এক মিনিটেই সম্পর্ক চাঙ্গা!

লাইফ স্টাইল January 28, 2017 748
এক মিনিটেই সম্পর্ক চাঙ্গা!

সঙ্গী, বন্ধু, সহকর্মী, সন্তান কিংবা নিজের সঙ্গে সম্পর্ক- প্রতিটিই আলাদা আলাদা। নিজে সুখে থাকতে এবং চারপাশের প্রিয় মানুষগুলোকে খুশি রাখতে প্রতিদিন ছোট ছোট কিছু জিনিস করুন। যা এই সম্পর্কগুলোকে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করবে। আর এর জন্য আপনাকে খুব একটা কষ্টও করতে হবে না। মাত্র ৬০ সেকেন্ডেই এই খুশি নিজে অনুভব করতে পারবেন এবং সবার মধ্যে ছড়িয়েও দিতে পারবেন।


• কী এমন করবেন, যা মাত্র ৬০ সেকেন্ডেই আপনার সব সম্পর্ককে চাঙ্গা রাখবে? সেই কাজেরই একটি তালিকা নিচে প্রকাশ করা হয়েছে। চলুন সেটা দেখে নিই...


সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক

১. সঙ্গীকে মাত্র ৬০ সেকেন্ডের জন্য জড়িয়ে ধরুন। দিনের শুরুতে এমনটা করলে দেখবেন, সারাদিন আপনার মধ্যে রোমান্স কাজ করবে। আর আপনি থাকবেন ফুরফুরে, কারণ এই ৬০ সেকেন্ডের অনুভূতি সারাক্ষণ আপনার সঙ্গে থাকবে।


২. ছোট্ট একটি ম্যাসেজ, যা লিখতে হয়তো আপনার ৬০ সেকেন্ডও লাগবে না। কিন্তু এই ম্যাসেজটা আপনাদের সম্পর্কের রসায়ন ধরে রাখবে দীর্ঘক্ষণ। এই ম্যাসজের মাধ্যমে সঙ্গীকে পুরোনো কোনো স্মৃতি মনে করিয়ে দিতে পারেন। দেখবেন, সে এক নিমেষেই ইতিবাচক শক্তি ফিরে পাবে এবং চাঙ্গা অনুভব করবে।


৩. বাড়ি ফেরার পথে চট করেই সঙ্গীর পছন্দের কিছু কিনে ফেলুন। সেটা ফুল হতে পারে কিংবা হতে পারে তার পছন্দের চকলেট অথবা প্রিয় ডেজার্ট। যা কিনতে খুবই কম সময় লাগবে। কিন্তু এটা হাতে পাওয়ার পর সঙ্গীর মুখের হাসি আপনার সারাদিনের ক্লান্তি দূর করে দেবে।


বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক

১. বহুদিন বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয় না। চট করেই তাকে একটি ম্যাসেজ লিখে ফেলুন। দুজনে দেখা করার পরিকল্পনা করে ফেলুন। দেখবেন, আপনার এই ম্যাসেজ তাকে পুরোনো দিনের কথা মনে করিয়ে দেবে, যা তাকে এক নিমেষেই চাঙ্গা করে দেবে।


২. মেয়ে বন্ধুটিকে কোনো কারণ ছাড়াই ফুল কিনে দিন। হঠাৎ করেই আপনার কাছে থেকে ফুল পেয়ে সে যেমন অবাক হবে তেমনি খুশিও হবে। এই ৬০ সেকেন্ডের সিদ্ধান্ত আপনাদের বন্ধুত্বের সম্পর্ককে আরো গাঢ় করবে।


৩. একটি ৬০ সেকেন্ডের ভয়েস ম্যাসেজ আপনার বন্ধুর মুখে হাসি ফিরিয়ে আনতে যথেষ্ট। খুব যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলতে হবে তা কিন্তু নয়। মজার কিছু একটা বললেন। আপনার বন্ধু এই ম্যাসেজ শুনতে শুনতে অনুভব করবে যে, সে আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।


সন্তানের সঙ্গে সম্পর্ক

১. সন্তানের স্কুলের টিফিন বক্সে ছোট্ট একটা চিরকুটে হাসির একটি চিহ্ন এঁকে দিতে পারেন। যাতে টিফিন বক্সটা খুললেই সন্তানের মনে আপনার কথা ভেসে উঠে। আর এতে পড়াশোনার চাপের মাঝেও তার মুখে হাসি ফুটে উঠবে।


২. সন্তানের জন্য তার পছন্দের কোনো খাবার তৈরি করতে চেষ্টা করুন সেটি যেন দেখতে তার পছন্দের কার্টুনের চরিত্র হয়। দেখবেন, সে বেশ উৎসাহ নিয়ে খাবারটি খেয়ে ফেলবে এবং আপনার প্রতি সে অনেক খুশিও হবে।


৩. একসঙ্গে খেতে বসে সন্তানের সামনে তার প্রশংসা করুন। তার কোনো কাজের জন্য বাহবা দিন। এতে সে ভালো কিছু করার আগ্রহ খুঁজে পাবে এবং আপনার সঙ্গে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হবে তার।


সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্ক

১. সহকর্মীদের জন্য কিছু চকলেট নিয়ে যেতে পারেন। দুপুরের খাবারের পর তাদের চকলেট দিয়ে চমকে দিতে পারেন। এতে সহকর্মীদের সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা এক নিমেষেই চাঙ্গা হয়ে যাবে।


২. কোনো সহকর্মী আপনাকে কাজে সাহায্য করলে তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে ম্যাসেজ দিন। এই ৬০ সেকেন্ডের কাজ তার সঙ্গে আপনার সম্পর্কটিকে সবসময়ের জন্য চাঙ্গা রাখবে।


৩. বসের প্রশংসা করতে ভুলবেন না। সামন্য হেসে বসের কিছু প্রশংসা করলে আপনার সঙ্গে তার সম্পর্কটা গাঢ় হবে। বস বুঝতে পারবে, আপনি তার প্রতি কতটা আন্তরিক।


নিজের সঙ্গে সম্পর্ক

১. নিজের পছন্দের সাতটি জিনিসের তালিকা করে ফেলুন। তবে এগুলো ছোট ছোট হতে হবে। শত ব্যস্ততার মাঝে সুযোগ পেলেই পছন্দের কাজটি করে ফেলুন। দেখবেন, ৬০ সেকেন্ডের এই কাজটি আপনাকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করবে।


২. কোনো কিছু কেনার জন্য হয়তো লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। আপনার পিছনের জনের কাজ দ্রুত করতে তার জিনিটি আপনিই কিনে দিন, যাতে তাকে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে না হয়। এতে তার মুখে যে হাসি ফুটে উঠবে সেটি সারাদিন আপনাকে চাঙ্গা রাখবে।


৩. নিজের ভালো পাঁচটি গুণের কথা একটি চিরকুটে লিখে মানিব্যাগ বা হ্যান্ডপার্সে রেখে দিন। সারাদিন যত বার আপনি ব্যাগ খোলার সময় এটি দেখবেন ততবারই আপনার মন ভালো হয়ে যাবে এবং এই ছোট জিনিসটি আপনার আত্মবিশ্বাস ধরে রাখবে।