়েছে....


সকাল ৭.৩০: ঘুম থেকে উঠুন এবং ব্যায়াম করুন

সম্প্রতি বেলজিয়ামে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, সকালের নাস্তা খাওয়ার আগে ব্যায়াম করলে আপনি শুধু সুস্থ্যই থাকবেন না বরং এতে আপনার দেহের শক্তিও বাড়বে।


সকাল ৮.১৫: গোসল করুন

আমরা জানি যে, গোসল করার সময়টুকু প্রায়ই আত্ম-প্রতিফলনের সময় হয়ে ওঠে। সুতরাং সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আপনি কী চান তা নিয়ে এই শান্ত সময়টুকুতে চিন্তা করুন।


এই সময়টুকু আপনি জীবনের অনিশ্চয়তাগুলো নিয়ে ভাবা এবং চিন্তার নতুন দরজা উম্মুক্ত করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। তবে অনেকে আবার এসময়টুকুকে আপনার শক্তি, পছন্দ-অপছন্দ এবং আপনি কী ধরনের কর্মপরিবেশ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন সেসব নিয়ে ভাবার কথা বলেন।


সকাল ৮.৩০: স্বাস্থ্যকর নাস্তা করুন

নানা গবেষণায়ই দেখা গেছে, ঘুম থেকে জেগে ওঠার এক ঘন্টার মধ্যেই সূর্যের আলোতে বসে খাবার খেলে মন-মেজাজ ভালো থাকে। সকাল বেলাতেই গায়ে প্রাকৃতিক আলো লাগালে দেহে মেলাটোনিন উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। আর এই হরমোনটিই মানুষকে ঘুম কাতুরে করে তোলে। এছাড়া আলো মানসিক অবসাদরোধী একটি প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবেও কাজ করে বটে।


সকাল ৯.০০- দুপুর ১২.০০: দীর্ঘমেয়াদি চাকরি খুঁজুন ও আবেদন করুন

বেকার অবস্থায় প্রতিদিন সবার আগে সবচেয়ে কঠিন কাজটি করাই ভালো। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে কঠিন কাজটি হলো চাকরি খোঁজা ও চাকরির জন্য আবেদন করা।


চাকরি খোঁজা ও চাকরির জন্য আবেদন শুরু করার আগে আপনার জীবন বৃত্তান্তটি হালনাগাদ করে নিন। এরপর চাকরি খুঁজুন এবং চাকরির জন্য আবেদন করুন।


দুপুর ১২.০০-১.০০: দুপুরের খাবার খান

দীর্ঘ এক ঘন্টার লাঞ্চ বিরতি নিন। টিভি দেখতে চাইলে দুপুরের খাবার খাওয়ার পাশাপাশি তাও করতে পারেন। তবে পার্কে গিয়ে একটু হাঁটাহাঁটি করলেও ভালোই হবে। আর দেহে শক্তির মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য হালকা খাবার খান।


দুপুর ১.০০-২.০০: সংক্ষিপ্ত মেয়াদি চাকরি খুঁজুন এবং আবেদন করুন

বেকার অবস্থায় আপনার যদি কোনো আয় না থাকে এবং বিপদকালীন কোনো সঞ্চয় না থাকে তাহলে দ্রুতই আপনি অর্থ কষ্টে পড়বেন। প্রতিদিন স্থিতিশীল বা দীর্ঘমেয়াদি চাকরি খোঁজার পাশাপাশি ছোটখাটো কোনো কাজ করুন বা পরোক্ষ উপার্জনের ব্যবস্থা সৃষ্টি করুন।


দুপুর ২.০০টা- বেলা ৩.০০টা: নতুন কোনো দক্ষতা অর্জন করুন

নতুন নতুন জিনিস শেখা বা পুরোনো দক্ষতা ঝালিয়ে নেওয়ার জন্য অনলাইনে প্রচুর জিনিস আছে। যেসব আপনাকে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য সহায়তা করবে।


বেলা ৩.০০টা-বিকেল ৪.০০টা: পেশাগত নেটওয়ার্ক গড়ে তুলুন

পেশাগত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলাটা চাকরি খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই সময়টুকু আপনার পেশাগত যোগাযোগের লোকদেরকে ইমেইল করার জন্য ব্যবহার করুন। কফি মিটিংয়ের আয়োজন করুন এবং অংশগ্রহণ করুন।


বিকেল ৪.০০টা-৬.০০টা স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ করুন

স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ শুধু আপনার চেতনাকে সমৃদ্ধ করারই উত্তম উপায় নয় বরং এটি আপনার পেশাগত যোগাযোগ বাড়াতে, অভিজ্ঞতা অর্জনে এবং আপনার জীবনবৃত্তান্তে নতুন কিছু যোগ করারও সুযোগ সৃষ্টি করবে।


সন্ধ্যা ৬.০০টা: সামাজিক যোগাযোগ এবং আয়েশ করুন

সারাদিন কঠোর পরিশ্রমের পর পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিকভাবে সুস্থ থাকার জন্যই জরুরি। আর আপনি হয়তো কখনোই আগে ভাগে জানতে পারবেন না যে আপনার ঘনিষ্ঠ লোকজনই আপনার চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সহায়ক হয়ে উঠতে পারেন।