রূপচর্চায় দইয়ের জাদুকরী গুণ

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস January 26, 2017 711
রূপচর্চায় দইয়ের জাদুকরী গুণ

ত্বক ও চুলের জন্য নানান উপকারী গুণে ভরপুর টক দই। রূপচর্চার বিভিন্ন ধাপে সঠিকভাবে ব্যবহার করা গেলে উপকার পাওয়া যায়।


রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনে জানানো হয় খুশকি দূর করার পাশাপাশি ত্বকের যত্নে নানান ভাবেই টক দই ব্যবহার করা যায়।


খুশকি দূর করে: টক দইয়ের সঙ্গে পরিমাণ মতো লেবুর রস ও লবণ মিশিয়ে মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখতে হবে। চুলে নয়। চাইলে মিশ্রণের সঙ্গে খানিকটা জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এতে শুষ্ক মাথার ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।


প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েটর: দইয়ে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের দাগ দূর করে কোমল রাখতে সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশ ও ওটমিলের সঙ্গে টক দই মিশিয়ে ঘরোয়া স্ক্রাব তৈরি করা যায়। সপ্তাহে দুবার ব্যবহারেই পার্থক্য বোঝা যাবে।


ত্বক উজ্জ্বল করতে সহায়ক: টক দই ত্বকের রং উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। টক দইয়ের সঙ্গে কমলার খোসা-গুঁড়া মিশিয়ে ব্যবহার করলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে। এই মিশ্রণ ত্বকের পোড়াভাব দূর করে ত্বক উজ্জ্বল সাহায্য করে। নিয়মিত ব্যবহারে ভালো কাজ হবে।


ফাটা ঠোঁটের যত্ন: শুধু যে শীতেই ঠোঁট ফাটার সমস্যা হয় তা নয়। গরমে সূর্যের অতিরিক্ত তাপ আর্দ্রতা শুষে নেয় ফলে চামড়া ওঠা, ঠোঁট ফাটা ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। এ সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে টক দই আর জাফরান এই দুই উপাদান।


পরিমাণ মতো দইয়ের সঙ্গে অল্প পরিমাণে জাফরান মিশিয়ে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিটের জন্য। জাফরান পাওয়া না গেলে সরিষার তেলেও ব্যবহার করা যাবে। দই ও সরিষার তেলের মিশ্রণ দিনে দুবার ঠোঁটে লাগিয়ে নিলেই উপকার পাওয়া যায়। ঠোঁট কোমল হওয়ার পাশাপাশি রংও পরিবর্তিত হবে এই মিশ্রণ ব্যবহারে।