ভালো ও মন্দ কাজের ইচ্ছা পোষণের পরিণতি

ইসলামিক শিক্ষা January 18, 2017 1,568
ভালো ও মন্দ কাজের ইচ্ছা পোষণের পরিণতি

আল্লাহ তাআলা বান্দার ভালো কাজ এবং মন্দ কাজের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কাজ ভালো হোক আর মন্দ হোক বান্দার প্রতিটি কাজের বিনিময়েই রয়েছে প্রাপ্তি। কাজ যদি ভালো হয়, ফলাফলও ভালো। আর বান্দার কাজ যদি মন্দ হয় তবে তার প্রাপ্তিও মন্দ।


রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, প্রতিটি কাজের ফলাফল নির্ভর করে তার নিয়তের ওপর। বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, শুধুমাত্র ভালো কাজের নিয়তের কারণেই কাজ করা ছাড়াও ছাওয়াব লাভ হয়।


রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতের জন্য ভালো কাজই নয় বরং শুধুমাত্র ভালো নিয়তের দ্বারাই বান্দার জন্য উত্তম প্রতিদান নির্ধারণের ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়ে হাদিসে কুদসিতে এসেছে-


হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর প্রভূর সূত্রে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা সৎকাজ ও পাপকাজের সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন এবং সেগুলোর বৈশিষ্ট্য স্পষ্টভাবে বিবৃত করেছেন।


অতএব যে ব্যক্তি কোনো সৎ কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করে কিন্তু বাস্তবে তা সম্পাদন করেনি, (ইচ্ছা পোষণ করার কারণেই) আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির আমলনামায় (ফেরেশতাদের) একটি পূর্ণ নেকী লিপিবদ্ধ করার আদেশ দেন।


আর (সৎ কাজের) ইচ্ছা পোষণের পর যদি ওই কাজটি সম্পাদন করা হয়, তাহলে আল্লাহ তাআলা তার (ওই ব্যক্তির) আমলনামায় ১০টি নেকী থেকে শুরু করে সাতশ’ নেকী এমনকি তার চেয়েও কয়েকগুণ বেশি নেকী লিপিবদ্ধ করে দেন।


আর যদি কোনো ব্যক্তি পাপ (অসৎ) কাজের ইচ্ছা পোষণ করে এবং তা সম্পাদন না করে, তবে আল্লাহ তাআলা তার (ওই ব্যক্তির অন্যায় কাজ না করার) বিনিময়ে তার আমলনামায় একটি পূর্ণ নেকি লিপিবদ্ধ করেন।


আর যদি (ওই ব্যক্তি) ইচ্ছা পোষণের পর খারাপ কাজটি সে করেই ফেলে তাহলে আল্লাহ তাআলা (একটি মন্দ কাজের বিনিময়ে) তার আমালনামায় শুধুমাত্র একটি পাপই লিখে রাখেন। (বুখারি ও মুসলিম)


আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে ভালো কাজ করার তাওফিক দান করুন। শুধু ভালো কাজ করা নয় বরং ভালো কাজের ইচ্ছা পোষণ করে হাদিসে ঘোষিত ছাওয়াব লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।


সূত্রঃ জাগো নিউজ