

অন্য কেউ নয়, নিজের জীবনের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে কেবল নিজেরই হাতে। অন্য কারো আচরণ তখন আর কষ্ট দেবে না আপনাকে ততটা। প্রভাবিত করবে কম। আর সেই পরিস্থিতিতেই আপনাকে যে বা যারা ভালোবাসবে তাদের সঙ্গে নিয়ে জীবনকে আরো ভালোভাবে কাটিয়ে দিতে পারবেন খবু সহজে। ভালো থাকার আরেকটি বড় চাবিকাঠি হচ্ছে নিজেকে বিশ্বাস করা। আর এই বিশ্বাসের জন্য সবচাইতে দরকারি ব্যাপারটি হচ্ছে নিজেকে জানা। কোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগে থাকলে নিজেকে যাচাই করুন। আপনি যা ভাবে, যতটা জানেন বা যে পরিস্থিতিতে আছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্তটি কি সঠিক? কেন আপনি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন?
একলা থাকা মানেই কি সবার কাছে থেকে দূরে চলে যাওয়া? তা কিন্তু নয়। নিজেকে এমনভাবে আত্মনির্ভর করে তুলুন যাতে করে মানসিক বা আর্থিকভাবে আপনার সমস্ত দরকার আপনি নিজেই পূরণ করতে পারেন। এতে করে অন্যদের কাছ থেকে চাওয়া কমে যাবে আপনার। তাদের ছাড়াই ভালো থাকতে পারবেন আপনি। আর কাউকে ছাড়া ভালো থাকতে পারার অর্থ হচ্ছে নিরপেক্ষভাবে সেই মানুষ ও তার সঙ্গে থাকা সম্পর্ক নিয়ে ভাবতে পারা। জীবনে যাদের দরকার নেই তাদের বাদ দিয়েও খুশি থাকতে পারা। একলা থাকার অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে নিজের ভালোলাগাকে আরো একটু বেশি প্রাধান্য দিতে পারবেন আপনি।
অন্য কোনো মানুষের কারণে? তাহলে সেই বিষয়টি মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলে দিয়ে আপনি কী ভাবছেন বা আপনি কী করতে চান সেটাই ভাবুন। সেটাকেই মূল্য দিন। এই যেমন- কোথাও বেড়াতে যেতে মন চাইছে। অন্যকে যতটা গুরুত্ব দিচ্ছেন নিজেকেও ততটা দিন। সঙ্গের বন্ধু আপনার সঙ্গে যেতে না করে দিল তার মানে এই না যে আপনি যাবেন না। যদি যেতে ইচ্ছে করে তাহলে যাবেন। কিন্তু বন্ধুর জন্য আটকে থাকবেন না। বিশ্বাস রাখুন নিজের ওপর। আপনার বন্ধুটি সঙ্গে গেলে যতটা খুশি আপনি হতেন, একলা গেলেও ভ্রমণে ততটাই আনন্দ পাবেন। অন্যের জন্য নিজেকে ভোগানোর কোনো মানে নেই। তাই, একলা থাকতে শিখুন। আনন্দে থাকুন।
তবে এর মানে এই নয় যে সবার থেকে আলাদা হয়ে যাবেন আপনি। সমাজে বাস করতে হলে মানুষ আর নানারকম সম্পর্কে আপনাকে থাকতেই হবে। সেগুলোকে সঙ্গে নিয়েই বাস করুন। নিজেকে এতটাই স্বনির্ভর করে তৈরি করুন যাতে করে এই মানুষ আর সম্পর্কগুলো না থাকলেও একলাই খুশি থাকতে পারেন।








পাঠকের মন্তব্য (0)
Please login To write comment