আসলেই প্রেম তো!

লাইফ স্টাইল December 22, 2016 909
আসলেই প্রেম তো!

নাকি শুধুই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য ভালোবাসার বাহনা? বোঝার জন্য রয়েছে উপায়।


মেয়েটি বা ছেলেটির সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে পরিচয়। কিছুক্ষণ চোখাচোখির পর ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। এরপর থেকে নিয়মিতই চলছে এসএমএস আদান-প্রদান বা সপ্তাহে চার, পাঁচ দিন সাক্ষাত। তবে সব সাক্ষাতই চার দেওয়ালে বন্দী। সময় কাটছে শারীরিক ঘটিষ্ঠতায়। অথচ বাড়ির পাশের ক্যাফেতে বসে কফি খাওয়া হয়নি একদিনও।


কারও প্রেমের সম্পর্কের সঙ্গে যদি এই বিষয়গুলো মেলে তবে ভেবে দেখতে হবে সম্পর্কটি কি শুধুই শরীর কেন্দ্রিক?


উত্তর খুঁজে বের করতে হবে আপনাকেই। তবে সম্পর্কবিষয়ক এক ওয়েবসাইট জানাচ্ছে এমন সম্পর্কের কিছু উপসর্গ।


একসঙ্গে ঘুরতে যেতে অনিহা: বেশ কয়েকদিন ধরেই দেখা সাক্ষাত হচ্ছে। তবে শুধু চার দেওয়ালের মধ্যে। কোথাও ঘুরতে যেতে, বা সুন্দর কোথাও সময় কাটাতে সঙ্গীর অনিহা। এরকম একসঙ্গে কাটানো সময়গুলো চার দেয়ালের মধ্যেই সীমাবদ্ধ হলে ধরে নিতে হবে সঙ্গী মোটেই সুবিধার নয়। হতে পারে ‘দুধের মাছি’।


বন্ধুমহলে পরিচিতি নেই: ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে শারীরিকভাবে মিলিত হচ্ছেন অথচ তার বন্ধুমহলের সঙ্গে আপনার কোনো পরিচয় নেই। তিন মাসের সম্পর্কেও যদি এই পরিস্থিতি চলে তবে সতর্ক হওয়া দরকার।


একজন পুরুষ তার প্রেয়সিকে নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা থাকলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সে তার বন্ধুমহলে পরিচয় করিয়ে দেবে।


আর প্রেমিককে বান্ধবীদের সামনে উপস্থাপন করা নারীর প্রিয় কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। তবে এর ব্যতিক্রম হলেই চিন্তার বিষয়।


পরিস্থিতি বুঝতে নিজের বন্ধুদের নিয়ে আড্ডার পরিকল্পনা করতে পারেন। হতে পারে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়া কিংবা সিনেমা দেখা। আড্ডার প্রস্তাব দিয়ে আপনার প্রেমিক বা প্রেমিকার মনোভাব লক্ষ করুন। সে যদি আগ্রহী না হয় তবে সম্পর্ক ত্যাগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।


অতি দ্রুত, অনেক দুর: “আরও আগে কেনো দেখা হল না?” “আমাকে ছেড়ে যাবে না তো?”— পরিচিত এই বাক্যগুলো শুনলে মনে প্রজাপতি উড়ে অনেকেরই। সঙ্গে যদি থাকে পূর্ব পরিকল্পিত উপহার তবে তো সোনায় সোহাগা।


তবে একটু ভাবুন, বিষয়গুলো কি খুব দ্রুতই হচ্ছে? সম্পর্কের তিন সপ্তাহের মধ্যেই এই কথাগুলো শোনা বিপদের লক্ষণ।


সম্পর্কের কয়েকদিনের মধ্যেই আকাশের চাঁদ এনে দেওয়ার অঙ্গীকার আসলে আপনার রক্ষণশীল মনোভাবকে দুর্বল করার কৌশল।


প্রেম ভালবাসা আমাকে দিয়ে হয় না: নারী-পুরুষ উভয়ের মুখেই এই কথা শোনা যায়।


পুরুষের একথা বলার অর্থ হল, সে আপনার সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে ইচ্ছুক নয়। সে শুধু শরীরটাই চায়, এর বেশি কিছু নয়।


অপরদিকে নারীও ‘ধোয়া তুলসি পাতা’ নয়। “আমি আরও ধীরে অগ্রসর হতে চাই, আমার প্রাক্তন প্রেমিক আমার মন পুরোপুরি ভেঙে দিয়ে গেছে”- এই লাইনগুলো কি চেনা লাগছে।


এরকম কোনো বক্তব্য শোনার পর সেই নারীকে প্রশ্ন করা উচিত, “মন যদি এতটাই ভেঙে গিয়ে থাকে তবে বর্তমান ঘনিষ্ঠতাকে সে কী মনে করছে?”


কোনো রকম প্রতিশ্রুতি ছাড়াই বাড়তি সহানুভূতি আর শারীরিক সম্পর্ক পেতে নারীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এই কথাগুলো ব্যবহার করেন।


সঙ্গম ফুরালেই বিদায় নেওয়ার তাড়া: বিছানায় ঘনিষ্ঠ সময়টুকু পার হলেই চলে যাওয়া সুযোগ খোঁজা শরীর কেন্দ্রিক সম্পর্কের একটি বড় ইঙ্গিত। এমনকি ছুটির দিনগুলোতেও কোনো না কোনো বাহানায় প্রেমিক বা প্রেমিকা চলে যেতে চাইলে সম্পর্ক নিয়ে আরেকবার ভেবে দেখুন।