হাসি, ভালোবাসা ও সুখের পেছনে সময় দিন

লাইফ স্টাইল January 22, 2017 969
হাসি, ভালোবাসা ও সুখের পেছনে সময় দিন

একটু ভালো করে বেঁচে থাকার জন্য মানুষ কত কিছুই না করে। তারা নিজেদের প্রচেষ্টা ভালো থাকার কত আয়োজনই না করেন। আবার বিশেষজ্ঞের পরামর্শেরও প্রয়োজন হয়। হাসি-খুশি সময় আর ভালোবাসার সন্ধান মিললেই মানুষ সুন্দরভাবে বেঁচে থাকার রসদ পেয়ে যায়। এখানে মিটলেক্স রিসার্চের সিইও এবং প্রতিষ্ঠাতা সালোনি মার্দিয়া কোথারি সেই পরামর্শই নিয়ে এসেছেন। কিছু কাজ করতে হবে। এতেই আপনার জীবনটা সুখকর হয়ে উঠবে। হাস্যোজ্জ্বল দিন যাবে এবং ভালোবাসায় ভাসবেন। নিজের জীবন থেকেই এ অভিজ্ঞতার বয়ান করেছেন সালোনি।


১. পেশা ও ব্যক্তিগত জীবনে ভারসাম্য

সময় অনুযায়ী জীবনকে গুছিয়ে আনার চেষ্টা করতে হবে। সালোনি বলেন, প্রথম প্রথম কর্মজীবন শুরু করে আমার এ অবস্থা হয়েছিল। তখন ব্যক্তিগত জীবন কি তা ভুলে গিয়েছিলাম। বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতাম না। কিন্তু খুব দ্রুত বুঝে নিলাম ভুল করছি। ভারসাম্য আনতে সচেষ্ট হলাম। এখন সবকিছুই অনেক ভালোমতোই কাটছে।


২. ফিট মানুষ হয়ে উঠুন

আমি নারী। তাই এ সমাজের অনেক সুবিধা থেকেই বঞ্চিত হতে হয়। কিন্তু নারীর ফিট থাকাটা জরুরি। সব মানুষেরই ফিট থাকা দরকার। এর জন্য স্বাস্থ্যের যত্ন নিতে হবে। দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। নিজের দেখভাল করুন। ফিট থাকলে মনে শান্তি ফিরে আসে। সুখকর অনুভূতির সৃষ্টি হয়। তাই সুস্থ থাকতে কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চলুন।


৩. প্রাণশক্তি এবং সুখ

জীবনের সব বিষয় নিয় উৎফুল্ল থাকুন। সবকিছুতে অংশ নেওয়ার চেষ্টা করুন। আনন্দময় ঘটনাগুলো উপভোগ করুন। বন্ধু-পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান। এতে মুখে হাসি ফুটে থাকবে। আর হাসি মানেই সুখ।


৪. নিখুঁত পরিকল্পনাকারী

বিষয়টা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে। যেকোনো পরিকল্পনা তৈরিতে খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে ভাবুন। লক্ষ্য নির্ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন। ভালো পরিকল্পনায় মনে তৃপ্তি আসে। তবে পরিকল্পনা করার সময় অবশ্যই ঝুঁকির কথা বিবেচনা করুন।


৫. আত্মার শান্তি

এদিক থেকেও শান্তি লাভের চেষ্টা করুন। ইয়োগ ও মেডিটেশন আপনাকে অনেক কিছু দিতে পারে। মনের চাপ সব দূর হতে পারে। এতে অনাবিল সুখ আসবে মনে। হাসতে হবে এবং ভালোবাসতে হবে। স্বজন, বন্ধু বা প্রয়জনের প্রতি ভালোবাসা।


৬. সফলতা ও ব্যর্থতা

দুটোকেই গ্রহণ করতে হবে। সফলতায় সুখ আসবে এমনিতেই। কিন্তু ব্যর্থতা থেকে যদি শিক্ষাগ্রহণ করতে চান, তবে তা যন্ত্রণাদায়ক হবে না।


৭. জরুরি অবস্থা

সব সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখার চেষ্টা করবেন। ফালতু বিষয় থেকে দৃষ্টি সরিয়ে মূল বিষয়ে মনোযোগ দিন। তাৎক্ষণিক সমাধানের চেয়ে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের দিকে মন দিন। জরুরি অবস্থা সামাল দিতে স্বাভাবিক মানসিকতা ধরে রাখার চেষ্টা করুন।