বিছানায় বাচ্চার প্রস্রাব বন্ধে কী করবেন

লাইফ স্টাইল January 21, 2017 1,025
বিছানায় বাচ্চার প্রস্রাব বন্ধে কী করবেন

আপনার সন্তান রোজ বিছানায় প্রস্রাব করছে। খুব ছোট্ট বয়সে সে রোজ বিছানা প্রস্রাব করে ভিজিয়েছে, সেটা স্বাভাবিক ছিল; কিন্তু এখন শিশুর বয়স ৭।


প্রথমে কয়েকদিন রাতে বিছানায় প্রসাব করায় সন্তানকে বকাঝকা করেছেন, কিন্তু তারপরও রোজ এভাবে বিছানা ভিজিয়ে ফেলছে সে। কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। এটা কঠিন কোনও রোগ নয় তো! এ নিয়ে চিন্তায় পড়েন বাবা-মা।


বিছানায় প্রস্রাব করা সমস্যাটিকে ডাক্তারি পরিভাষায় নকচারনাল এনুরেসিস বলে। সাধারণত শিশুরা জন্মের পর দু’তিন বছর পর্যন্ত ঘুমের মধ্যে বিছানায় প্রস্রাব করে থাকে। এটি কোনও রোগ নয়। এটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।


যেহেতু আড়াই বছর বয়সের স্নায়ুতন্ত্রের পরিপক্কতা আসে না, তাই প্রস্রাব ও পায়খানা ধারণ করার ক্ষমতা মস্তিষ্ক থেকে নিয়ন্ত্রণ হয়। স্বাভাবিক অবস্থায় তিন বছর পর বিছানায় প্রস্রাব করার কথা নয়।


বিশেষজ্ঞদের মতে, বংশগত কারণে মূত্রথলির নিয়ন্ত্রণ দেরিতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ওই সমস্যা থেকে যায়। এছাড়া শিশুদের মূত্রথলী ছোট থাকে তাই তারা প্রস্রাব ধরে রাখতে পারে না।


আর শতকরা কত ভাগ শিশুর এই সমস্যা রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান আমাদের জানা নেই।


তবে এ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই ঘরোয়া কিছু উপায়ে বাচ্চার বিছানায় প্রস্রাব করার অভ্যাস সারিয়ে তোলা সম্ভব। আর শিশুদের এ সমস্যা রোধে আছে কিছু ঘরোয়া সমাধান। আসুন সেই সমাধানগুলো জেনে নিই :


দারুচিনি : আপনার স্কুলে যাওয়া বাচ্চা যদি বিছানায় প্রসাব করে তাহলে তাকে সকালে এক টুকরো দারুচিনি চিবিয়ে খেতে দিন। এ ছাড়া এক চামুচ দারুচিনি গুঁড়াও তাকে এক কাপ পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে দিতে হবে। দারুচিনি হল খুবই সাধারণ একটি উপায়। এছাড়া সকালের নাস্তায় দারুচিনি গুঁড়ার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে বাচ্চার খাবার যেমন- পাউরুটি, বাটার টোস্টে বা রুটি চিনির সঙ্গে মিশিয়ে খেতে দিন।


মধু : বাচ্চাকে প্রতিরাতে ঘুমানোর আগে এক চামুচ মধু খেতে দিন। সকালের নাস্তার খাওয়ার পর এক গ্লাস দুধের সঙ্গে এক চামুচ মধু মিশিয়ে পান করতে দিন। মধু শিশুর বিচানায় প্রস্রাব করা সমস্যা রোধ করতে খুব উপকারী। এটা খেতে দিন তারা কখনো না করাবে না কারণ শিশুরা মধু খেতে খুব ভালোবাসে।


অলিভ অয়েল : পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল সামান্য গরম করে নিন। তারপর শিশুর নিন্মাঙ্গের আশপাশে ভালো করে কুসুম গরম অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করুন।


তবে এই সমস্যা পুরোপুরি সারিয়ে তুলতে প্রতিদিন একইভাবে গরম অলিভ অয়েল ম্যাসেজ করুন। এতে শিশুর এই সমস্যাটি সারিয়ে তুলতে পারবেন।