শসা দিয়ে রূপচর্চা

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস January 16, 2017 4,879
শসা দিয়ে রূপচর্চা

শশা, সাধারণত খাবারের অনুসঙ্গ সালাড হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে। কিন্তু এর নানান ভেষজ গুনের কারণে রূপ চর্চার কাজেও ব্যবহার হচ্ছে অহরহ।


• আসুন জেনে নেওয়া যাক শসার বিভিন্ন গুণাগুন এবং ব্যবহার সম্পর্কে....


১. তৈলাক্ত ত্বকে, মুখ ধোয়ার পর শুধু শশার রস টোনার হিসেবে মুখে লাগাতে পারেন অথবা একে আরো কার্যকরী করতে শশার রসের সঙ্গে আপেল সাইডার ভিনেগার, টমেটোর রস এবং অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে নিতে পারেন।


২. শশাতে থাকা ব্লিচিং প্রপার্টিজ ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে ত্বক উজ্জ্বল এবং স্কিন টোন সমান করে। বাইরে থেকে এসে মুখ ধুয়ে শশার রস লাগান। এটি সান বার্ন দূর করবে।


৩. একটি শশা ব্লেন্ডারে ভাল মতো ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরী করে দু’চামচ লেবুর রস এবং এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের রুক্ষভাব দূর করে চেহারা উজ্জ্বল করে।


৪. শশার ৯৫% উপাদানই হচ্ছে পানি। এর ফলে শশা খাওয়ার মাধ্যমে ত্বক হাইড্রেটেড এবং ময়েশ্চারাইজড থাকে। শশার দানাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই এবং পটাশিয়াম। যা, ফাইন লাইন্স, রিংকেল সহ বার্ধক্যের বিভিন্ন ছাপ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল এবং যৌবনদ্বীপ্ত রাখে।


৫. ডার্ক সার্কেল কমাতে শশা বেশ কার্যকর। শশাতে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং সিলিকা চোখের ডার্ক সার্কেল কমিয়ে চোখের চারপাশের স্কিন ভালো রাখে।


৬. তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে কাঁচা হলুদ, লেবুর রস এবং শশা পেস্ট একঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরী করুন। মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে গেলে মুখ ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি স্কিনের অতিরিক্ত তেল নিয়ন্ত্রণ করে।


৭.শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে এক চা-চামচ ওটমিল এবং পরিমাণমত শশা পেস্ট একসঙ্গে মিশিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। মুখে এবং ঘাড়ে মিশ্রণটি ভালো মত মেখে ২০ মিনিট রাখুন। চাইলে এর সঙ্গে মধু যোগ করতে পারেন। মধু ত্বক ময়েশ্চারাইজড রাখবে।


৮. বয়সের ছাপ লুকাতে দুই টেবিল-চামচ টক দই, আধা চামচ মধু এবং লেবুর রসের সঙ্গে দুই চামচ গ্রেট করা শশা এবং দুটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভালোমতো মেশান। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ফাইন লাইন্স, রিংকেল দূর করে ত্বক টানটান এবং সুন্দর করে।


৯. শশাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সিলিকা যা নখ শক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত শশা খাওয়ার মাধ্যমে নখ ভাঙ্গা কমে গিয়ে নখ শক্ত হয়।


১০. ব্রোন সমস্যা থেকে বাঁচতে দুই চা-চামচ শশার রসের সঙ্গে গোলাপ জল এবং মুলতানি মাটি মিশিয়ে প্যাক তৈরী করে মুখে লাগান।


১১. চুলের বৃদ্ধিতে শশার ভুমিকা অতুলনীয়। এটি চুল পড়া কমাতে সাহায্য করে।