হঠাৎ অবসাদ না চাইলে ৭ টিপস মেনে চলুন

লাইফ স্টাইল January 2, 2017 1,069
হঠাৎ অবসাদ না চাইলে ৭ টিপস মেনে চলুন

হঠাৎ কোনো কারণ ছাড়াই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া কিংবা হঠাৎ করে মারাত্মক অবসাদে আক্রান্ত হতে পারেন যে কেউ। নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক কারণে এমনটি হতে পারে। তবে কয়েকটি পদক্ষেপের মাধ্যমে এ বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।


১. শারীরিক অনুশীলন

হঠাৎ অবসাদের কারণ হতে পারে শারীরিক। এক্ষেত্রে রক্তের শর্করার মাত্রা ওঠানামাতেও এমনটি হয়। আর এর পেছনে থাকতে পারে থাইরয়েড গ্রন্থির কার্যক্ষমতা হ্রাস, অ্যানেমিয়া ও রিউম্যাথয়েড আর্থ্রাইটিস। নিয়মিত শারীরিক অনুশীলনে হৃৎস্পন্দন সঠিক মাত্রায় থাকবে। এতে পর্যাপ্ত অক্সিজেনসমৃদ্ধ রক্ত মস্তিষ্ক ও মাংসপেশিতে যাবে। ফলে হঠাৎ ক্লান্তিভাবও আসবে না।


২. পর্যাপ্ত ঘুম

প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে হঠাৎ করে ক্লান্তিভাব তৈরি হতে পারে। আর এ সমস্যা কাটানোর জন্য নিয়মিত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। এছাড়া ঘুমের মান যেন ঠিক থাকে সেজন্যও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে ঘুমানোর জন্য উপযুক্ত ও আরামদায়ক পরিবেশ প্রয়োজন।


৩. গ্যাজেট সাবধান

স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, কম্পিউটার মনিটর ও টিভির মতো ডিভাইস চোখের সামনে সর্বদা ধরে থাকলে তা থেকে নীল আলো বিচ্ছুরিত হয় এবং তা দেহের মেলাটোনিনের মাত্রায় তারতম্য ঘটায়। এ হরমোনটি দেহেরে ঘুম ও জেগে থাকার চক্র নিয়ন্ত্রণ করে। হরমোনটির মাত্রায় পার্থক্য হলে তা ঘুমের সমস্যা যেমন তৈরি করে তেমন মানুষকে ক্লান্তও করে তোলে। আর এ সমস্যা দূর করতে সব সময় স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা ত্যাগ করতে হবে।


৪. প্যাকেটজাত নয়, তাজা খাবার খান

প্যাকেটজাত খাবার দীর্ঘদিন তাজা রাখতে নানা ধরনের রাসায়নিক ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বাড়তি স্বাদ ও গন্ধের জন্যও এসবের মধ্যে নানা কৃত্রিম উপাদান ব্যবহৃত হয়। এসব রাসায়নিক মানুষের দেহের বিভিন্ন ধরনের হরমোনের ভারসাম্যহীনতা তৈরি করে। অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত তাজা ফলমূল ও খাবারে সাধারণত এ সমস্যা থাকে না। তাই সুস্থ থাকার জন্য সর্বদা তাজা ফলমূল ও বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়া উচিত।


৫. পর্যাপ্ত পানি পান করুন

ক্লান্তি এড়াতে আপনার দেহের পানির তৃষ্ণা থাকুক আর না থাকুক, পানি পান করতে হবে। শীতকালে কিংবা সারাদিন নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বসে কাজ করলে অনেকেরই পানির জন্য তৃষ্ণা নাও পেতে পারে। কিন্তু এ সময় পানি পান করা দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।


৬. সঙ্গীত

সঙ্গীতের সুর মস্তিষ্ককে উদ্দীপ্ত করে। এছাড়া এটি একঘেয়েমিও দূর করে। এ কারণে নিজের পছন্দমতো সঙ্গীত শুনলে তা ক্লান্তি দূর করতে ভূমিকা রাখে।


৭. সামাজিকতা

আপনার বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ও পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখুন। তাদের সঙ্গে সর্বদা সম্পর্ক বজায় রাখুন ও ভালো-মন্দ বিষয়ে মতামত নিন ও দিন। এতে আপনার সামাজিক সম্পর্ক জোরদার হবে এবং মনও ভালো থাকবে। ফলে হঠাৎ করে অবসাদজনিত ক্লান্তি থেকে দূরে থাকা সম্ভব হবে।