মাদ্রাসায় না পড়লে কি ইমামতি করা যাবে?

ইসলামিক শিক্ষা December 28, 2016 1,366
মাদ্রাসায় না পড়লে কি ইমামতি করা যাবে?

প্রশ্ন : আমরা যারা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করিনি, আমরা যখন অফিসে একসঙ্গে নামাজে যাই, তখন তিন-চারজন হলে আমরা জামাত করি। এই জামাতে যে ইমামতি করে, সে-ও কিন্তু মাদ্রাসায় পড়াশোনা করা নয়, সে ক্ষেত্রে সূরা-কেরাত যে খুব ভালো বা সহিহ হচ্ছে, তা-ও না।


কারণ, আমরা মাদ্রাসা বা মক্তবে ওইভাবে পড়িনি। সে ক্ষেত্রে আমরা জামাত করতে পারব কি না, যারা আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত বা যারা হঠাৎ করে টিভিতে নাটক বা সিনেমা দেখি। এদের মধ্যে কেউ একজন কি জামাত পরিচালনা করতে পারবে? নাকি আমরা আলাদা আলাদা পড়ব?


উত্তর : আপনার প্রশ্ন থেকে আমরা বুঝতে পেরেছি, আপনি আশঙ্কার মধ্যে আছেন যে আপনারা জামাত করতে পারবেন কি না, যেহেতু আপনারা মাদ্রাসায় পড়েননি। না, এটি ভুল। মাদ্রাসায় পড়ার সঙ্গে জামাতে নামাজ পড়ার কোনো সম্পর্ক নেই।


যখনই একাধিক ব্যক্তি একত্র হবে, তখনই জামাত করবেন, আর তাঁদের মধ্যে যিনি কোরআন ভালো পড়তে পারবেন, তিনিই ইমামতি করবেন। এটি নবী (সা.)-এর পক্ষ থেকে একটি সাধারণ বক্তব্য। তা হলো, ‘তাঁদের মধ্য থেকে যারা আল্লাহর কিতাব বেশি বা ভালো পড়তে পারে, সেই মূলত ইমামতি করবে।’


এখানে মাদ্রাসার দরকার নেই, কলেজের দরকার নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের দরকার নেই। কারণ, আপনি যেই সালাত আদায় করছেন, আপনার সালাত তো হচ্ছে। কারণ একা নামাজ পড়লেও তো সূরা, কেরাত পড়তে হয়।


কোরআন পড়ার ব্যাপারে অনেকগুলো মানের বিষয় আছে। সাধারণভাবে যদি শুদ্ধ করে সূরা পড়া হয়, এতে নামাজ হয়ে যাবে। কেরাতের মধ্যে হয়তো তাঁর পাণ্ডিত্য থাকবে না।


কিন্তু কোরআনে কারিম তিলাওয়াত তো অবশ্যই সবাইকে করতে হবে সালাত বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য। সুতরাং সালাত বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য যতটুকু তিলাওয়াত আপনি করতে পারেন, ততটুকু তিলাওয়াতই ইমামতির জন্য যথেষ্ট।


সূত্রঃ আপনার জিঙ্গাসা, এনটিভি অনলাইন