একজন পরীক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষাযাপন

মজার সবকিছু February 5, 2017 1,630
একজন পরীক্ষার্থীর এসএসসি পরীক্ষাযাপন

পরীক্ষার আগের রাত


‘অ্যা অ্যা অমুকের বাবা ছিলেন তমুক। তমুকের দাদা...’


আরেকটু রাত হলে ধুমিয়ে পড়া যাবে। এখন ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়ে দোয়া চেয়ে নেই!


দোস্ত, আমি ফেইল করব!


ফেল করলে বড় হয়ে তুই বিরাট জ্যোতিষী হবি!


ক্যামনে?!


পরীক্ষার দিন


পরীক্ষা দেয়ার আগেই তুই ভবিষ্যৎবাণী করে ফেলছিস যে তুই ফেল করবি। এইটাতো কেবল বড় বড় জ্যোতিষীরাই পারে!


পরীক্ষার মাঝখানে


বলদটা লিখে ফেলছে। হে হে! এইবার কেটে ঠিক করি!


বিশ্বাস হলে লেখ। না হলে লিখিস না!


এইটা কী লিখছিস? শাহজাহানের স্ত্রীর নাম আনিকা!?


আচ্ছা আচ্ছা লিখতেছি লিখতেছি...


যা ব্যাটা, ভাগ! তুই সেদিন আমাকে ঝালমুড়ি দিস নাই। মনে আছে আমার, হু!


রনি! রনি! দোস্ত না আমার? একটু হাতটা সরা না দোস্ত!


হল থেকে বের হয়েই দশ টাকার ঝালমুড়ি খাওয়াবো! তাও এবার হাতটা সরা।


পরীক্ষা শেষে


মাম্মা, আজকে তো পুরা ফাটায় দিলি!


তা ছয় নাম্বার প্রশ্নের উত্তর কী দিছিস?


একদম! সব আন্সার করছি। প্লাস শিওর।


অ্যাঁ? ছয় নাম্বার প্রশ্ন বলে আদৌ কিছু ছিল?


হ্যাঁ, প্রশ্নের উল্টাপাশে!


কী? প্রশ্নের উল্টাপাশে আরও প্রশ্ন ছিল?



কিরে! রেজাল্ট কী?


কী? ক্যামনে?


ফেল করছি রে!


আসলে আমি পরীক্ষার প্রশ্ন না দেখেই আগের রাতে পাওয়া প্রশ্নের মুখস্থ করা উত্তর লেখা শুরু করছি। পরে দেখি যে প্রশ্ন পাইছিলাম, সেইটা আসলে গত বছরের ছিল!