ভালোবাসা, যৌনতা এবং অর্থ সমস্যা

লাইফ স্টাইল December 28, 2016 1,029
ভালোবাসা, যৌনতা এবং অর্থ সমস্যা

এই তিনটি বিষয়ই দাম্পত্য সম্পর্কে সমস্যার প্রধান তিন কারণ। আসুন জেনে নেওয়া যাক ইস্যুগুলোকে কীভাবে সামলাবেন।


যৌনতা

সাধারণত ভাবা হয় পুরুষরাই যৌনজীবন নিয়ে বেশি হতাশায় ভোগেন। কিন্তু সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, নারীদের ৬৪ শতাংশেরও বেশি বিছানায় তাদের স্বামীর দুর্বল পারফর্মেন্সের কারণে অসন্তুষ্ট। সুতরাং সম্পর্কের রসায়ন অক্ষুণ্ন রাখতে বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি কথা বলুন...


- সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সাথে আপনার অসন্তুষ্টির বিষয়টি নিয়ে খোলাখুলি কথা বলতে লজ্জা বোধ করবেন না। এমনও হতে পারে আপনার স্বামী বা স্ত্রী আপনার অসন্তুষ্টির বিষয়টি উপলব্ধি করতে পারছেন না।


- যৌন জীবনকে আরো উপভোগ্য করার চেষ্টা করুন। সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে জিজ্ঞেস করুন বিছানায় কী করলে তিনি আরো বেশি সুখি হবেন।


- চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করার বিষয়টি বিবেচনা করুন। কারণ আপনি যেটাকে পরফর্মেন্সের সমস্যা বলে মনে করছেন, তা হয়তো আরো গুরুতর কোনো সমস্যাও হতে পারে। সুতরাং চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা করুন।


অর্থ

এটা কি আমার অর্থ হবে নাকি আমাদের অর্থ হবে? বিয়ের আগে বা পরে যে কোনো সময়েই অর্থ প্রচুর সমস্যা তৈরি করতে পারে। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, বেশিরভাগ বিবাহিত যুগলই এখন নিজেদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আলাদা রাখতে চান। এটা কি কোনো স্বাস্থ্যকর প্রবণতা? বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের মতে এটাই স্বাস্থ্যকর প্রবণতা। যদি দুজনেই সংসারের খরচ সমানভাবে বহন করেন। এখানে রইল আপনার অর্থ সম্পর্কিত সমস্যাগুলো মোকাবিলার উপায়...


- আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীকে পরিষ্কার করে বলে দিন প্রতি মাসের শেষে আপনি তার কাছ থেকে ঠিক কী পরিমাণ অর্থ সংসারের খরচের জন্য চান।


- একজন যখন খরচ করবেন তখন অন্যজন সঞ্চয় করবেন এমন পদ্ধতিও অবলম্বন করতে পারেন। অথবা দুজনেই সঞ্চয়ের জন্য সমপরিমাণ আলাদা করে রাখুন।


- তবে জরুরি মুহূর্তে নগদ অর্থ খরচের সময় নমনীয় হন।


- ঋণ করলে তা পরস্পরের কাছে গোপন রাখবেন না।


- সংক্ষিপ্ত ও দীর্ঘমেয়াদের লক্ষ্য-উদ্দেশ্যগুলো পরিকল্পনা করে রাখুন।


ভালোবাসা ও যোগাযোগের ঘাটতি

বেশিরভাগ বিবাহিত মানুষেরাই অনুভব করেন তাদের সঙ্গী বা সঙ্গিনী তাদের প্রতি খুব একটা অনুরক্ত নন এবং তাদের প্রতি মনোযোগী নন। এমনটা ঘটে কারণ কেউই একসঙ্গে বসে নিজেদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধান করতে আগ্রহী নন। দাম্পত্য সম্পর্কের সমস্যাগুলো নিয়ে নিজেদের মধ্যে খোলামেলা আলোচনা করাটা বেশিরভাগ মানুষের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় না। সুতরাং পরস্পরের সঙ্গে কীভাবে যোগাযোগ গড়ে তুলবেন?


- দাম্পত্য সম্পর্কের সমস্যাগুলো নিয়ে আলোচনার সময় টুকিটাকি কাজ করবেন না। আর কথা বলার সময় ইমেইল বা ফোন থেকেও দুরে থাকুন।


- কথা বলার সময় অন্যদের বিরক্তিকরন এড়াতে দুজনের সমঝোতার ভিত্তিতে সময় নির্বাচন করুন।


- কিছু রীতি নির্ধারণ করে নিন। আপনি যদি মনে করেন আপনি নিজে বা আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনী রাগের কারণে ঠিকভাবে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারবেন না তাহলে তা মোকাবিলার পদ্ধতি আগেভাগেই ভেবে রাখুন। আগেই সিদ্ধান্ত নিন যে, আপনার পরস্পরের প্রতি উচ্চবাচ্য করবেন না। যে শব্দগুলো আপনাদেরকে আঘাত করতে পারে সেগুলো উচ্চারণ না করার সিদ্ধান্ত নিন।


- কথা বলার সময় পরস্পরের প্রতি মনোযোগী হন। সঙ্গী বা সঙ্গিনী কথা বলার সময় চোখ পাকাবেন না বা ভাঁড়ের মতো জুবুথুবু হয়ে বসে থাকবেন না। আর আপনার দেহভঙ্গিও এমন হতে হবে যে আপনি তার মতোই ইস্যুগুলোর সমাধানে সমান আগ্রহী।


- আপনার নিজের ইস্যুগুলো আপনার কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে হয় তেমনি আপনার সঙ্গী বা সঙ্গিনীর কাছেও তার নিজের ইস্যুগুলো গুরুত্বপূর্ণ। সতুরাং পরস্পরের অভিযোগগুলেঅকে সমান গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করুন। অপরজনের ইস্যুগুলোকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করবেন না।