শিশুকে বিষন্নতার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন কীভাবে!

লাইফ স্টাইল February 4, 2017 509
শিশুকে বিষন্নতার দিকে ঠেলে দিচ্ছেন কীভাবে!

লেখাপড়া, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড সব জায়গাতেই তীব্র প্রতিযোগিতা। অনেক সময় প্রত্যাশার চাপে শিশুরা দিশেহারা হয়ে পড়ে। বিষণ্ণতা গ্রাস করে তাদের। বয়ঃসন্ধিকালে এ অবস্থায় অনেকে এমন চাপ থেকে মুক্তির পথ খোঁজে আত্মহত্যায়। ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনে আরো কয়েকটি কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। এবার চলুন দেখে নেয়া যাক শিশুকে বিষন্নতার দিকে ঠেলে দিতে কি করছি, এগুলো কি আসলেই করা উচিৎ?


কম খেলাধুলা

শিশুদের সুস্থ জীবনের জন্য খেলাধুলা খুবই দরকার। খেলাধুলা বেড়ে ওঠা, মেধার বিকাশ, শেখার আগ্রহ এবং সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা বাড়ানো – বলতে গেলে স্বাভাবিক জীবনের জন্য অপরিহার্য অনেক গুণ তৈরিতেই বড় ভূমিকা রাখে। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ পেটার গ্রে জানিয়েছেন, যেসব শিশু খেলাধুলা কম করে তারা দৈনন্দিন জীবনের ছোটখাটো সমস্যা সমাধানেও বহুক্ষেত্রে কম দক্ষ হয়। বিষয়টি তাদের একসময় হতাশাগ্রস্ত করে আর হতাশা ডেকে আনে বিষাদ। এখন ভাবার বিষয় হচ্ছে সামর্থ্যের মধ্যে যেটুকু সুযোগ তাদের দেয়া উচিৎ ওটুকুই দিতে পারছি কি না। যদি না পারি, তো শিশুকে ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছি।


ভাঙা পরিবার

বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ সন্তানের জন্য খুব বড় আঘাত। এই আঘাত তাদের জীবনযাপন, আচার-আচরণ সবকিছুতেই বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলে।‘ম্যারিজ অ্যান্ড ফ্যামিলি’ জার্নালে প্রকাশিত সাম্প্রতিক এক নিবন্ধ বলছে, ডিভোর্সি বাবা-মায়ের সন্তানদের অবসাদগ্রস্থ হওয়া এবং আত্মহত্যার ঝুঁকি অনেক বেশি।


ইলেক্ট্রনিক গেমের নেশা

আপনার সন্তান খুব বেশি কম্পিউটার গেম খেলে? কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা ট্যাবলেট হাতে পেলেই গেম খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ে? তাহলে সন্তানকে একটু সময় দিন। অামেরিকান জার্নাল অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেডিসিন-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, যেসব শিশু দিনে পাঁচ ঘণ্টা বা তার বেশি গেম খেলে, তারা অবসাদগ্রস্তও হয় বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দীর্ঘদিন সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার বেশি গেম খেললে শিশুদের মস্তিষ্কের কোষ সংকুচিত হতে শুরু করে।


বেশি চিনি খাওয়া

ব্রিটিশ মনস্তত্ত্ববিদ ম্যালকম পিট গবেষণা করে দেখেছেন, বেশি চিনি, কেক, মিষ্টি জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া এবং কার্বোনেটেড পানীয় বেশি পান করার অভ্যাসও অনেক সময় শিশুদের অবসাদগ্রস্ত করে। চিনি বেশি খেলে মস্তিষ্কে বৃ্দ্ধি হরমোনের কার্যক্রমেও সমস্যা তৈরি করে। জীবনের এক দীর্ঘ পথ যে শিশুর সামনে পড়ে আছে আমরা যেন তাকে সেই পথে আনন্দের সঙ্গে চলার প্রেরণা দিতে পারি। ভালো থাকুক আপনার শিশুটি।