অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কুফলগুলো

সাস্থ্যকথা/হেলথ-টিপস February 5, 2017 1,134
অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কুফলগুলো

অনেকে খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত লবণ খেতে পছন্দ করেন। এটি মোটেও স্বাস্থ্যকর নয়। অতিরিক্ত লবণ বা সোডিয়াম শরীরের জন্য খুবই খারাপ। এই অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কারণে আপনার শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যারা নিয়মিত অতিরিক্ত লবণ খান তাদের জন্য এটি বিষ পান হয়ে উঠতে পারে। অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার কুফলগুলো জানলে খাবারে লবণের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হবেন আপনি নিজেই।


# স্মৃতির ক্ষয়

অতিরিক্ত লবণ খাওয়া স্মৃতি ক্ষয়ের কারণ হতে পারে। এতে করে মস্তিষ্ক কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকে। কোনো তথ্য সহজে মনে পড়ে না। বা অল্প সময়ের ব্যবধানে অনেক তথ্য ভুলে যান। ২০১১ সালে ১২০০ মধ্য বয়স্ক ব্যক্তির ওপর করা একটি কানাডিয়ান গবেষণা থেকে বলা হয় যে, লবণ বেশি খাওয়া ব্যক্তির স্মৃতি লবণ কম খাওয়া ব্যক্তিদের তুলনায় কম হয়ে থাকে।


# বার বার তৃষ্ণা পাওয়া

অতিরিক্ত সোডিয়াম যুক্ত খাবার খেলে বার বার তৃষ্ণা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে যেটা হয় যে, অতিরিক্ত লবণ শরীরের ফ্লুইডের সঙ্গে মিশে যায় এবং শরীরকে বার বার পানির চাহিদার কথা জানান দেয়। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে লবণ খাওয়া কমান। আর পানি বেশি করে খান।


# শরীর ফুলে ওঠা

শরীরে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলে শরীর ফুলে যেতে পারে। তবে তা হতে পারে কোনো নির্দিষ্ট স্থানে অর্থাৎ পুরো শরীর এক বারে ফুলে যায় না। শরীরের বিভিন্ন স্থান ফুলে যায়। শরীরের এই বিভিন্ন স্থান ফুলে যাওয়াকে স্বাভাবিক ভাবে নিবেন না বরং আপনার খাদ্য তালিকা থেকে লবণ খাওয়ার মাত্রা কমান।


# কিডনিতে পাথর

অতিরিক্ত লবণ কিডনি ফাংশনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। যেমন শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রস্রাবের সঙ্গে বেশি বেশি প্রোটিন বের হয়ে যায়। এতে করে কিডনিতে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই কিডনিতে পাথর এড়াতে অতিরিক্ত মাত্রায় লবণ খাওয়া বন্ধ করুন।


# পাকস্থলিতে আলসার

সবাই মনে করেন শুধু গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে আলসার হয়ে থাকে। কিন্তু না, অতিরিক্ত পরিমাণ সোডিয়াম বা লবণ খেলে পাকস্থলিতে আলসার হতে পারে। কারণ লবণ খাবার হজমে বাধা প্রদান করে। ফলে খাবার পাকস্থলিতে জমা হয় এবং ঠিকভাবে হজম না হতে পারার কারণে গ্যাস্ট্রিকের উৎপাদন ঘটায়।


# রক্ত চাপ বৃদ্ধি

লবণ রক্তের চাপ বৃদ্ধি করে বা উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টি করে। যাদের উচ্চরক্ত চাপ রয়েছে ডাক্তাররা তাদেরকে লবণ কম খাওয়ার উপদেশ দেন। অন্য দিকে যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তাদের রক্তচাপ কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তাররা লবণ ও গ্লুকোজ মেশানো পানি খেতে বলেন।


তরকারির সঙ্গেও কম লবণ ব্যবহার করুন। আর ভাতের সঙ্গে ভুলেও অতিরিক্ত লবণ নেবেন না। অবশ্যই খাবার টেবিল থেকে লবণের পাত্রটি উঠিয়ে ফেলবেন আজই। এছাড়া অতিরিক্ত লবণ যুক্ত খাবার যেমন, চিপস, স্পাঘেটি সস, পেপেরনি পিজা না খাওয়ার চেষ্টা করবেন।