আবারো প্রেমে পড়তে...

লাইফ স্টাইল December 26, 2016 1,078
আবারো প্রেমে পড়তে...

যার প্রেমে পড়েছেন, তার ওপর থেকে ভালোবাসা চলেও যেতে পারে। বিশেষ করে দাম্পত্য জীবনে এমন হতে পারে অহরহ।


মিসৌরি-সেন্ট লুইস এবং এরাসমাস ইউনিভার্সিটি রটারড্যাম এর মনোবিজ্ঞানীরা তাদের এক গবেষণায় জানান, কিন্তু সঙ্গী-সঙ্গিনীর প্রতি ভালোবাসা আবারো ফিরিয়ে আনা যায়। কারণ মস্তিষ্কের ব্যবহারে হৃদযন্ত্রটাকে বেশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।


বিশেষজ্ঞরা 'লাভ রেগুলেশন' পদ্ধতির কথা বলেছেন। এর মাধ্যমে প্রিয়জনের প্রতি ভালোবাসা কমানো-বাড়ানো সম্ভব। ঠিক যেমন পাখার বাতাস নিয়ন্ত্রণ করা যায় রেগুলেরটরের মাধ্যমে।


গবেষণায় ৪০ জন মানুষকে বিশ্লেষণ করেছেন তারা। এদের ২০ জন দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্কে জড়িয়ে আছেন। আর বাকি ২০ জন সম্প্রতি সম্পর্কে জড়িয়েছেন এবং ভালোবাসা নেই বলেই মনে হচ্ছে তাদের কাছে। দেখা গেছে, গড়ে ৩ মাস সময়ের পর প্রেম চলে গেছে বলে মনে হয়।


প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীকে বর্তমান ও সাবেক সঙ্গী-সঙ্গিনীর ৩০টি ছবি আনতে বলা হয়। তাদের জিজ্ঞাসা করা হয়, প্রিয় মানুষটির প্রতি তারা কি অনুভব করেন? এ সময় তাদের মস্তিষ্কের তরঙ্গ পর্যবেক্ষণ করা হয়। বিজ্ঞানীরা বিশেষ করে লেট পজিটিভ পোটেনশিয়াল (এলপিপি) মস্তিষ্ক তরঙ্গের প্রতি দৃষ্টি দেন। মানুষ আবেগ দিয়ে কোনো কিছু চিন্তা করলে এই অংশটি শক্তিশালী হয়ে ওঠে। পরে তাদের যার যার প্রিয়জনের ছবির দেখে তাদের বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা করতে বলা হয়। তাদের সম্পর্ক এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথাও বলতে বলা হয়। মস্তিষ্কের তরঙ্গ দেখার আগেই এমনটা করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা।


দ্বিতীয়বারের মতো অংশগ্রহণকারীদের ছবিগুলো দেখতে বলা হয়। কিন্তু এবার নেতিবাচক চিন্তার করতে বলেন বিজ্ঞানীরা। তখনও তাদের মস্তিষ্কের তরঙ্গ বিশ্লেষণ করা হয়।


পরীক্ষায় দেখা গেছে, প্রিয়জনকে নিয়ে ইতিবাচক চিন্তা করার সময় মানুষের মনে প্রবল প্রেম জাগে। এ সময় তাদের এলপিপি মস্তিষ্ক তরঙ্গে অনেক শক্তিশালী হয়ে ওঠে। কিন্তু নেতিবাচক চিন্তার সময় এলপিপি অনেক দুর্বল থাকে।


তাহলে আমরা কি ভালোবাসার অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি? নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলেও একে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।


যেভাবে আবারো সঙ্গী-সঙ্গিনীর প্রেমে পড়বেন....


১. ছোটখাটো পরিবর্তন আনুন। সঙ্গী-সঙ্গিনী কাজে বেরিয়ে যাওয়ার আগে তাকে জড়িয়ে ধরা বা উষ্ণ কথা বলে বিদায় দেওয়ার চর্চা করা যেতে পারে।


২. তাদের প্রতি আন্তরিক হাসি দিন। হাসি দেহে সুখানুভূতি সৃষ্টিকারী ডোপামাইন হরমোনের ক্ষরণ ঘটায়। আপনার হাসিতে তার মুখেও হাসি ফুটবে।


৩. ইতিবাচক চিন্তা করুন। এ চিন্তা বর্তমান ও ভবিষ্যত সুখকর মনে হবে।


৪. সেক্স করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এটা দাম্পত্য জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। দুজনের মধ্যে অন্তরঙ্গতা বাড়াতে যৌনতাকে অপরিহার্য বলে মত দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।


৫. ছোটখাটো কাজে সহায়তা করুন। ঘরটা গোছাতে না পারেন, নোংরা করবেন না। এলোমেলো চোখের সামনে দেখলে নিজেই গুছিয়ে রাখুন। সত্যিকার সঙ্গী-সঙ্গিনী হয়ে উঠুন।


৬. দুজন মিলে নতুন কিছু করার চেষ্টা করুন। এতে করে দুজন আরো বেশি কাছে আসতে পারবেন।


৭. যেকোনো বিষয়ে প্রশ্ন করা যেতে পারে। নিজেদের স্বপ্ন ও ভবিষ্যত চিন্তা নিয়ে কথা বলুন। নতুন আশা জাগানিয়া আলোচনা করুন।