ঠেকায় পড়ে সুদে টাকা নেওয়া যাবে কি?

ইসলামিক শিক্ষা January 13, 2017 3,093
ঠেকায় পড়ে সুদে টাকা নেওয়া যাবে কি?

নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’।


জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দ‍র্শকের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ।


আপনার জিজ্ঞাসার ১৯১৯তম পর্বে ঠেকায় ফড়ে সুদের ভিত্তিতে টাকা নেওয়া যাবে কি না, সে সম্পর্কে ই-মেইলে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে জানতে চেয়েছেন আবদুল্লাহ। অনুলিখনে ছিলেন জহুরা সুলতানা।


প্রশ্ন : আমার আম্মু সৌদি আরবে থাকেন। উনি তিন মাস পরপর টাকা পাঠান। কিন্তু আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে সেমিস্টার ফি দিতে হয় এক মাস পরপর। আবার সব সময় আমাদের বাসায় টাকা থাকে না। আমার আপু স্বর্ণকারের দোকানে স্বর্ণ রেখে টাকা নিয়ে আসে, পরে যত টাকা আনি ওই টাকা তো দিতেই হয়, আবার সুদও দিতে হয়। এখন আমরা কী করতে পারি।


এতে করে আমার পড়ার যে খরচ দেওয়া হয়, সেটা কি হারাম হবে? আর অন্য কারো কাছ থেকে টাকা না পেলে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় আমাদের।


উত্তর : যদি এমন হয় যে আপনাদের কাছে আর কোনো ব্যবস্থা নেই, তাহলে আপনারা মোত্তারের মাসয়ালার মধ্যে চলে আসবেন। যেহেতু বাধ্য হয়ে গেছেন। কাজটা মন্দ, কিন্তু বাধ্য হওয়ার কারণে করতে হচ্ছে। তাহলে এর জন্য আপনারা আর গুনাহগার হবেন না। কিন্তু এটি জায়েজ না, হালাল বা বৈধ নয়।


কিন্তু গুনাহ থেকে হয়তো বাঁচতে পারেন যদি আপনি মোত্তার হন বা বাধ্য হয়ে যান।


কারণ আপনার কাছে আর কোনো টাকা নেই, আর কেউ আপনাকে সাহায্যও করছে না। এ ক্ষেত্রে কারো কাছ থেকে যদি ধার নিতে পারেন, সেটা সবচেয়ে উত্তম। অর্থাৎ চেষ্টা করতে হবে, এ পদ্ধতি থেকে বের হওয়ার জন্য। যদি আন্তরিকভাবে চেষ্টা করেন, তাহলে আমার বিশ্বাস, অবশ্যই আপনার জন্য কোনো পথ বেরিয়ে আসবে।


আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা বলেছেন, ‘যে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনকে ভয় করে, সত্যিকার তাকওয়ার যে নীতি রয়েছে, সেটার অনুসরণ করে, আল্লাহ সুবানাহুতায়ালা তাঁর জন্য বের হওয়ার পথ তৈরি করে দেন।’


তাই আমরা যদি বের হওয়ার জন্য চাই, তাহলে আল্লাহতায়ালা হয়তো আমাদের জন্য বের হওয়ার সে পথ করে দেবেন। সেই চেষ্টাটুকু করুন।