প্রতিদিনের যে সহজ ১৫টি অভ্যাস আপনার জীবনমান বাড়াবে

লাইফ স্টাইল January 1, 2017 1,283
প্রতিদিনের যে সহজ ১৫টি অভ্যাস আপনার জীবনমান বাড়াবে

এমন ১৫টি কাজ কাছে যেগুলোর প্রতিটি করতে মাত্র ৫ মিনিট সময় লাগে। অথচ এই সহজ কাজগুলোই আপনার জীবন মান কয়েকগুন বাড়াতে সক্ষম।


১. দাঁত ব্রাশ করুন এবং ফ্লস দিয়ে পরিষ্কার করুন

এতে আপনার দাঁত শুধু ক্ষয় হওয়া থেকেই রক্ষা পাবে না বরং এতে আপনার জীবনও রক্ষা হবে।


আমেরিকান ডেন্টাল অ্যাসোসিয়েশন পরামর্শ দিয়েছে প্রতিদিন অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করুন বা ফ্লস দিয়ে পরিষ্কার করুন। আপনি যদি তা করতে না পারেন তাহলে আপনি স্মৃতিভ্রংশ, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ এবং ক্যান্সারসহ আরো নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন।


২. আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসুন

দাঁত ব্রাশ বা পরিষ্কার করার পর ১০ সেকেন্ডের জন্য আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের দিকে তাকিয়ে হাসুন। এতে আপনার মুড ভালো হবে।


৩. দিনের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো লিখে ফেলুন

তালিকার শীর্ষে রাখবেন সফল হওয়ার জন্য আপনাকে যে কাজটি অবশ্যই করতে হবে সেটি।


৪. বিছানা গোছান

দিনের শুরুতেই কোনো কাজ সম্পন্ন করুন। আর কাজটি ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারলে আপনার আত্মসম্মানবোধ বাড়বে। আর কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরে আসার পর আপনার এবং রাতের ঘুমের মাঝখানে আর কিছুই থাকতে পারবে না।


৫. মেডিটেশন করুন

প্রতিদিন মেডিটেশন করতে মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগে। কিন্তু এতে অনেক উপকার হয়। যেমন, মানসিক রোগ এবং মস্তিষ্কের অধঃপতনের ঝুঁকি কমে, সেরোটোনিন উৎপাদন বাড়ে, রক্তচাপ কমে এবং উদ্বেগ কমে।


৬. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন

যখন যে অবস্থাতে আছেন তার জন্যই বিধাতার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করুন। নিজেকে বলুন আপনি হয়ত সুদানের কোনো উদ্বাস্তু শিবিরেও জন্ম গ্রহণ করতে পারতেন।


৭. পডকাস্ট শুনুন

নানা বিষয়ে ইন্টারনেটে পাঁচ মিনিটের অসংখ্য পডকাস্ট আছে। বই পড়ার সময় না থাকলে অন্তত একটি পডকাস্ট শুনে কোনো বিষয় শিখুন।


৮. উপলক্ষর চাহিদার চেয়েও একটু ভালোভাবে পোশাক পরুন

কর্মস্থলে সকলেই যদি ক্যাজুয়াল পোশাক পরে আসেন তাহলে আপনিও একটি স্পোর্টস জ্যাকেটের সঙ্গে ক্যাজুয়াল পোশাকই পরে আসুন। কাজটি সহজ। কিন্তু আপনি সহজেই নজরে পড়বেন।


৯. প্রতিদিন অন্তত একবার অস্বস্তিতে পড়ুন

এমন কোনো কাজ করার সাহস দেখান যা আপনাকে উদ্বিগ্ন করবে। যেমন, কাজ সম্মেলন সংক্রান্ত কলের সময় উচ্চস্বরে কথা বলুন বা নতুন কারো প্রতি 'হাই' বলুন।


১০. গোলমাল মোকাবিলা করুন

কোনো কিছু দিয়ে কাজ করার পর সেটি জায়গামতো রেখে দিন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার জীবনে বিশৃঙ্খলা ও গোলমাল এড়াতে পারবেন। যা আপনার সময় অপচয়ও বাঁচাবে।


১১. নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন

ভিন্ন রুটে কর্মস্থলে যাওয়া, নতুন কোনো লোকের সাথে কথা বলা বা নতুন কিছু নিয়ে পরীক্ষা চালানোর মাধ্যমে আপনি এই কাজ করতে পারেন। প্রতিদিনের ব্যস্ততার চাপে নিজের কৌতুহল মরে যেতে দেবেন না।


১২. লিখুন

প্রতিদিন লেখালেখির অভ্যাস আপনাকে নিজের অগ্রগতির খতিয়ান রাখতে সহায়তা করবে। এতে আপনি আরো বেশি অগ্রগতি অর্জন করতে পারবেন।


১৩. বেশি বেশি হাঁটুন

সম্ভব হলে পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যান। ওপরে ওঠার সময় সিঁড়ি ব্যবহার করুন। সমস্যায় আটকে পড়লে অফিসের চারদিকে ঘুরে আসুন। দুপুরের খাবারের সময় বাইরে বের হয়ে হাঁটুন। অফিস শেষে পুনরায় পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরুন। এতে আপনার শক্তি, সৃজনশীলতা এবং মেজাজ-মর্জিও ভালো হবে।


১৪. এমন পাসওয়ার্ড সৃষ্টি করুন যা অনুপ্রেরণা যোগায়

প্রতিমাসে আপনি আপনার পাসওয়ার্ড বদলাতে পারেন। এতে আপনি অনুপ্রেরণামূলক কোনো কাজের কথা লিখতে পারেন। ফলে আপনি যতবারই লগইন করবেন ততবারই ওই কাজটির কথা মনে হবে।


১৫. 'না' বলুন

'না' বলার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রচুর সময় বাঁচাতে পারবেন। আপনি যদি কোনো কাজ করতে না চান, কাজটি করার যথেষ্ট সময় না থাকে, কাজটি করে কোনো উপকার না দেখেন তাহলে শুধু 'না' বলে দিন। কারো অযৌক্তিক কোনো অনুরোধ ফিরিয়ে দিলে আপনাকে অলস মনে হতে পারে। কিন্তু নিজের সময় বাঁচাতে এবং নিজের ব্যক্তিগত লক্ষ্যগুলো অর্জনে সময় ব্যয় করার জন্য এর চেয়ে ভালো আর কোনো উপায় নেই।