আত্মবিশ্বাসী ও সৃজনশীল করে তুলুন নিজেকে

লাইফ স্টাইল January 23, 2017 1,213
আত্মবিশ্বাসী ও সৃজনশীল করে তুলুন নিজেকে

নিজেকে ভালো করে কি জানেন? কি করতে চান আপনি? জীবনের লক্ষ্য মাত্রা কি হওয়া উচিত? আজ থেকে পাঁচ বছর পর নিজেকে কোথায় দেখতে চান? যদি আপনি নিজেকে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রাখতে বা স্থির করতে পারেন তাহলে বর্তমান চলার পথ সমান্তরাল হবে ভবিষ্যতের দিকে।


যদি নিজেকে না চেনেন, না বুঝেন। যদি জীবনের সঠিক কর্ম পরিকল্পনা না থাকে তাহলে নিশ্চিত জেনে রাখুন চোরাবালিতে আপনি তলিয়ে যাবেন। হতাশা ঘিরে ধরবে নিজেকে। সেক্ষেত্রে নিজেকে নেতিবাচক কখনোই ভাববেন না। সব সময় নিজের মধ্যে পজেটিভ মানসিকতা থাকতে হবে। আপনার সীমাবদ্ধতাকে ভেঙে ভবিষ্যতের দিকে কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন। তা নিয়ে পরিকল্পনা করে ফেলুন। নিজের নেতিবাচক দিকগুলো আজই ঝেরে ফেলুন। কাজ করার ক্ষমতা ও শক্তি সম্পর্কে ভাবুন। ভেতরের যোগ্যতাগুলোকে কাজে লাগান।


মনে রাখবেন, আপনার কর্মদক্ষতা যতটা বৃদ্ধি পাবে, দোষগুলো ততটা ঢেকে যাবে। আপনি পারেন এবং পারতেই হবে এই জেদ এবং অঙ্গীকার আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করতে পারবেন। নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করার জন্য নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য নিচের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিজের মধ্যে ধারণ করতে পারেন।


ইতিবাচক মানসিকতা থাকতে হবে: ইংরেজিতে একটি কথা আছে ডু পজেটিভ থিং পজেটিভ। আপনার আত্মবিশ্বাস অর্জনে এই প্রবাদ বাক্যটিকে লালন করা শতভাগ কাজে দেবে। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা পরিহার করে নিজের মধ্যে সবসময় ইতিবাচক চিন্তাভাবনা রাখতে হবে।


মেডিটেশন বা ইয়োগা করার মাধ্যমে: নিজের ভেতরে ডুব দেয়া ছাড়া নিজের সম্ভাবনাকে আবিষ্কার করা যায় না। নিজেকে নিয়ে ভাববার জন্য কিছু সময় বের করেন। প্রতিরাতে এবং সকালে আপনি এ চর্চা করতে পারেন ধ্যান প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। নিজের সারাদিনের কাজের মূল্যায়ন করুন। ভালো কাজের জন্য নিজেকে ধন্যবাদ দিন।


পড়াশোনা করুন নিয়মিতভাবে: আপনি কিছু সময় বই পড়াতে মনযোগী হতে পারেন। আত্মনির্মাণ ও আত্মউন্নয়ন মূলক বই পড়–ন। সফল মানুষের জীবনীই আপনার মাঝে আত্মবিশ্বাস নিজের মধ্য ক্রিয়েটিভিটি বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।


সময় মতো কাজ করুন: আপনি প্রতিদিনের কাজের একটি তালিকা তৈরি করে ফেলুন এবং হাতে সময় থাকতেই কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলুন। দেরিতে কাজ করা, কোথাও দেরিতে যাওয়ার মানসিকতা কোনো পজেটিভ দিক নয়। সঠিকভাবে কাজ করতে যত্নবান হতে হবে।


ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করুন: আমরা অনেক সময় অল্প কথায় রেগে যাই, উত্তেজিত হয়ে পড়ি, উত্তেজনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। উত্তেজিত, রাগান্বিত হওয়া যাবে না সবসময়। রাগ করে কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলবেন না। যাতে ভবিষ্যতে আপনার এই ক্রোধ বা রাগ হয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করাকে নিয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।