সন্তানকে যেসব বিষয় শেখাতে হবে স্কুলজীবনেই

অর্থ ব্যবস্থাপনা

জীবনযাপনের জন্য বাজেট তৈরি করা জরুরি দক্ষতাগুলোর একটি। অনেক শিক্ষার্থীই শিক্ষাজীবনে ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ে। আসলে অর্থের সুষ্ঠু ব্যবহার না শেখায় তারা এ ঝামেলায় পড়ে। তাই আপনার সন্তান বাকি জীবনটা কিভাবে চালাবে—এ নিয়ে স্কুলজীবনেই সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে হবে।

স্বাস্থ্যকর খাবার রান্না

ভালো খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শুধু তাই নয়, রান্না করাও শেখাতে হবে। বাড়িতে আপনি রান্না করার সময় শিশুকে ডেকে নিন। তাকে স্বাস্থ্যকর খাবার রান্নায় উৎসাহিত করুন। খাদ্যাভ্যাস ভালো থাকলে সে শিখবে বাজার থেকে কী কিনতে হবে এবং কোনগুলো স্বাস্থ্যের যত্ন নেবে।

নিজের স্থানকে সাজানো

কিভাবে ঘর গোছাতে হয়—এ কাজটি বড়রা সাধারণত বোঝেন; কিন্তু শিশুরা তা বোঝে না। তাদেরও কাজটি শেখাতে হবে। এতে করে তাদের মধ্যে নিজেকে গুছিয়ে রাখার প্রবণতা সৃষ্টি হবে। শুরুতে কাপড়, বিছানা কিংবা আসবাবপত্রগুলো গুছিয়ে রাখার অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে।

নথিপত্র সংরক্ষণ

ছোটদের খুব বেশি নথিপত্র থাকে না। এর পরও যা আছে, তাই সংরক্ষণ করা শেখাতে হবে। স্কুলের সার্টিফিকেট, পরীক্ষার নম্বরপত্র সংরক্ষণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে তাদের গোছালো করে তুলুন। এতে করে বড় হয়েও সে সব বিল, ট্যাক্সের কাগজ, স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্য বা পেশাজীবনের সব নথিপত্র সংরক্ষণে অভ্যস্ত হবে।

জীবনযাপন

জীবনযাপনে পেরেশানমুক্ত থাকতে সন্তানের একটা কার্যসূচি তৈরি করে দিতে হবে। সকালে ঘুম থেকে ওঠা, স্কুলে যাওয়া, টিফিন খাওয়া, খেলতে যাওয়া ইত্যাদি ক্ষেত্রে একটা লিখিত বা অলিখিত তালিকা তৈরি করে দিন।

যোগাযোগে দক্ষতা

সামাজিক হয়ে উঠতে চারপাশের মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে হয়। মিলেমিশে চলার শিক্ষাটাও জরুরি। এটা শুধু ব্যক্তিগত জীবনের জন্যই নয়, পেশাজীবনেও প্রয়োজনীয় শিক্ষা।