কুয়াকাটা : অপরূপ সৌন্দর্যের হাতছানি

দেখা হয় নাই January 4, 2017 1,528
কুয়াকাটা : অপরূপ সৌন্দর্যের হাতছানি

শীত মানেই বেড়ানোর মৌসুম। বেড়ানোটা যদি হয় সমুদ্রের তীরে তাহলে হয়তো অনেকেই আনন্দে লাফিয়ে উঠবেন। কুয়াকাটা তেমনই ভ্রমণ স্থান যেখানে সাগরের সৌন্দর্য ছাড়াও রয়েছে নৈসর্গিক নানা দৃশ্য উপভোগের সুযোগ।


একই ভ্রমণে সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত দেখা আর যদি সাগরজলে মজার স্নান করতে চান তাহলে যেতে হবে কুয়াকাটা। এদেশের একটি আকর্ষণীয় সমুদ্র সৈকত এই কুয়াকাটা। বরিশাল বিভাগের শেষপ্রান্তে পটুয়াখালি জেলায় এর অবস্থান। কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের দৈর্ঘ্য ১৮ কিলোমিটার। এখানকার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো—এ সৈকতে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দেখা যায়।


ঢাকা থেকে সরাসরি স্থল পথে কুয়াকাটা যাওয়া যায়। তবে ভ্রমণে বৈচিত্র্য আনতে চাইলে অবশ্যই লঞ্চে পটুয়াখালি এসে সেখান থেকে বাসে কুয়াকাটা আসতে হবে। আকাশপথে বরিশাল এসেও সেখান থেকে সহজেই আসতে পারেন এখানে। এখানে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের একটি মোটেল ছাড়াও ভালো মানের বেশ কয়েকটি হোটেল আছে।


কুয়াকাটার দর্শনীয় স্থানগুলো হলো—সমুদ্র সৈকত, পশ্চিম সৈকতের শুঁটকি পল্লী, পূর্ব সৈকতের গঙ্গামতির বাঁক ও গঙ্গামতির চর, রাখাইন পল্লী, কুয়াকাটা নামের উত্স প্রাচীন কুয়া ও বৌদ্ধ মন্দির, মিশ্রী পাড়ার বৌদ্ধ মন্দির, ফাতরার চর ইত্যাদি।


যোগাযোগ

গাবতলী ও সায়েদাবাদ থেকে বিভিন্ন পরিবহনের বাস সার্ভিস রয়েছে। এছাড়া সদর ঘাট নৌ টার্মিনাল থেকে বরিশাল অথবা পটুয়াখালির জাহাজে করে গিয়ে সেখান থেকে বাসে কুয়াকাটা যাওয়া যায়।


আবাসিক হোটেল

রাতে থাকার জন্য পর্যটন কর্পোরেশনের মোটেল, কুয়াকাটা গেস্ট হাউসসহ বেশকিছু বেসরকারি কটেজ, বোর্ডিং, হোটেল রয়েছে। তিন দিনের জন্য জনপ্রতি চার হাজার টাকা হলেই যথেষ্ট।