ঝকঝকে, কোমল ত্বকের জন্য এই শীতে রূপচর্চায় ব্যবহার করুণ দুধ

রূপচর্চা/বিউটি-টিপস January 1, 2017 838
ঝকঝকে, কোমল ত্বকের জন্য এই শীতে রূপচর্চায় ব্যবহার করুণ দুধ

ক্লিওপেট্রা রোজ উটের দুধে স্নান করতেন না?

সেরকমই তো গুজব শোনা যায়! এও শোনা যায়- নিত্যনৈমিত্তিক ওই দুধের ধারায় স্নানই ছিল তাঁর অমোঘ সৌন্দর্যের গুপ্তকথা!


তবে সম্প্রতি সারা পৃথিবী জুড়েই রূপবিশেষজ্ঞরা যা বলছেন, তাতে মিশরের রানির সৌন্দর্যের নেপথ্যে দুধের অবদান স্বীকার করে নিতে হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু খাওয়াটাই যথেষ্ট নয়। ত্বক ঝকঝকে, কোমল রাখতে হলে দুধকে ব্যবহার করতে হবে রূপটানের অঙ্গ হিসেবেও। কীভাবে, দেখে নেওয়া যাক এক এক করে!


প্রাকৃতিক ক্লিনজার: দুধ খুব সহজেই ত্বক থেকে ময়লা তুলে দেয়। তাই দুধকে এবার ব্যবহার করুন ক্লিনজার হিসেবে। একটু তুলো দুধে হালকা করে ভিজিয়ে সারা মুখে গোল করে মিনিট পাঁচেক ঘষে নিন। তার পরে মুখ ধুয়ে নিন গরম জলে। বেশ কয়েকদিন এরকম করার পরে ত্বকের সজীবতা দেখে নিজেই অবাক হয়ে যাবেন!


শুষ্ক ত্বকের শত্রু: ত্বক শুষ্ক হলে তা ঠিকঠাক রাখতে দুধের তুলনা মেলা ভার। এক্ষেত্রে একটু তুলো ভাল করে ভিজিয়ে নিতে হবে দুধে। তার পর গোল করে মুখে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে মিনিট কুড়ি। সবার শেষে মুখ ধুয়ে নিতে হবে ঠান্ডা জলে। প্রত্যেকদিন নিয়ম করে এই রূপচর্চা সামলাতে পারলে শুষ্ক ত্বক কাকে বলে, তা মনেও পড়বে না!


ফেসপ্যাকে দুধ: দুধ মৃত কোষ তুলে দিয়ে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ায়। কিন্তু সেক্ষেত্রে একে ব্যবহার করতে হবে ফেসপ্যাকের মতো করে। তার জন্য দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে তৈরি করে নিতে হবে একটা ঘন প্যাক। সেটা সারা মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে মিনিট পনেরো। এরপর গরম জলে মুখ ধুয়ে নিলেই ত্বকে আসবে যৌবনের দীপ্তি।


দাগহীন ত্বকের জন্য: দুধ খুব সহজে ত্বক থেকে দাগছোপ তুলে দেয়। সেক্ষেত্রে সমপরিমাণ দুধ আর গ্রিন টি মিশিয়ে একটা প্যাক তৈরি করতে হবে। স্নানের আগে রোজ মিনিট পনেরো লাগিয়ে রাখলেই কেল্লা ফতে! ফর্সা ত্বক পেতে কোনও বাজারচলতি প্রসাধনী ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না।


পোড়া ত্বকের উপশমে: দুধ খুব সহজেই পোড়ার জ্বালা কমিয়ে দেয় এবং সেইসঙ্গে পুড়ে যাওয়া ত্বকের দাগ দূর করে তাকে ফিরিয়ে আনে আগের অবস্থায়। এক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধ একটু তুলোয় ভিজিয়ে পোড়া জায়গায় বার বার লাগালে আরাম পাওয়া যাবে। আর ফোস্কা বা এজাতীয় পোড়ার দাগ তুলতে হলে দুধের সর ব্যবহার করতে হবে ফেসপ্যাক হিসেবে।


পায়ের যত্নে দুধ: দুধ পা-ফাটা ঠিক করারও মোক্ষম হাতিয়ার! তাই এই শীতে দুধকে ব্যবহার করতেই পারেন ঘরোয়া ফুট-স্পা হিসেবে। কাজটা এমন কিছু হাতি-ঘোড়াও নয়! গরম জলে দুধ মিশিয়ে তাতে পা ডুবিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকুন। মোটামুটি মিনিট দশেক। তার পরে একটা ঝামাপাথর দিয়ে ভাল করে পা ঘষে নিন। দেখবেন, ফাটা জায়গায় শুকনো ত্বক উঠে আসছে সহজেই। তার পর পা ধুয়ে ফেলুন গরম জল দিয়ে।