আপনার প্রেমিকা 'ড্রামা কুইন'?

লাইফ স্টাইল December 24, 2016 721
আপনার প্রেমিকা 'ড্রামা কুইন'?

প্রতীকী ছবি


সম্পর্কে মান-অভিমান থাকেই। সে স্বামী-স্ত্রী হোক বা প্রেমিক-প্রেমিকা।


কিন্তু তারও একটা মাত্রা আছে। সেই মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে সম্পর্ক হয়ে ওঠে বিষাক্ত। বিশেষ করে অনেক পুরুষ সঙ্গী তার প্রেমিকার নানান খামখেয়ালে বিরক্ত। এবং কিছু স্বভাবকে বলা যায় শান্তি প্রতিরোধী, অর্থাৎ 'শান্তি' নামক শব্দকে কাছে ঘেষতে দেয় না। এমন স্বভাব যাদের মধ্যে আছে তারা কখনোই সঙ্গীকে সুখী করতে পারে না। তবে ওই স্বভাব ও আচরণের মধ্যে নিজে সুখ খুঁজে নেয়ার চেষ্টা করেন, কিছুটা পানও। এই ধরণের স্বভাবের নারীদের অনেকে 'ড্রামা কুইন' হিসেবে সম্মোধন করেন।


কারণ তারা বাস্তবতার চেয়ে কল্পনায় ভাসতে পছন্দ করেন। টেলিভিশন সিরিয়াল বা আশপাশের নেতিবাচক চরিদ্রগুলো তাদের ওপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলে যা তাদের পারিবারিক জীবন বা সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। তারা অন্যকে অনুকরণ করতে পছন্দ করেন। আপনার সঙ্গী কি সেই 'ড্রামা কুইন'? কয়েকটি বিষয় মিলিয়ে নিলেই বুঝবেন তিনি কোন ধরণের নারী।


আপনার বন্ধুদের অপছন্দ:‌ আপনার মনে হতে পারে অকারণেই আপনার বান্ধবীকে তারা অপছন্দ করছেন। কিন্তু এমনটা নাও হতে পারে। দেখবেন আপনার প্রেমিকাকে সঙ্গে নিলেই বন্ধুরা অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন। তারা বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে দ্রুত বিদায় নিতে চাইছেন।


অপরাধবোধে ভোগাতে পছন্দ করেন:‌ ছোট ছোট বিষয়ে ঝগড়া হলেও আপনাকে ক্রমাগত সেটা নিয়েই কথা বলবেন তিনি। আপনার অপরাধবোধ কাজ করলে তৃপ্তি পাবেন আপনার সঙ্গী।


নিজেকে চনমনে রাখতে ঝগড়া:‌ অকারণে ঝগড়া করার প্রবণতা থাকবে। আসলে ঝগড়ার মাধ্যমে তিনি নিজেকে চনমনে রাখেন। বিনা কারণে তাই তিনি আপনার সঙ্গে ঝগড়া করতে মুখিয়ে থাকেন।


সন্দেহ বাতিক: প্রেমিকার সন্দেহের কোপে পড়েছেন অনেকে। কিন্তু এই নাটুকে প্রেমিকার স্বভাব মাত্রাতিরিক্ত সন্দেহ। ‘‌ড্রামা কুইন’‌ প্রেমিকা সন্দেহ করতে করতে নিজের ভাবনা চিন্তাকে অন্যমাত্রায় নিয়ে যাবেন‌। এমনকি আপনি সারাদিন অফিসে বা বাইরে কী করছেন সেই খবর রাখতে না পারলেও আপনি ঘরের বাইরে দাঁড়িয়ে কারও সঙ্গে কথা বললে হয়ত উকি মারছে বা আঁড়ি পাতছে সঙ্গীনি।


তিল কে তাল বানানো:‌ ছোট ঘটনাকে বড় আকার তৈরি করার চেষ্টা করবেন আপনার নাটুকে প্রেমিকা।


আপনাকে বুঝতে চাইবে না: আপনি কোন অবস্থায় আছেন, আপনার আর্থিক অবস্থা কী, মানসিক অবস্থা কী এসব বুঝতে চাইবেন না নাটুকে প্রেমিকা। আপনার সঙ্গে দেখা হওয়ার আগেই তিনি নানা পরিকল্পনা করে রাখবেন। সেটা হতে পারে ঘোরাঘুরি, কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া, সিনেমা দেখা বা অন্যকিছু। আপনার সঙ্গে দেখা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদ্যোগী হবেন। এমনকি আগেভাগে আপনাকে ফোনে জানিয়েও রাখতে পারেন। আপনি অফিস থেকে বসের বকা খেয়ে আসলেন, নাকি আপনার ব্যবসায় লোকসান হলো তাতে তার কিছু যায়-আসে না। উল্টো এটা তাকে বলতে গেলে আপনাকে অপদার্থ বলেই প্রমাণ করার চেষ্টা করবেন তিনি।


অনুকরণপ্রিয়: আপনার সঙ্গীনি অন্যকে অনুকরণ করতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে নায়ক-নায়িকা বা টাকাওয়ালা বন্ধু-বান্ধবীদের। তারা কী পরছে, কোথায় ঘুরতে যাচ্ছে, কী খাচ্ছে, কী কেনাকাটা করছে- এগুলো তাকে খুব ভাবায়। নিজেকে তাদের সমপর্যায়ে নিতে সামর্থের দিকে না তাকিয়ে এসব দাবি-দাওয়া আপনার উপরে চাপিয়ে দেয়।


আপনার প্রতি‌ অভিযোগ:‌ নাটুকে প্রেমিকাদের অভিযোগ কোনওদিন শেষ হয় না। অপ্রাসঙ্গিক বিষয়েও তার বহু অভিযোগ থাকবে। আপনার বা আপনার বন্ধু বান্ধবের বিরুদ্ধে অভিযোগ লেগেই থাকবে। প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকবে। আপনি কাজ শেষে ঘরে ফিরলে ফ্রেস হওয়ার আগে তার অভিযোগ শুনতে অন্তত আঁধাঘণ্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় দিতে হবে। আর এসবে আপনি ক্লান্ত হলেও তিনি ক্লান্ত হবেন না।


আপনার দুর্বলতা খুঁজে বের করা:‌ নাটুকে প্রেমিকা মানেই আপনার দুর্বলতাকে চিহ্নিত করবেন তিনি। অনুপ্রেরণার বদলে আপনাকে ব্যর্থ প্রমাণ করতেই বেশি উৎসাহী হবেন তিনি।


নাটুকে স্বভাব:‌ আপনার অপছন্দের জায়গায় আপনাকে যেতে বাধ্য করবেন। কিন্তু তাকে কখনওই আপনি রাজি করতে পারবেন না। সেই সময় জ্বর, পেট ব্যথা অনেক অসুখেই ভুগবেন তিনি। তাই নাটুকে প্রেমিকা থেকে সাবধান!‌


আপনার আত্মীয়দের অযত্ন: তার নিজের বন্ধু-বান্ধবী বা আত্মীয় বাড়িতে আসলে তার দৌড়াদৌড়ির হিড়িক পড়ে যায়। কী দিয়ে আপ্যায়ন করবে, কোথায় বসতে দেবে- নানাকিছু। আর আপনার আত্মীয়-স্বজন বাড়িতে আসলে তার মুখ থেকে হাসিটি চিরতরে হারিয়ে যায়। নানা অভাব-অভিযোগ তাদের কাছে তুলতে থাকেন। এটা নাই, ওটা নাই, সংসার চলে না- এমন নানা বিষয়। অনেক সময় আত্মীয় আসবে শুনে আগে থেকে অন্য কোথাও বেড়াতে চলে যান। অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুরু হয়ে যায় মাথা বা পেট ব্যথা। প্রেসার কমে যায়!


এই বিষয়গুলোর ৭০ ভাগও যদি মিলে যায় তবে নিশ্চিন্তে ধরে নিতে পারেন আপনার সঙ্গীটি কথিত 'ড্রামা কুইন'। আর এই মানুষটি আপনাকে যথেষ্ট ভোগাবে। তাই যারা আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে যাননি তারা আগে থেকেই সাবধান হয়ে গেলেই নিজ